DMCA.com Protection Status
title="শোকাহত

সুন্দরী পাক-চরের যৌনতার ফাঁদে ভারতীয় সেনা

image_93566_0 অনেকটা সিনেমার মতো। অনেকটা নয়, পুরোটাই। শুনলে মনে হবে কোনও রোমহর্ষক হিন্দি সিনেমার চিত্রনাট্য। কী নেই এতে, নগ্নতা, কালো টাকা, দেশদ্রোহিতা সর্বোপরি পাকিস্তানি সুন্দরী। যার যৌন হাতছানিতে সাড়া দিয়ে দেশের মান-সম্মান ধুলোয় মেশাতে বিন্দুমাত্র ভাবলেন না ভারতীয় সেনার এক জওয়ান।



ঘটনাটি এরকম:



মালদহের ছেলে ভারতীয় সেনার নায়েব-সুবেদার পিকে পোদ্দারের ফেসবুকে এক সুন্দরীর আলাপ হয়। নাম আনুশকা আগরওয়াল। অল্প কিছু দিনের মধ্যেই বেশ 'বন্ধুত্ব' হয় দু'জনের। আনুশকা জানায় সে একজন ছাত্রী এবং তার বাবা ঝাঁসিতে একটি এনজিও চালান। ধীরে ধীরে সে তার আসল উদ্দেশ্য প্রকাশ করে। পোদ্দারকে হাত করার জন্য সে তার নগ্ন ভিডিও ফেসবুকে পাঠাতে থাকে। অভিযুক্ত জওয়ানের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে নিয়মিত টাকাও পাঠাতে থাকে। বদলে একটাই চাহিদা— ভারতীয় সেনার নানা গোপনীয় তথ্য। এ দিকে টাকা ও যৌনতার নেশার প্রায় এক বছর ধরে সেই জওয়ান আনুশকাকে এই সব তথ্য সরবরাহ করতে থাকে।



সম্প্রতি লন্ডনে নিয়ে যাওয়ার প্রলোভনও দেখায়। কিন্তু তার আগেই ধরা পড়ে পোদ্দার। পুলিশের জেরায় সে এই সব জানিয়েছে। সে আরও জানায়, প্রথমে তার বিশ্বাস অর্জন করতেই মেয়েটি তার নগ্ন ভিডিও পাঠিয়েছিল। একটি সেকেন্ড হ্যান্ড ল্যাপটপ কেনার টাকাও পাঠিয়েছিল। অন্য দিকে, তার এই হঠাৎ পরিবর্তন দেখে সন্দেহ হয় বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার। তার পর মাঝে মাঝেই পাকিস্তান থেকে ফোন আসা, ই-মেল, ফেসবুক ঘেঁটে পোদ্দারকে সেকেন্দ্রাবাদ থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জোরার মুখে সব স্বীকার করে সে। তার কাছ থেকে ৩টি মোবাইল, ১০টি সিমকার্ড, ৩টি ডেটাকার্ড, একটি পেন ড্রাইভ ও দু'টি কম্পিউটার বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তার পরই এ সমস্ত তথ্য সামনে আসে। আনুশকার ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি আসলে ভুয়ো। সে এক জন পাকিস্তানি 'স্পাই'।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!