DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

কি হচ্ছে পার্বত্য চট্টগ্রামেঃ এই অঞ্চলে শত্রুতা জিইয়ে রাখার অস্ত্র ধর্ম-সেনাবাহিনী-উগ্র জাতীয়তাবোধ

1379529_470078163106622_1977634800_n দৈনিক প্রথম বাংলাদেশ অনুসন্ধানঃ সুলতানা কামালদের ওপর হামলাকারী সংগঠন ‘সমঅধিকার’, ধর্মীয় উসকানি দিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই আদিবাসী ও বাঙ্গালীদের মধ্যে শত্রুতা জিইয়ে রাখার চেষ্টা চালাচ্ছে।

এছাড়া লক্ষ্য বাস্তবায়নে সেনাবাহিনী ইস্যু এবং উগ্র জাতীয়তাবাদী মতাদর্শও কাজে লাগিয়ে আসছে সংগঠনটি। পার্বত্য অঞ্চলগুলোতে ‘সমঅধিকার’ পরিকল্পিতভাবে প্রচার করে আসছে যে, দেশী-বিদেশী এনজিওগুলো মূলত বাঙ্গালী মুসলমানদের খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীতে পরিণত করাসহ আদিবাসীদের নানান অবৈধ সুবিধা দিয়ে আসছে।

 

‘সমঅধিকারের’ এ সকল কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে পার্বত্য অঞ্চলে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক এনজিওগুলোর কার্যক্রম পরিচালনা অনেকটাই অসম্ভব করে তুলেছে, এনজিওগুলোর বিরুদ্ধে সৃষ্টি হচ্ছে ভয়ঙ্কর জনবিরোধ। পার্বত্য চট্টগ্রামের বাইরে মূলধারার কিছু গণমাধ্যম ও প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক শক্তি ‘সমঅধিকারের’ উদ্যোগে ধর্মীয় উসকানিতে শক্তি যোগাতে ভূমিকা পালন করে আসছে নীরবে।

সুলতানা কামালদের ওপর হামলাকারী সংগঠনটির পূর্ণ নাম পার্বত্য চট্টগ্রাম সমঅধিকার আন্দোলন। এই প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘদিন ধরেই পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক আর্ন্তজাতিক কমিশনকে অখন্ড বাংলাদেশের প্রতি হুমকি হিসেবে চিহ্নিত করে আসছিল এবং কমিশনের কার্যক্রম প্রতিহত করার উপায় অনুসন্ধান করে আসছিল। এরই ফলস্বরূপ গত ৫ই জুলাই হামলার শিকার হয়েছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক আর্ন্তজাতিক কমিশনের একটি প্রতিনিধি দল।

হামলার শিকার হওয়ার পর ব্যারিস্টার সুলতানা কামাল গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, “জনপ্রশাসনের সহায়তার পরও কিভাবে তারা হামলা চালায়? আমি আশ্চর্য হই। এদের ওপরও কি কোনো শক্তি আছে?” নতুনদিনের অনুসন্ধানে দেখা যায়, কোনভাবেই অমূলক নয় ব্যারিস্টার সুলতানা কামালের প্রশ্নটি। আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের মতো সংগঠনের অনেক নেতা-কর্মীও ‘সমধিকারের’ কার্যক্রমের প্রতি অনুরক্ত। এমনকি, এই সংগঠনটির পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ প্রচার-প্রচারণা পায় ‘সমধিকার’। উল্লেখ্য, পার্বত্য চট্টগ্রামে আলোচনা করতে এসে বাধার মুখে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক আন্তর্জাতিক কমিশনের প্রতিনিধি দলের ফিরে যাওয়ার খবরটি বিশেষভাবে প্রচার করে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত।

‘সমঅধিকারের’ পক্ষ থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম ইস্যুতে কর্মরত সুশীল সমাজ ও এনজিও কর্মকাণ্ডকে গড়পড়তা ‘বিদেশী এজেন্ডা বাস্তবায়নে উপজাতী দালাল ও বামপন্থী মানবাধিকার’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। যখন যেভাবে সম্ভব সেভাবেই তাদের বিরুদ্ধে নানান সমালোচনা তৈরী করা হয়। সুলতানা কামাল, খুশী কবির, মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানসহ উল্লেখযোগ্য অন্যান্য সুশীল প্রতিনিধিদের কখনও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধ শক্তি এবং সংঘাতের মূল সহায়ক হিসেবে চিহ্নিত করে এনজিওগুলোর কার্যক্রম পরিচালনায় ব্যাপক প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হচ্ছে।

এগুলো ছাড়াও উগ্র জাতীয়তাবাদী চেতনার অংশ হিসেবে ‘সমঅধিকার’ প্রায়ই বর্তমান সরকারের সাথে ভারতের সম্পর্কের ইস্যুটিকে টেনে এনে দেশের অখণ্ডতা হুমকি মুখে আছে বলে প্রচার করছে। এর ফলস্বরূপ, পার্বত্য আঞ্চলে বসবাসকারী বাঙ্গালীদের মধ্যে সবসময়ই জারি রাখা হয় অনিশ্চয়তা ও আশঙ্কা।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!