DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

ধর্মদ্রোহী লতিফ সিদ্দিকীর পক্ষে লড়বেন ব্যারিষ্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া

Latifধর্ম অবমাননার মামলায় কারাগারে বন্দী বহিষ্কৃত মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর পক্ষে নিম্ন আদালতে লড়বেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তিনি বিষয়টি বাংলামেইলকে নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘গতকাল (বুধবার) লতিফ সিদ্দিকী আমার সঙ্গে কথা বলার জন্য ডেকেছিলেন। এরপর তার সঙ্গে মামলার বিষয়ে জেল গেটে কথা হয়। তিনি আমাকে তার নিজস্ব আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে বেশ কিছু মামলা হয়েছে। আগামী রোববার সকালে মামলা তালিকা অনুযায়ী তার মামলার কার্যক্রম শুরু হবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘তিনি (লতিফ সিদ্দিকী) যে মামলায় আত্মসমর্পণ করেছেন সে মামলাটি ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে আসতে পারে বলে ধারণা করছি। তবে এখনো এ বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে কিছু বলা সম্ভব নয়।’

আলোচিত তাজরীন গার্মেন্টসে অগ্নিকাণ্ডের মামলায় মালিকের বিপক্ষে লড়ছেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।

উল্লেখ্য, গত ২৮ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের একটি হোটেলে নিউইয়র্কে বসবাসরত টাঙ্গাইলবাসীর সঙ্গে মতবিনিময় করেন লতিফ সিদ্দিকী।

এসময় তিনি বলেন, ‘আব্দুল্লাহর পুত্র মোহাম্মদ চিন্তা করলো এ জাজিরাতুল আরবের লোকেরা কীভাবে চলবে? তারাতো ছিল ডাকাত। তখন সে একটা ব্যবস্থা করলো যে আমার অনুসারীরা প্রতিবছর একবার একসঙ্গে মিলিত হবে। এর মধ্য দিয়ে একটা আয়-ইনকামের ব্যবস্থা হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমি হজ আর তাবলীগ জামাতের ঘোরতর বিরোধী, জামায়াতে ইসলামীরও বিরোধী, তবে তার চেয়েও বেশি হজ ও তাবলীগ জামাতের।’

হজ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের এ প্রবীণ নেতা বলেন, ‘হজের জন্য ২০ লাখ লোক সৌদি আরবে গিয়েছে। এদের কোনো কাম নাই। এদের কোনো প্রডাকশন নাই। শুধু রিডাকশন দিচ্ছে। শুধু খাচ্ছে আর দেশের টাকা দিয়ে আসছে।’

এ সময় তাবলীগ জামাতের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘তাবলীগ জামাত প্রতিবছর ২০ লাখ লোকের জমায়েত করে। নিজেদেরতো কোনো কাজ নেই। সারা দেশের গাড়িঘোড়া তারা বন্ধ করে দেয়।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে নিয়েও বিরূপ মন্তব্য করেন তিনি।

এরপরই দেশে-বিদেশে ব্যাপক তোপের মুখে পড়েন লতিফ সিদ্দিকী। ধর্মীয় অনভূতিতে আঘাত দেয়ার জন্য লতিফ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে ঢাকা ও দেশের ১৮টি জেলায় ২২টি মামলা হয়। নির্ধারিত সময়ে আদালতে হাজির না হওয়ায় প্রায় প্রতিটি মামলায় আদালত তার বিরুদ্ধে প্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

পরে তাকে মন্ত্রিসভা এবং দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। সেই থেকে আর দেশে ফেরেননি লতিফ সিদ্দিকী। তিনি ভারতের অবস্থান করছিলেন বলে অনেকে দাবি করেন।

লতিফ সিদ্দিকী গত রোববার রাতে দেশে ফিরলেও গ্রেপ্তার করা হয়নি। গত মঙ্গলবার তিনি ধানমণ্ডি থানায় আত্মসমর্পণ করলে পুলিশ তাকে আদালতে পাঠায়। তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকায় আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!