DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

নির্বাচন কমিশনার ও আইনমন্ত্রীকে সুরন্জিত সেনের নসিহতঃ

146সংশোধিত দুদক আইন, প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) দীর্ঘ ছুটিতে যাওয়া ও বিএনপিকে নিয়ে ভারপ্রাপ্ত সিইসির সাম্প্রতিক বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু একাডেমি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ সমালোচনা করেন।

উপজেলা নির্বাচনের সময় সিইসির দীর্ঘ ছুটিতে যাওয়ার সমালোচনা করে সুরঞ্জিত বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনারের এ দীর্ঘ ছুটিতে যাওয়া নিয়ে সৃষ্ট প্রশ্নের যুক্তিসঙ্গত জবাব দেয়া যাচ্ছে না। এ সময়ে তার উপস্থিতিটা খুবই প্রয়োজন ছিল। এটাকে ডিফেন্ড করা খুব কঠিন হয়ে যাচ্ছে। আর বিএনপির সমালোচনার জবাবে ভারপ্রাপ্ত নির্বাচন কমিশনারের এত তির্যক, তীব্রভাবে এ প্রতিবাদটা না করলেও চলত। সাংবিধানিক পদে থেকে তাদের বক্তব্যে আরো সংযত এবং সহনশীল হওয়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। গণতন্ত্রের অস্তিত্ব এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। নির্বাচন কমিশনারের পদ তাই অত্যন্ত সম্মানজনক একটি পদ। এই কমিশন প্রধান হিসেবে নির্বাচন কমিশনারকে সহনশীল হতে হবে। আমরা তার কাছ থেকে এ ধরনের উক্তি আশা করি না।

উপজেলা নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলায় বিএনপিরও সমালোচনা করেন সুরঞ্জিত। তিনি বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু না হলে বিএনপি হয় প্রত্যাখ্যান করুক-না হলে এ নিয়ে কথা বলে লাভ নেই।

সদ্যসমাপ্ত উপজেলা নির্বাচনে ‘কিছুটা’ সরকারি হস্তক্ষেপের কথা স্বীকার করে সুরঞ্জিত বলেন, নির্বাচনে সরকারি হস্তক্ষেপ যে একেবারেই হয়নি তা বলব না। কিন্তু দলীয় সরকার ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় বিএনপি যে পরিমাণ জয় পেয়েছে তা নজিরবিহীন। 

সংশোধিত দুদক আইনের কড়া সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, দুদক আইনে সংশধোনী এনে একটি বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। একই ধরনের ঘটনায় দুদকও যাবে, থানাও যাবে। সুতরাং এ বিষয়টি আর বিলম্ব করা যাবে না। ১০ তারিখে হয়তো পার্লামেন্ট বন্ধ হয়ে যাবে। তাহলে এ সেকশনগুলো দুদক থেকে বাদ দিয়ে পেনাল কোডে ফেরত দিতে হবে। এ ধরনের অমনোযোগী হয়ে যাতে আর ভবিষ্যতে কোনো আইনের সংশোধন না করা হয় এদিকে আইন মন্ত্রণালয়কে খুব কড়া দৃষ্টি রাখতে হবে। 

তিনি বলেন, দুদক আইন সংশোধন করে অপরাধের ৪২০, ৪৬৬, ৪৬৭, ৪৬৮, ৪৬৯ এবং ৪৭৯ ধারা নিয়ে জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। এ ধরনের প্রতারণা ও জালিয়াতিমূলক মামলাগুলো থানাতেই নিষ্পত্তি সম্ভব। তবে আইন মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের কারণে এখন থানা পুলিশ আর মামলা নিতে চায় না।

দুদক আইনে সৃষ্ট এ জটিলতা প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সুরঞ্জিত বলেন, আইনটি সংশোধন করার আগে আরো বিবেচনা করা উচিত ছিল। আমার ধারণা, আইন সংশোধনে যারা যুক্ত ছিলেন তাদের মনোযোগের ঘাটতি ছিল। এ সময় সভায় আওয়ামী লীগ নেতা চিত্তরঞ্জন দাশ, ফয়েজ উদ্দিন মিয়া, হুমায়ুন কবির মিজি উপস্থিত ছিলেন। 

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!