DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

ভারতীয় মসলায় ক্যানসারের উপাদান, হংকং-সিঙ্গাপুরে ইতিমধ্যেই নিষিদ্ধ

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ  বিখ্যাত ভারতীয় মশলার ব্র্যান্ড এমডিএইচ এবং এভারেস্টের বিরুদ্ধে মসলার মিশ্রণে কার্সিনোজেনিক কীটনাশক ইথিলিন অক্সাইডের উপস্থিতির অভিযোগ উঠেছে। ক্যানসার সৃষ্টিকারী এই  উপাদানের উচ্চ মাত্রার উপস্থিতি পাওায় ব্র্যান্ড দুইটির গুঁড়া মসলা বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে হংকং এবং সিঙ্গাপুর। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।

এমডিএইচ’র তিনটি মসলা পণ্যে ক্যান্সারের উপাদান পাওয়া গেছে। পণ্য তিনটি হলো- মাদ্রাজ কারি পাউডার, সাম্ভার মসলা এবং কারি পাউডার। অন্যদিকে এভারেস্ট ব্র্যান্ডের ফিশ কারি মসলার সাথে কীটনাশক ও ইথিলিন অক্সাইডের উপদান পাওয়া গেছে।

ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যান্সারের মাধ্যমে ইথিলিন অক্সাইডকে ‘গ্রুপ ১ কার্সিনোজেন’ হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়েছে।

ভারতে এই দুই কোম্পানির গুঁড়া মসলা ব্যাপক জনপ্রিয় এবং ইউরোপ, এশিয়া ও উত্তর আমেরিকাতেও রপ্তানি করা হয়। এই ঘটনার পর ভারতের মসলা রপ্তানি নিয়ন্ত্রক সংস্থা অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠান দুইটিকে তাদের মসলার গুণগত মান যাচাইয়ের বিস্তারিত তথ্য সরবরাহের নির্দেশ দিয়েছে।

মঙ্গলবার ভারতের মসলার গুণগত মান পরীক্ষা ও তদারকি সংক্রান্ত সংস্থা স্পাইস বোর্ড অব ইন্ডিয়ার জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তা বলেছেন, হংকং এবং সিঙ্গাপুরে রপ্তানি করা পণ্যের মান কীভাবে পরীক্ষা করা হয়েছিল এবং সব ধরনের বিধি-বিধান মেনে রপ্তারি করা হয়েছে কি না, তা জানাতে কোম্পানি দুটিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এমডিএইসের নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট রাজিন্দর কুমার এই বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। আর স্পাইস বোর্ড অব ইন্ডিয়ার সিদ্ধান্তের বিষয়ে করা প্রশ্নের কোনও জবাব দেয়নি এভারেস্ট স্পাইসেস।

মঙ্গলবার সকালের দিকে এক বিবৃতিতে এভারেস্ট স্পাইসেস বলেছে, বাজারজাত করা তাদের সব মসলাই ব্যবহারের জন্য নিরাপদ এবং এসব পণ্য ভারতীয় মসলা বোর্ডের পরীক্ষাগার থেকে প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র ও অনুমোদন পাওয়ার পরই রপ্তানি করা হয়েছিল।

বিবৃতিতে এভারেস্ট স্পাইসেসের পরিচালক রাজীব শাহ বলেছেন, সিঙ্গাপুর এভারেস্টের ৬০টি পণ্যের মধ্যে মাত্র একটি পণ্য পরীক্ষার জন্য বিক্রি স্থগিত করেছে। 

হংকং ও সিঙ্গাপুরের কর্তৃপক্ষ বলেছে, ভারতীয় ওই দুই কোম্পানির গুঁড়া মসলায় উচ্চ মাত্রার ইথিলিন অক্সাইড রয়েছে। যা মানুষের খাওয়ার জন্য অনুপযোগী। আর দীর্ঘসময় ধরে ইথিলিন অক্সাইডের ব্যবহারে ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!