DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

সমুদ্রসীমার রায়: বাংলাদেশ জিতেছে, বাংলাদেশ জিতেনি

maritime-map-251x300দৈনিক প্রথম বাংলাদেশ বিশ্লেষনঃ   বঙ্গোপসাগরের ২৫৬০২ বর্গ কিলোমিটার সামুদ্রিক ভূখণ্ডের দ্বন্দ্ব সমাধানে আন্তর্জাতিক সালিশি আদালতের (পিসিএ) দারস্থ হয়েছিল বাংলাদেশ। আদালতের রায়ে আলোচিত ভূখন্ডের মধ্যে ১৯ হাজার চারশ’ ৬৭ বর্গকিলোমিটার সামুদ্রিক ভূখণ্ড পেয়েছে বাংলাদেশ। আর ভারত পেয়েছে ৬১৩৫ বর্গ কিলোমিটার।

২০০৯ সালের ৮ই অক্টোবর ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমা নিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তিতে সালিশি আদালতে আবেদন করে বাংলাদেশ। দীর্ঘ চার বছর নয় মাস আইনি লড়াইয়ের পর এ চূড়ান্ত রায় হাতে পেল বাংলাদেশ। এ রায় আপিলযোগ্য নয়।

৭ই জুলাই সোমবার বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টায় দু’দেশের প্রতিনিধিদের হাতে এ রায় হস্তান্তর করেন পিসিএ’র সেক্রেটারি জেনারেল হুগো এইচ সিবলেজ। দু’দেশের পক্ষে এ রায়ের কপি গ্রহণ করেন নেদারল্যান্ডসে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শেখ মোহাম্মদ বেলাল ও ভারতের রাষ্ট্রদূত রাজেশ নন্দন প্রসাদ।

সালিশি আদালতের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন জার্মানির প্রফেসর ড. রুডিগার উলফ্রাম। এছাড়া ফ্রান্সের জ্যাঁ-পিয়েরে কট, মায়ানমারের থমাস এ ম্যানসা, ড. প্রেমারাজ শ্রীনিবাস রাও, প্রফেসর ইভান সিয়েরার বিচারক হিসেবে আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

আদালত বাংলাদেশ বা ভারতের কোন একটি যুক্তিতে না গিয়ে আদালতের নিজস্ব বিবেচনায় সমতার ভিত্তিতে এ রায় দেন। সমতার এই রায়ে বাংলাদেশের ভাগে ১৯ হাজার চারশ’ ৬৭ বর্গকিলোমিটার আর সামুদ্রিক ভূখণ্ড পেয়েছে বাংলাদেশ আর ভারত পেয়েছে ৬১৩৫ বর্গ কিলোমিটার। রায়ে  ভারত ৬১৩৫ বর্গ কিলোমিটার পেলেও এই রায়ের বিরোধিতা করেন ভারত মনোনীত বিচারক ড. প্রেমারাজ শ্রীনিবাস রাও। তবে আলোচিত পুরো সামুদ্রিক ভূমিই বাংলাদেশের পাওনা ছিল বলে সমুদ্র বিশেষজ্ঞদের দাবি। তাদের মতে, ভারতের পাওনা ভূমি পুরোটাই উপরি পাওনা।

10515146_10152625656292318_6383824403772182630_oবাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে সমুদ্রসীমা নিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তির আলোচনা শুরু হয় ১৯৭৪ সালে। ২০০৮ সালে আবারো নতুন করে আলোচনা শুরু করে দেশ দুটি।কিন্তু আলোচনার কোন অগ্রগতি না হওয়ায় সালিশি আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। ২০০৯ সালের ৮ অক্টোবর ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমা নিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তিতে সালিশি আদালতে আবেদন করে বাংলাদেশ। দীপু মনিই এ মামলার বাদী।

বাংলাদেশের পক্ষে মামলায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সমুদ্রবিষয়ক ইউনিটের সচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলম ডেপুটি এজেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বাংলাদেশের পক্ষে আইনজীবী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন লন্ডনের ম্যাট্রিক্স চেম্বার্সের প্রফেসর জেমস ক্রোফোর্ড এসসি, প্রফেসর ফিলিপ স্যান্ডস কিউসি, এসেক্স কোর্ট চেম্বার্সের প্রফেসর অ্যালান বয়েল, মন্ট্রিয়লের ম্যাকগিল ইউনিভার্সিটির প্রফেসর পায়াম আকাভান, ওয়াশিংটন ডিসির ফলি হগ এলএলপির পল এস রিখলার ও লরেন্স মার্টিন।

অন্যদিকে ভারতের পক্ষের আইনজীবী ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ও আইনি উপদেষ্টা ড. নিরু চাধা এবং কো-এজেন্ট ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা। ভারতের কৌঁসুলিদলে ছিলেন আর কে পি শংকরদাশ, প্যারিস ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি নানতেরে-লা ডিফেন্সের প্রফেসর অ্যালিয়ান প্যালেট, লন্ডনের স্যার মাইকেল উড, ইয়েল ল স্কুলের প্রফেসর ডাব্লিউ মিশেল রেইসম্যান

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!