DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্র এক নম্বর দেশ নয়!

download (10)বিশ্বের  সবচেয়ে ক্ষমতাধর, ধনী ও ভাগ্যবান জাতি হিসেবে মার্কিনিরা আত্মতৃপ্তি লাভ করে থাকেন। যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক শক্তি সম্পর্কে গোটা বিশ্ব অবগত। এমনকি যেখানে যাই ঘটে, মানুষ সিআইএকে দোষারোপ করে। সবাই জানে, যুক্তরাষ্ট্রই বিশ্বে এক নম্বর। কিন্তু আসলেই কি তাই? বুধবার ‘নিউইয়র্ক টাইমস’ পত্রিকায় প্রকাশিত এক নিবন্ধে মার্কিন সাংবাদিক নিকোলাস ক্রিস্টোফা লিখেছেন ‘আমরা এক নম্বর নই’। যুক্তরাষ্ট্রকে এক নম্বর ভাবা হলেও অনেক দিক থেকেই পিছিয়ে রয়েছে মার্কিনিরা। যুক্তি হিসেবে তিনি তার লেখায় বেশকিছু বিষয় উল্লেখ করে বলেছেন, ‘মাথাপিছু আয়ের দিক থেকে নরওয়ের নাগরিকরা আমাদের চেয়ে এগিয়ে, জাপানিদের গড় আয়ু আমাদের চেয়ে বেশি।’ এমনকি সামাজিক অগ্রগতি সূচকে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান ১৬তম। আর সবার ওপরে নিউজিল্যান্ড। নিউজিল্যান্ডের পরের অবস্থানে যথাক্রমে সুইজারল্যান্ড, আইসল্যান্ড ও হল্যান্ড। অথচ এই দেশগুলো মাথাপিছু আয়ের দিক দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে পিছিয়ে।’


নিবন্ধে ক্রিস্টোফা লিখেছেন, ঊনবিংশ শতকে ভাগ্যান্বেষণে আয়ারল্যান্ডের বহু মানুষ যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে এসেছিলেন। সেই আয়ারল্যান্ড এখন সামাজিক অগ্রগতি সূচকে যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে এগিয়ে। দেশটির অবস্থান বিশ্বে ১৫তম। প্রকাশিত ওই নিবন্ধে তিনি আরো লিখেছেন, ‘উচ্চতর শিক্ষায় যুক্তরাষ্ট্র সবাইকে ছাড়িয়ে গেছে। কিন্তু সূচকে সুস্বাস্থ্যের দিক থেকে মার্কিনিরা বিশ্বে ৭০তম, পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষায় ৬৯তম, মৌলিক শিক্ষায় ৩৯তম, বিশুদ্ধ পানি প্রাপ্তি ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থায় ৩৪তম, ব্যক্তিগত নিরাপত্তায় ৩১তম। এছাড়া সেলফোন ও ইন্টারনেট ব্যবহারের দিক থেকেও মার্কিনিরা ২৩তম স্থানে রয়েছে, যা সত্যিকার অর্থে হতাশাজনক। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজন ইন্টারনেট ব্যবহার করে না।’


সার্বিকভাবে ১৯৭৫ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি ফ্রান্সকে ছাড়িয়ে যায়। অথচ ওই সময়ে ফ্রান্সের শতকরা ৯৯ ভাগ মানুষ যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে বেশি নাগরিক সুবিধা পেয়েছে। সব মিলিয়ে ক্রিস্টোফার অভিমত, যুক্তরাষ্ট্র তার অর্থনৈতিক ও সামরিক শক্তিকে নিজেদের নাগরিকদের কল্যাণে ব্যবহার করতে পারছে না। তাই যুক্তরাষ্ট্রকে বিশ্বে এক নম্বর বলা যুক্তিসঙ্গত নয়।



 

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!