DMCA.com Protection Status
title="শোকাহত

মাথা ব্যাথা সারাতে মাথা কেটে ফেলার উদ্যোগঃ প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকাতে ফেসবুক বন্ধ করতে চান শিক্ষামন্ত্রী

kzxvd6ov-e1414657829932

পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্নপ্রত্র ফাঁস ঠেকাতে প্রয়োজনে সামাজিক যোগযোগমাধ্যম ফেসবুক বন্ধ করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ। একই সঙ্গে থেকে কোচিং সেন্টারের ওপরও কঠোর নজরদারির কথা জানিয়েছেন তিনি।

এদিকে আগামী ২ ফেব্রুয়ারি থেকে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হবে। বৃহস্পতিবার থেকে বিজিপ্রেসে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ছাপানো শুরু হয়েছে। এ কারণে বিজিপ্রেসও কঠোর গোয়েন্দা নজরদারিতে আনা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার শিক্ষামন্ত্রণালয়ে এক প্রস্তুতিমূলক সভায় এ কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী।

আগামী এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে শেষ করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবের (প্রশাসন ও অর্থ) নেতৃত্বে ২৭ সদস্যের একটি কমিটিও করেছে সরকার। সভায় শিক্ষাসচিব নজরুল ইসলাম খান, অতিরিক্ত সচিব এ এস মাহমুদ, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ফাহমিদা খাতুন, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর দিলারা হাফিজ, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বিজিপ্রেস, বিটিআরসি, র‌্যাব, সিআইডি, ডিবি, এসবি প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘প্রয়োজনে পরীক্ষা চলাকালীন ফেসবুক বন্ধ করা হবে। তবে আইনে এমন কোনো পদ্ধতি আছে কি না যে, পরীক্ষা চলাকালীন অবস্থায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ করা যায় তা খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে।’

কোচিং সেন্টারের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘কোচিং সেন্টারের কোনো অনুমোদন নাই, এরা বেআইনিভাবে এ কার্যক্রম করছে। আজ থেকে কোচিং সেন্টারের ওপর কঠোর নজরদারি শুরু হবে। কারণ এসব কোচিং সেন্টার সাজেশনের নামে বিভ্রান্তি তৈরি করে। এ লক্ষ্যে আমরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবকে (প্রশাসন ও অর্থ) আহ্বায়ক করে ২৫ সদস্যের কমিটি গঠন করেছি।’

শিক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, ‘আগামী বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের চেষ্টা করলে তাদের হাত ভেঙে দেয়া হবে। আপনারা যারা এ পথে হাঁটেন তারা আর হাঁটবেন না, যারা এ কাজে হাত দেন তারা দয়া করে হাত বাড়াবেন না, আপনাদের হাত পুড়ে যাবে, আপনাদের হাত ভেঙে দেয়া হবে।’

এসময় শিক্ষা সচিব নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমার জানা মতে যেকোনো পদ্ধতিতে প্রশ্ন ফাঁস করা অপরাধ। এ অপরাধে ২টি পদ্ধতিতে মামলা করা যায়। একটি হলো প্রশ্ন প্রত্র ফাঁস রোধে ১৯৮৮ সালের আইনে এবং আইসিটি আইনে।’

এসময় তিনি অনলাইনে প্রশ্ন প্রত্র ফাঁস হওয়ার বিষয়ে বিটিআরসির কার্যক্রমের অবহেলা রয়েছে বলে অভিযোগ করেন। সচিবের কথার পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষামন্ত্রী বিটিআরসিকে আরোও কার্যকরি ভূমিকার রাখার নির্দেশ দেন।

আসন্ন মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষা ২০১৫ সুষ্ঠু নকলমুক্ত ও ইতিবাচক পরিবেশে সম্পাদনের লক্ষ্যে সার্বিক বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রস্তুতিমূলক এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!