
থাইল্যান্ডে কেয়ারটেকার সরকার ক্ষমতায় বহাল থাকা সত্বেও সেনাবাহিনীর মুখপাত্র কর্নেল উইনথাই সুভারি সোমবার স্থানীয় সময় সকাল তিনটার দিকে দেশে সামরিক শাসন জারির ঘোষণা দেন। এ সম্পর্কে কর্নেল উইনথাই রয়টার্সকে জানান, দেশে শান্তি এবং স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতেই সামরিক শাসন জারি করা হয়েছে। তবে সেনাবাহিনী সরকারের কাজে কোনো হস্তক্ষেপ করবে না। সরকার স্বাভাবিকভাবেই তার কাজকর্ম চালিয়ে যাবে।’

এ মাসের শুরুর দিকে দেশের একটি আদালত প্রধানমন্ত্রী ইংলাক চিনাওয়াতসহ বেশ কয়েকজন মন্ত্রীকে পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেয়। এতে দেশের পরিস্থিতি আরো জটিল হয়ে ওঠে।
গত বেশ কয়েক মাস ধরেই বিরোধী দল অনির্বাচিত একটি প্রশাসনের অধীনে নির্বাচনের দাবীতে বিক্ষোভ করে যাচ্ছে যারা কিনা দেশের সংবিধানেও পরিবর্তন করতে পারবে। সংবাদদাতারা বলছেন, সরকারের সমর্থকরা যদি এই সামরিক শাসনকে অভ্যুত্থান হিসেবে দেখেন,
সেক্ষেত্রে তাদের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখানোরও সম্ভাবনা রয়েছে।

রাজনৈতিক অস্থিরতার পরিপ্রেক্ষিতে সর্বশেষ ২০০৬ সালেও থাই সেনাবাহিনী থেকে সামরিক আইন জারি করা হয়েছিল।