DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

ইউক্রেন সংকটঃ রাশিয়ার সঙ্গে সামরিক সম্পর্ক স্থগিত করলো যুক্তরাষ্ট্র

ইউক্রেন নিয়ে বিশ্বের দুই শীর্ষ পরাশক্তি রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে কূটনৈতিক যুদ্ধ একরকম শুরু হয়েই গেলো। রাশিয়া ইউক্রেন থেকে সেনা প্রত্যাহারের আহ্বান নাকচ করে দেয়ার পর পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে দেশটির সঙ্গে সকল ধরনের সামরিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

 
image_80155_0সোমবার বিকেলে মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ রাশিয়ার সঙ্গে সকল যৌথ সামরিক মহড়া ও অন্যান্য কার্যকলাপ স্থগিত করেছে।
 
এদিন পেন্টাগনের মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল জন কিরবাই বলেন, ‘পেন্টাগন গত কয়েক বছরে রুশ সেনাবাহিনীর সঙ্গে যে সম্পর্ক গড়ে তুলেছিল তার অবশ্যই মূল্য দেয়। কিন্তু তারা সেটির মূল্য দেয়নি। তাই তাদের সঙ্গে সকল ধরনের দ্বিপাক্ষিক সামরিক সংস্রব স্থগিত করা হয়েছে। এরমধ্যে সামরিক পরিকল্পনা, সেনা ঘাঁটি পরিদর্শন, দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মতো বিষয়গুলোও অন্তর্ভূক্ত।’ তিনি আবার ক্রিমিয়া থেকে সেনা প্রত্যাহার করে দ্বীপটি ইউক্রেনের কাছে ফিরিয়ে দিতে রাশিয়াকে আহ্বান জানান।  
 
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র দেশগুলো যতই তৎপরতা চালাক না কেনো সোমবার রাশিয়া সরকার স্পস্ট করে বলেই দিয়েছে যে, ইউক্রেন থেকে কোনো ভাবেই সেনা প্রত্যাহারের প্রশ্নই ওঠে না। রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রী সার্গেই লেভরভ এদিন বলেন, রাশিয়া উগ্র-জাতিয়তাবাদী হুমকির বিরুদ্ধে মানবাধিকার সুরক্ষায় কাজ করছে। ইউক্রেনের রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত সেখানকার রুশ নাগরিকসহ অন্যান্যদের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করবে তারা।
 
এছাড়া ইউক্রেনের সদ্য বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ভিক্টর ইয়ানুকোভিচ তার দেশে সুশীল সমাজকে রক্ষায় সীমান্তে সেনা পাঠাতে রেুশ কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছেন। সোমবার জাতিসংঘে মস্কোর রাষ্ট্রদূত ভিতালি চুরকিন এ তথ্য জানিয়েছেন। গত শনিবার ইয়ানুকোভিচ রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে চিঠি লিখে এই অনুরোধ করেন বলে জানান তিনি।
 
অন্যদিকে ইউক্রেনে রাশিয়া বিরোধী বিক্ষোভ অব্যাহত আছে। সোমবারও রাজধানী কিয়েভে হাজার হাজার মানুষ রাশিয়া বিরোধী বিক্ষোভ করেছে। কিন্তু তারপরও এদিন পূর্বাঞ্চলীয় শহর দোনেস্ক ও ওডিস্যাতে রাশিয়াপন্থি কিছু মানুষ বেশ কয়েকটি সরকারি ভবনে হামলা চালায় ও ভাঙচুর করে।
 

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!