DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

কালজয়ী কথাশিল্পী হুমায়ূন আহমেদ স্মরনে তাঁর পূত্র নূহাশ হুমায়ূন

humaunদৈনিক প্রথম বাংলাদেশ প্রতিবেদনঃ ১৯ জুলাই জনপ্রিয় কথা সাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদের তৃতীয় মৃত্যু বার্ষিকী ছিল। গত ২০১২ সালের ১৯ জুলাই কৃত্রিমভাবে লাইভ সাপোর্টে রাখার পর স্থানীয় সময় ১১টা ২০ মিনিটে নিউ ইয়র্কের বেলেভ্যু হাসপাতালে চিরনিদ্রায় ঘুমিয়ে পড়েন বাংলা কথাসাহিত্যের প্রাণপুরুষ হুমায়ূন আহমেদ।

এই মৃত্য দিবসে বাবাকে নিয়ে তার বড় ছেলে নুহাশ হুমায়ুন গতকাল রাত ১১টার দিকে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন।

স্ট্যাটাসটি প্রিয় পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো। `তিন বছর আগে এই দিনে আমার বাবা মারা গেছেন এবং কোন কিছুই আর আগের মতো হবে না। প্রথম সপ্তাহ প্রচন্ড কষ্ট বা কাদঁতে কাদঁতে সব ঝাপসা হয়ে গেছে। কিন্তু কঠিন সময়টা ছিল মাস খানেক বা বছর খানেক পরে। কারন তখন আপনি অনুভব করবেন আপনি একা ও নিঃসঙ্গ। আপনি যার সঙ্গেই থাকেন না কেন অথবা যাই করেন না কেন আপনি সব সময়েই এই নিঃসঙ্গতা অনুভব করবেন, এই নিঃসঙ্গতা কখনই কাটবে না।

তুমি একজন মানুষকে হারিয়েছ এবং সে কখনোই আর ফেরত আসবে না এই যে বিষয়, এটা শত চেষ্টা করেও আসলে মেনে নেয়া সহজ নয়। যদিও বিভিন্ন লেখনীর মাধ্যমে আমি আমার এই নিঃসঙ্গতাকে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলাম। ভাগ্যের ব্যাপার হচ্ছে যে, তুমি দেখবে তোমার চারপাশে নতুন অনেক আলো। এই দিনে মানুষ আমাকে সারপ্রাইজ দেয়ার চেষ্টা করেছে।

যতক্ষন কোন কঠিন খারাপ ঘটনা না ঘটবে ততক্ষন পর্যন্ত তুমি কখনো জানতেই পারবে না আসলে কে তোমার জন্য অপেক্ষা করছে, কে তার মনের গভীরতা দিয়ে তোমাকে ভালবাসে। আমি সত্যিই গ্রেটফুল যে আমাকে সাপোর্ট দেয়ার ব্যবস্থা ছিল যা আমারই তৈরী। কিছু বন্ধু, আমার পরিবার আর আমি নিজেই আমার সাপোর্টার।

এটা ঠিক আছে যে, তুমি যাদেরকে ভালবাসবে, এদের কেউ সব সময়ই তোমার পাশে থাকবে, কেউবা থাকবে না। অনেক অনেক ভালবাসা তোমাদের জন্য যারা আমার পাশে ছিলে। তুমি নিশ্চয়ই জানো তুমি কে ছিলে'।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!