DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

বিএনপির জাতীয় নির্বাচন প্রস্তুতি-২ঃ বরিশাল বিভাগ।

দৈনিক প্রথম বাংলাদেশ প্রতিবেদনঃ  আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশের অন্যতম বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপি এখন সারা দেশে নতুন করে রাজনৈতিক তৎপরতা শুরু করেছে।

আগামী নির্বাচন যাতে অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু হয় সে লক্ষ্যে দলটির অভ্যন্তরে কৌশলগত বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে।

সংগঠন পুনর্গঠন করতে ইতোমধ্যে ৫১টি টিম গঠন করেছে কেন্দ্রীয় বিএনপি। এসব টিম সারাদেশে কর্মিসভা এবং দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম আরও জোরদার করতে নির্দেশনা দেবে।

জাতীয় রাজনীতি, আগামী নির্বাচন ও সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন নেতারা। একই সঙ্গে ৩০০টি নির্বাচিত আসনে মনোনয়ন নিশ্চিত করতে তৎপর হবে দলটি।

আগামী নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপির রাজনৈতিক লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে ধারাবাহিক প্রতিবেদনের আজ দ্বিতীয় পর্ব।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মঙ্গলবার বলেছেন, নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকার এবং নির্বাচনের পরিবেশ থাকলে বিএনপি নির্বাচনের জন্য সব সময় প্রস্তুত। ৩০০টি সংসদীয় আসনে বিএনপির ৯০০ প্রার্থী আছে।

আওয়ামী লীগ নির্বাচন সামনে রেখে প্রার্থী বাছাই করছে, বিএনপি এ প্রক্রিয়া শুরু করেছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের কাজের সঙ্গে বিএনপির কাজের তুলনা করার প্রয়োজন নেই। বিএনপি একটা নির্বাচনমুখী রাজনৈতিক দল।

 

বিএনপি নির্বাচনে বিশ্বাস করে। যদি নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকার থাকে এবং নির্বাচনের পরিবেশ প্রস্তুত থাকে, তাহলে বিএনপি নির্বাচনের জন্য সব সময় প্রস্তুত।

বিএনপির একাধিক শীর্ষনেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে  জানান, নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকার নিয়ে রাজনীতির মাঠ সরব থাকার পাশাপাশি সংসদীয় আসন গুলোতে সম্ভাব্য প্রার্থীদের খসড়া তালিকা চূড়ান্ত করার প্রতিও মনোযোগী হচ্ছেন দলটির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। অনেকটা নীরবেই এ বিষয়ে কাজ চলছে।

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও বরিশাল বিভাগের রাজনৈতিক অভিভাবক মজিবুর রহমান সরোয়ার দৈনিক প্রথম বাংলাদেশ কে এ প্রসঙ্গে বলেন, ভোলায় ৫ ও ৬ মে সাংগঠনিক সফর অনুষ্ঠিত হবে। এ সফরে তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিরসনসহ সাংগঠনিক তৎপরতা বাড়াতে উদ্যোগ নেয়া হবে। আগামী নির্বাচনে সফল হতে দলের অভ্যন্তরীণ কৌশলগত বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েও কাজ করা হবে।

 

মনোনয়ন প্রত্যাশীদের বিষয়টি চূড়ান্ত করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা মাঠের লোক। মাঠের রাজনীতি নিয়েই আছি। সংগঠনকে শক্তিশালী করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। পরবর্তী নির্বাচনে মনোনয়নের বিষয়টি কেন্দ্র থেকেই চিন্তা-ভাবনা করবে।

তবে তৃণমূলে কার কী অবস্থা, এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন আমরা দলের চেয়ারপারসনের কাছে হস্তান্তর করব। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী দলের প্রধান সার্বিক বিষয়গুলো বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন।

 

আগামী নির্বাচনে সংসদীয় আসনগুলোতে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীদের খোঁজ-খবর নিতে বেশ কয়েকদিন ধরে অনুসন্ধান চালায় দৈনিক প্রথম বাংলাদেশ। সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিয়ে ধারাবাহিক প্রতিবেদনের এ পর্বে থাকছে বরিশাল বিভাগের ছয় জেলার ২১টি সংসদীয় আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সম্ভাব্য তালিকা।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, ঝালকাঠি- ১ (রাজাপুর-কাঁঠালিয়া) সংসদীয় আসন থেকে এবার মনোনয়ন প্রত্যাশী বিএনপির চার নেতা। তাদের মধ্যে রয়েছেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ও জেলা বিএনপির উপদেষ্টা রফিকুল ইসলাম জামাল, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা ও জেলা বিএনপির উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট রফিক হাওলাদার ও কেন্দ্রীয় মহিলা দল নেত্রী মমতাজ বেগম।

 

ঝালকাঠি- ২ (সদর-নলছিটি) আসনে মনোনয়ন পেতে জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী সদস্য মাহবুবুল হক নান্নু, কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী সদস্য জেবা আহমেদ খান, সাবেক এমপি (২০০১-২০০৬) ইলেন ভুট্টো, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবি এ্যাড. শাহাজাদী কুহিনূর পাপড়ি, জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মিঞা আহমেদ কিবরিয়া, কেন্দ্রীয় জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক সংসদ মহাসচিব নুরুল ইসলাম খান বাবুল, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলাম, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট হোসেন আলী খান।

 

 

পিরোজপুর- ১ পিরোজপুর সদর-নাজিরপুর ও নেছারাবাদ (স্বরূপকাঠি) আসন থেকে আগামী নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছেন- জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি গাজী নুরুজ্জামান বাবুল, আমেরিকা প্রবাসী বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সাবেক বৈদেশিক উপদেষ্টা এবং বিএনপির বিশেষ দূত জাহিদ এফ সরদার সাদী, পিরোজপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আলমগীর হোসেন, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের সদস্য নৌযান ব্যবসায়ী ফকরুল আলম, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও নাজিরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম খান, জেলা বিএনপি সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আকন, মহিলা দলের কেন্দ্রীয় নেত্রী এলিজা জামান। জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ছেলে শামিম বিন সাঈদীও মনোনয়ন চাইবেন বলে গুঞ্জন রয়েছে।

 

পিরোজপুর- ২ (কাউখালী, ভান্ডারিয়া ও ইন্দুরকানী) আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশীরা হলেন- জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি গাজী নুরুজ্জামান বাবুল, বিএনপি নেতা ও সাবেক মন্ত্রী নুরুল ইসলাম মঞ্জুর ছেলে জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও ভান্ডারিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি আহমদ সোহেল মনজুর সুমন, জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ছেলে ইন্দুরকানী উপজেলা চেয়ারম্যান মাসুদ বিন সাঈদী, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ যুক্তরাজ্য শাখার যুগ্ম-আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার এ কে এম রেজাউল করিম, কাউখালী উপজেলা চেয়ারম্যান ও বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এস এম আহসান কবীর, ইন্দুরকানী উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. আব্দুল লতিফ হাওলাদার, জেলা বিএনপির সদস্য সাবেক সেনা কর্মকর্তা মেজর (অব.) ব্যারিস্টার সরোয়ার হোসেন। এছাড়া আরও কয়েকজন স্থানীয় নেতা মনোয়ন চাইতে পারেন বলে জানা গেছে।

 

পিরোজপুর-৩ (মঠবাড়িয়া) থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশীরা হলেন জেলা বিএনপির সদস্য ও সাবেক কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক কর্নেল (অব.) শাহজাহান মিলন, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমীন দুলাল, পিরোজপুর জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি প্রবীণ রাজনীতিবীদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ জি আলীম, জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রফিকুল ইসলাম মাহতাব, জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক জামাল উদ্দিন খান মিলন, জেলা বিএনপির সদস্য কামাল উদ্দিন আকন ও জিয়া পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা জিয়াউল ফারুক শামসু তালুকদার।

 

পটুয়াখালী- ১ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীরা হলেন- জেলা বিএনপির সভাপতি এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, বিশিষ্ট শিল্পপতি ডা. আতাহার উদ্দিন, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি শাহাদাত হোসেন মৃধা, জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আবদুর রশিদ চুন্নু মিয়া, ছাত্রদলের সাবেক জেলা সভাপতি ও জেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আলহাজ অ্যাডভোকেট তৌফিক আলী খান কবির।

 

পটুয়াখালী- ২ (বাউফল) আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীরা হলেন- সাবেক এমপি শহিদুল আলম তালুকদার, কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-দফতর সম্পাদক মনির হোসেন, জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি এ কে এম ফারুক আহমেদ তালুকদার।

 

পটুয়াখালী- ৩ (দশমিনা-গলাচিপা) আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশীরা হলেন- কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য ও সাবেক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি হাসান আল মামুন, সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান খান, গলাচিপা উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ গোলাম মোস্তফা।

 

পটুয়াখালী- ৪ (কলাপাড়া-রাঙ্গাবালী) থেকে বিএনপির প্রশিক্ষণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন।

 

বরগুনা- ১ আসন থেকে মনোয়ন দৌড়ে এগিয়ে আছেন বরগুনা জেলা বিএনপির সভাপতি মাহবুবুল আলম ফারুক মোল্লা, বিএনপির সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী বিমান শ্রমিক দলের সভাপতি ফিরোজ উজ জামান মামুন, বরগুনা-২ আসনের সাবেক এমপি ও বরগুনা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. মতিয়ার রহমান তালুকদার।

 

বরগুনা- ২ আসন থেকে সাবেক সংসদ সদস্য ও বরগুনা জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. নুরুল ইসলাম মনি, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন।

 

বরিশাল- ১ সংসদীয় আসন থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশীরা হলেন- বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সোবহান, বরিশাল বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান এবং সম্প্রতি ১০ বছর পর বিএনপিতে ফেরা সংস্কারবাদী নেতা জহির উদ্দিন স্বপন।

 

বরিশাল- ২ আসনে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য সরফুদ্দিন শান্ত।

 

বরিশাল- ৩ আসনে দলের ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান ও অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদিন মনোনয়ন চাচ্ছেন।

 

বরিশাল- ৪ আসনে সাবেক এমপি ও বরিশাল উত্তরের সভাপতি মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ।

 

বরিশাল- ৫ আসনে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মজিবুর রহমান সরোয়ার এবং বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিছ জাহান শিরিনের মধ্যে একজনকে মনোনয়ন দেয়া হবে।

 

বরিশাল- ৬ আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে সাবেক এমপি ও বাকেরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল হোসেন খানের নাম শোনা যাচ্ছে।

 

ভোলা- ১ আসনে জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম নবী আলমগীর।

 

ভোলা- ২ আসনে সাবেক এমপি হাফিজ ইব্রাহিম।

 

ভোলা-৩ আসনে দলের ভাইস চেয়ারম্যান মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।

 

ভোলা- ৪ আসনে সাবেক এমপি নাজিম উদ্দিন আলমের নাম শোনা যাচ্ছে।

 

মনোনয়ন প্রত্যাশার বিষয়ে জানতে চাইলে বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিছ জাহান শিরিন বলেন, এ মুহূর্তে দল পুনর্গঠনের নির্দেশনা কেন্দ্র থেকে দেয়া হয়েছে। তাই জেলা, উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে দল পুনর্গঠনের কাজ নিরলসভাবে করে যাচ্ছি।

 

তিনি আরও বলেন, মনোনয়নের বিষয় নিয়ে এখনও কোনো আলোচনা হয়নি। কেন্দ্র থেকে নির্বাচনের বিষয়ে এখনও কোনো নির্দেশনা দেয়া হয়নি। মনোনয়নের বিষয়টি কেন্দ্র থেকে নির্ধারণ করা হবে। এ বিষয়ে কেন্দ্রই ভালো জানে।

 

পটুয়াখালী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুর রব মিয়া  বলেন, মনোনয়ন ম্যাডাম দেবেন। তবে আমাদের এ বিষয়ে ভাবতে বললে আমরা ভাবব। আমরা তো পদাধিকার বলে মনোনয়ন কমিটিতে থাকি। ম্যাডাম চাইলে কাজ করব।

 

কর্মিসভা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ২২ এপ্রিল কর্মিসভার তারিখ নির্ধারণ ছিল। কিন্তু বিএনপির আরেকটি পক্ষের পাল্টা কর্মিসভা ও পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগের কারণে সেদিন ১৪৪ ধারা জারি করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। এরপর নতুন করে তারিখ নির্ধারণ হয়নি।

 

ঝালকাঠি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম নূপুর বলেন, এখন দল নিয়ে ভাবছি। কীভাবে সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করা যায়। মনোনয়ন পরের বিষয়। তা নিয়ে পরে ভাবা যাবে।

 

তিনি আরও বলেন, ঝালকাঠিতে এখনও কর্মিসভার তারিখ নির্ধারণ হয়নি। তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই কর্মিসভা অনুষ্ঠিত হবে।

 

বরগুনা জেলা বিএনপির সভা্পতি মাহবুবুল আলম ফারুক মোস্তফা জানান, তার জেলায় ৬ মে কর্মিসভার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে কর্মিসভা অনুষ্ঠিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

 

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী বাছাইয়ের বিষয়ে তিনি বলেন, এ বিষয়ে কেন্দ্র ভালো জানে। আমরা নমিনেশন চাই। ম্যাডাম যে জরিপ করছেন আশা করি সেই জরিপে আমার নামও থাকবে। কারণ আমরা দলের জন্য কাজ করি। আতীতেও ছিলাম ভবিষ্যতেও দলের জন্য প্রাণ দিয়ে কাজ করে যাব।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!