DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে বিদেশি হস্তক্ষেপ কোনো কাজে আসবে না : চীন

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ  চীনের কমিউনিষ্ট পার্টির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের উপপ্রধান গুও ইয়াঝু বলেছেন, চীন মিয়ানমারের শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় সমর্থন দিচ্ছে এবং রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে বিদেশি হস্তক্ষেপ কোনো কাজে আসবে না।

দেশটির কম্যুনিস্ট পার্টির কংগ্রেস চলাকালে সাংবাদিকদের তিনি আরো বলেছেন, তার দেশ রাখাইনে হামলার নিন্দা জানায় এবং এব্যাপারে মিয়ানমারের উদ্যোগকে সমর্থন দিচ্ছে। তিনি বলেন, চীন ও মিয়ানমারের সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর, দীর্ঘদিনের এ বন্ধনে চীনের বিশ্বাস মিয়ানমার রোহিঙ্গা সংকট নিরসন নিজের মত করেই করতে পারবে।

সাংবাদিকরা তাকে জিজ্ঞেস করেন, পশ্চিমা দেশগুলোর চাইতে রোহিঙ্গা সংকটে চীনের অবস্থান ভিন্ন কেন? এ প্রশ্নের উত্তরে গুও ইয়াঝু বলেন, চীনের নীতি হচ্ছে অন্যকোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করা। আমার অভিজ্ঞতায় বলে, কোনো দেশ অন্য কোনো দেশের অভন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করলে সংকট নিরসন হয় না। তবে তিনি কোনো দেশের অভ্যন্তরে হস্তক্ষেপের ফলে পরিস্থিতি হিতে বিপরীত হয়েছে তা স্পষ্ট করে কিছু বলেননি।

গুও ইয়াঝু বলেন, মিয়ানমারে অস্থিতিশীল পরিবেশ হোক চীন তা চায় না। কারণ দেশটির সঙ্গে চীনের দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে এবং মিয়ানমারে কোনো অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি হলে তার নেতিবাচক প্রভাব চীনেও পড়বে। আমরা মিয়ানমারে সন্ত্রাসের নিন্দা জানাই।

এদিকে মিয়ানমারের রাখাইনে দেশটির সেনাবাহিনী ও উগ্র বৌদ্ধদের সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর গত আগষ্ট মাস থেকে নিধন, ধর্ষণ ও নির্যাতনে ইতিমধ্যে গত দেড়মাসে প্রায় ৬ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এর আগেও এধরনের সহিংসতায় ৪ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা কক্সবাজারে এসে আশ্রয় নেওয়ার পর দীর্ঘদিন ধরে আশ্বাস দিলেও মিয়ানমার তাদের নাগরিকদের ফেরত নিচ্ছে না।

জাতিসংঘ মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর সহিংসতাকে জাতিগত নিধনের উদাহরণ বলেছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন গত বুধবার বলেন, রোহিঙ্গা নির্যাতনে বিশ্ব নিশ্চুপ থাকতে পারে না এবং ওই নির্যাতন মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর কঠোর দমন অভিযানের জন্যেই হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন।

চীনের কম্যুনিস্ট পার্টির আন্তর্জাতিক বিভাগের সঙ্গে মিয়ামারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সুচির গভীর সম্পর্ক রয়েছে। চীনের সরকার নয় দেশটির কম্যুনিষ্ট পার্টিও আন্তর্জাতিক বিভাগের আমন্ত্রণে ২০১৫ সালে অং সান সুচি চীন সফর করেন।

এদিকে ইইউ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর ওপর অবরোধ আরোপের বিষয়টি সক্রিয়ভাবে চিন্তা করছে। তবে এধরনের অবরোধ আরোপের ক্ষেত্রে দেশটির অর্থনীতি বা সুচির সঙ্গে সেনাবাহিনীর সম্পর্কে জটিলতা তৈরি হতে পারে এমন বিষয়টিও গুরুতরভাবে বিবেচনা করে দেখা হচ্ছে।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!