ফুটবল খেলা বা খেলাটি দেখার প্রতি ঝোঁক পুরুষেরই বরাবর বেশি ছিল। তবে সময়ের পালে পরিবর্তনের হাওয়া লেগেছে বেশ শক্তভাবেই। তাই এই খেলাটির প্রতি নারীদের আকর্ষণও পোক্ত হচ্ছে দ্রুতগতিতে। একজন মার্কিন গবেষকের মতে, ফুটবলের প্রতি নারীদের আকর্ষণ বৃদ্ধিতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখছে সামাজিক মাধ্যমগুলো।
ফেসবুকের একটি পরিসংখ্যানে দেখা গেছে- ব্রাজিল বিশ্বকাপে যেসব দেশকে শক্ত প্রতিপক্ষের বিপরীতে তুলনামূলক দুর্বল বলে ভাবা হয়েছিল, যেমন- ইরান, কলম্বিয়া, যুক্তরাষ্ট্র এবং কোস্টারিকা- এসব দেশের প্রতি সমর্থন জানিয়ে ফেসবুকের বিভিন্ন পোস্টে দেশগুলোর নাম যতবার উল্লেখ (মেনশন) করা হয়েছে তার ৪০ শতাংশেরও বেশি নিজেদের দখলে রেখেছেন নারীরা।
ব্রাজিল বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে ইন্টারনেটে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে ৪ লাখ ৭২ হাজার ৯২৭-এর বেশি বার মেনশন করা হয়েছে ইরানের নাম। এর ৪৩ শতাংশ এসেছে নারীদের কাছ থেকে। ফুটবল বিশ্বকাপে কোস্টারিকা সম্পর্কিত সাড়ে ৩২ লাখের বেশি পোস্টের ৪৬ শতাংশ এসেছে নারীদের কাছ থেকে।
নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞানের একজন গবেষক স্টেসি টরেসের মতে, খেলাধূলার প্রতি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলো যে অতিরিক্ত মনোযোগ দিচ্ছে তা নারীদের জন্য এইসব খেলার প্রতি এক নতুন মাত্রা যোগ করছে। যা হয়তো স্বাভাবিকভাবে হয়ে উঠতো না।
এখন নারীরা আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি স্বাধীনভাবে খেলাগুলোর সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে পারেন বলেও মনে করেন তিনি।
বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের খেলায় ইতালির বিপরীতে কোস্টা রিকার ১-০ ব্যবধানের অবাক করা জয়টি নিয়ে ফেসবুকে যারা ঝড় বইয়ে দিয়েছিলেন তাদের মাঝেও ছিলেন ৪৪ শতাংশ নারী। এছাড়া কলম্বিয়ার গোলরক্ষক ডেভিড অসপিনাকে মেনশন করা হয়েছে ২৭ হাজার ৪৮৭ বার; যার ৬১ শতাংশ এসেছে নারীদের কাছ থেকে।
ফেসবুকের একজন মুখপাত্র সিএনএনকে জানিয়েছেন, কম বয়সী নারীদের মধ্যে মেক্সিকোকে সমর্থনের বেশ বড় রকমের একটা সংশ্লিষ্টতা ছিল। বিশেষ করে হাভিয়ার চিচারিত হার্নান্দেজকে মেনশনে নারীদের অগ্রণী ভূমিকা ছিল। মেক্সিকো-ক্রোয়েশিয়া ম্যাচটিতে শেষ গোলটি করেছিলেন এই চিচারিতই।