DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

আর্ত মানবতার প্রয়োজনে এগিয়ে আসুনঃ ফিলিস্তিনের অসহায় শিশুদের সহায়তা করতে পারেন যেভাবে

10268428_256288281230784_4160513773102875684_n1-300x3001-300x200স্বাধীনতার পক্ষে দাঁড়িয়ে এবারই প্রথম সবচেয়ে নৃশংস আক্রমণের শিকার হলো ফিলিস্তিনের শিশুরা। ফিলিস্তিনের এই শিশুদের বাঁচাতে এগিয়ে আসতে পারেন আপনিও। আহত শিশুদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে বাংলাদেশস্থ ফিলিস্তিন দূতাবাস অর্থসংগ্রহের কার্যক্রম শুরু করেছে।

ফিলিস্তিন দূতাবাসের জনসংযোগ কর্মকর্তা  দৈনিক প্রথম বাংলাদেশকে জানান, অর্থ সংগ্রহের জন্য তিনটি ব্যবস্থা করেছে ফিলিস্তিন দূতাবাস। যার পক্ষে যতটুকুই সম্ভব ততটুকুই সাহায্য করার আমন্ত্রণ জানিয়েছে ফিলিস্তিন দূতাবাস। সাহায্যের এই সামান্য টাকাই হয়তো একটা আহত ফিলিস্তিনি শিশুর একদিনের ওষুধ খরচ হয়ে যেতে পারে।

সাহায্যের জন্য টাকা পাঠাতে পারেন ঢাকা ও ঢাকার বাইরের যে কোনো বাংলাদেশী নাগরিকই। ঢাকার বাইরে যারা আছেন তারা ঢাকার ফিলিস্তিনি দূতাবাসে যোগাযোগ করে সাহায্যের টাকা পাঠানোর ব্যবস্থা করতে পারেন। বাংলাদেশের ফিলিস্তিন দূতাবাসে যোগাযোগ করতে পারেন নিচের ঠিকানায়।

ঠিকানা: সিইএস(সি)#৪,রোড#১১৮, গুলশান মডেল টাউন, ঢাকা। টেলিফোন, ৯৮৯৩৮৯৫-৬, তাছাড়া ফ্যাক্স করতে পারেন ৮৮২৩৫১৭ এই নাম্বারটিতে। এছাড়াও সাহায্য পাঠাতে রেড ক্রিসেন্ট বাংলাদেশেও যোগাযোগ করতে পারেন। ওরা আপনার সাহায্য ফিলিস্তিনে পৌঁছে দেবে। রেড ক্রিসেন্টের ঠিকানা: ন্যাশনাল হেড কোয়ার্টার ৬৮৪-৬৮৬ বড় মগবাজার, ঢাকা ১২১৭। পোস্ট কোড: জিপিএ বক্স নাম্বার ৫৭৯, ঢাকা তথ্য কেন্দ্র (৮৮০) (২) ৮৩১৯৩৬৬/ ৯৩৩০১৮৮ / ৯৩৩০১৮৯ / ৯৩৫০৩৯৯/ ৮৩১৪৭০১/ ৯৩৫২২২৬

ফ্যাক্স: (৮৮০) (২) ৮৩১১৯০৮ / ৯৩৫২৩০৩ টেলেক্স: ৬৩২২৩২। এছাড়াও টাকা পাঠাতে পারেন এই একাউন্ট নাম্বারটিতেও। স্ট্যান্ডার্ড চ্যাটার্ড ব্যাংক ,০৫১০৯৫৪০৪০১, গুলশান শাখা, ঢাকা।

হামাস ও ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘাত-সহিংসতার খবর একেবারে গা সওয়া হয়ে গেলেও দুই দেশের এবারের সহিংসতা বিশেষ নজর কেড়েছে বিশ্ববাসীর। দুই দেশের শিশু-কিশোররা আগ বাড়িয়ে নিজেদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘাতে জড়িয়ে পড়ছে। এইভাবে দ্বন্দ্ব-সহিংসতায় ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের নতুন প্রজন্ম বিষিয়ে উঠায় আশঙ্কা করা হচ্ছে, এই খুনের মহামারি চলতে পারে সুদূর ভবিষ্যৎয়েও।

চলমান সহিংসতায় ইসরায়েলের ওয়েস্ট ব্যাংকের শিশু-কিশোররা ফিলিস্তিনিদের খুন করতে ঘুরে বেড়াচ্ছে। একইভাবে ফিলিস্তিনের শিশু-কিশোররাও তাদের ইসরায়েলের বন্ধুদের হত্যা করতে উঠে পড়ে লেগেছে। গত ৩০শে জুন ফিলিস্তিনিরা অপহরণ করে ৩ ইসরায়েলি কিশোরকে। পরে যাদের লাশ পাওয়া যায়। তাদের সবারই বয়স ছিল ১৬ থেকে ১৯ বছরের মধ্যে। তিন কিশোরের লাশ পাওয়ার পর থেকে ফিলিস্তিনি শিশু-কিশোরদেরকে অপহরণ-হত্যার জন্য লক্ষ্য করে মাঠে নামে ইসরায়েল সেনাবাহিনী ও সাধারণ ইহুদিরা। তার পরপরই আবু বকর খেদাইর নামের এক ফিলিস্তিনি কিশোরকে বাসা থেকে টেনে বের করে নিয়ে যায় ইসরায়েলিরা। পরে তাকে ইসরায়েলের একটি জঙ্গলে পুড়িয়ে মারা হয়।

তারিক আবু খেদাইরের মত কিশোরদের আটকের ঘটনা সারা বছরই চলে। মানবাধিকার সংস্থাগুলোর হিসাব মতে, ২০১০ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ৩ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি কিশোরকে আটক করে নির্যাতন করেছে ইসরায়েল। আটককৃতদের সবার বয়স ১২ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে। ফিলিস্তিনিদের ওপর পুলিশের হামলার পরই হামাসের যোদ্ধারা ইসরায়েলের ভূখণ্ডে রকেট হামলা চালায়। এর প্রতিউত্তরে বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল। বিমান হামলায় এখনও পর্যন্ত নিহত হয়েছে শতাধিক। নিহতদের অধিকাংশই শিশু।

ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক মানবাধিকার কমিশনে তথ্য মতে, ২০১৪ সালে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে শিশু-কিশোরদের হত্যা নিয়ে এক ডজনের বেশি ভিডিও প্রচার করা হয়। এই সময় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী অসংখ্য ফিলিস্তিনি শিশুকে আটক ও হত্যা করেছে বলে মানবাধিকার সংস্থাগুলো অভিযোগ করেছে। আটককৃতদের প্রত্যেককেই সামরিক কারাগারে নির্যাতন করে সেনাবাহিনী। আবার আটককৃতদের অনেককে সামরিক আদালতে বিচার করা হয়। বর্তমানে ইসরায়েলের কারাগারে কয়েক হাজার ফিলিস্তিনি শিশু-কিশোর আটক আছে বলে অভিযোগ মানবাধিকার সংস্থাগুলোর।

তাই,এই শিশুদের জীবনের নিরাপত্তা দিতে অর্থ সহায়তা দিয়ে এগিয়ে আসুন আপনিও।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!