DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

৫ই জানুয়ারীঃ আওয়ামী লীগের জন্য শাখের করাৎ!

truck৫ জানুয়ারি বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতি না দিয়ে জনমনে চরম  বিরক্তি উৎপাদন করেছে আওয়ামী লীগ। খোদ আওয়ামী লীগ সমর্থকরাই বলছেন ‘ কি হতো একটা সমাবেশ করতে দিলে’। তবে এই বিরক্তি আরো বেড়েছে পরবর্তীতে সরকারের নেয়া পদক্ষেপগুলোতে। খালেদা জিয়াকে গুলশানের কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রাখা, সমাবেশের আগের দিন থেকে সরকারি পরিবহন শ্রমিক সংগঠনগলোর মাধ্যমে ঢাকার সাথে সারা দেশের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া এবং ৫ জানুয়ারি সমাবেশের দিন রাজধানীতে গণপরিবহন বন্ধ করে দেয়ায় এই বিরক্তি আরো বেড়েছে।

একটা সমাবেশ বন্ধ করতে গিয়ে সরকার যেই আচরণ করেছে, যতটুকু অগণতান্ত্রিক আচরণের দায় কাঁধে নিয়েছে ততটুকু দায় নিয়ে এর চেয়ে অনেক বড় আন্দোলন প্রতিরোধ করা যেতো। এই আচরণে বিএনপির মনে এই আত্মবিশ্বাস এনেছে যে তাদের আন্দোলনে সরকারের ভিত নাড়িয়ে দেয়া সম্ভব।


খালেদা জিয়া যখন গুলশান কার্যালয় থেকে বের হতে পারছেন না তখনও সরকারের মনে আশঙ্কা ছিলো, বিএনপির কর্মীরা বিভিন্নভাবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জড়ো হতে পারে। তাই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সবগুলো গেট বন্ধ করে সেখানে কড়া পুলিশ প্রহরার ব্যবস্থা করা হয়। এতেও বিরক্ত হয়েছে সাধারণ মানুষ।বিএনপি সমাবেশটি করতে না পারায় দেশ ও বিদেশে মানুষের কাছে এটি পরিস্কার হয়েছে যে, ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের পর যে সরকার গঠিত হয়েছে সেই সরকার ভিন্ন মত সহ্য করতে পারছে না। বরং সমাবেশটি করতে দিলে মানুষ ভাবতো ৫ জানুয়ারির পর একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। নিজেকে প্রমাণ করার একটি সুযোগ হারালো আওয়ামী লীগ ।

দিন শেষে খালেদা জিয়া বলেছেন, এর আগেও বিএনপি অনেক বড় বড় সমাবেশ করেছে তাতে কোন সমস্যা না হলে ৫ জানুয়ারি কি এমন সমস্যা হতো। একই প্রশ্ন ঘুরপাক খেয়েছে আওয়ামী কর্মী সমর্থকদের মনে।

গুলশানের কার্যালয় বালুর ট্রাক দিয়ে অবরুদ্ধ করা আরও হাস্যকর ব্যাখ্যা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতারা। গুলশান কার্যালয়ের নির্মাণকাজ করার জন্যই নাকি এই বালুর ট্রাক আনা হয়েছে। সরকার নিজ গরজে নিজের টাকায় বিএনপি কার্যালয়ের নির্মাণ কাজের বালু সরবরাহ করায় গণতন্ত্রের আরেকটি মাইলফল প্রতিষ্ঠা হলো। আওয়ামী লীগ, সরকার, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, প্রশাসন সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় অগণতান্ত্রিকতার একটি তকমা নিজের গায়ে এটে দিল তারা। যার হয়তো কোন প্রয়োজন ছিলো না।

মোট কথা বিনা ভোটের নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা আকড়ে থাকা আওয়ামী লীগের এহেন অগনতান্ত্রীক এবং অসহিস্নু আচরনেই প্রকাশ পেয়ে গেছে বাংলাদেশের সাধারন জনগন তাদের সমর্থন করে না এবং শুধুমাত্র নিরাপত্তা বাহিনী এং প্রতিবেশী দেশ ভারতের অকুন্ঠ সমর্থনেই ক্ষমতায় থাকতে পারবে বলে মনে করছে তারা। 

 

 

 

 

 

 

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!