DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

বিএনপি কি বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখেই নির্বাচনে যাবে ???????

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ  অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় হচ্ছে,  আগামী নির্বাচন সম্পর্কে বিএনপি নেতাদের বক্তব্য এখন অসচ্ছ। তাদেরকে যখন বলা হয় যে, আপনারা কি আগামী নির্বাচনে যাবেন? তখন তারা সোজাসুজি কোনো জবাব দেন না। তারা বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে সাথে নিয়েই আমরা নির্বাচনে যাবো। যখন তাদেরকে বলা হয় যে, এই সরকারের অধীনেই কি আপনারা নির্বাচন করবেন? তখনও তারা স্পষ্ট কোনো জবাব দেন না। বলেন, নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হতে হবে। সেটি নিশ্চিত করতে পারে একমাত্র নির্বাচনকালীন সরকার। সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করা এবং লেভেল প্লেইং ফিল্ড সৃষ্টি করার জন্য বর্তমান সংসদ ভেঙে দিতে হবে এবং সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার দিয়ে নির্বাচন পাহারা দিতে হবে।

গত ৩ বছর ধরেই আওয়ামী লীগ সরকার এসব দাবি সরাসরি প্রত্যাখ্যান করে আসছে। সর্বশেষ গেলো  গেল সপ্তাহে নেপাল থেকে ফিরে অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সেখানে তিনি এই  দাবিকে পত্র পাঠ বিদায় দিয়েছেন। সংলাপের প্রশ্ন উঠলে  শেখ হাসিনা বলেছেন, আমি যতদিন আছি ততদিন বিরোধী দলের সাথে কোনো সংলাপ নয়। বিএনপি যদি সংলাপ চায় তাহলে নির্বাচন কমিশনের সাথে সংলাপ করতে পারে। তখন নির্বাচন কমিশনকে সংলাপ বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়। নির্বাচন কমিশনও সাফ জানিয়ে দিয়েছে যে, বিরোধী দলের সাথে কোনো সংলাপ করার মতো এজেন্ডা তার কাছে নাই।


সংবাদ সম্মেলনে প্রদত্ত প্রধানমন্ত্রীর এসব সাফ জবাবের পর বিএনপি নেতাদের প্রশ্ন করলে জবাব দেয়া হয় যে, আন্দোলনের মাধ্যমেই এসব দাবি আদায় করা হবে। কবে আন্দোলন শুরু হবে তার জবাবে ফখরুল বলেন যে, ঐক্য প্রতিষ্ঠার জন্য আলোচনা চলছে। শীঘ্রই কর্মসূচি দেওয়া হবে। এই হলো বেগম জিয়ার কারাদন্ড এবং কারাবাসের কাহিনী।

আমার ধারনা মুক্তি দেওয়ার জন্য বেগম জিয়াকে জেলখানায় নেওয়া হয়নি। আমি এটাও পরিষ্কার বলছি যে, আগামী নির্বাচনের আগে বেগম জিয়ার মুক্তির কোনো সম্ভাবনা নাই এবং তাকে আর একটি মামলায় আর একটি দন্ড দেওয়া হবে যাতে তার কারামুক্তির সব দরজা বন্ধ হয়ে যায়। তাই যদি না হবে তাহলে জিয়া অর্ফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বেগম জিয়াকে হাইকোর্ট জামিন দিয়েছে এবং যেখানে সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার জজও যে আপিল আটকে দেননি সেখানে বেগম জিয়া আজও কারাগারে থাকছেন কেন? উপরন্তু জিয়া চ্যারিট্যাবল ট্রাস্ট মামলায় আদালত আলিয়া মাদ্রাসা থেকে স্থানান্তরিত করে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে আসা হয়েছে কেন?


জিয়া অর্ফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বেগম জিয়ার জামিনের আবেদন চেম্বার জজ সুপ্রিম কোর্টের ফুল বেঞ্চে পাঠিয়ে দিয়েছেন। এর সহজ সরল অর্থ এই যে, এখন পর্যন্ত জিয়া অর্ফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন বহাল রয়েছে। সুতরাং বেশ কয়েক দিন আগেই তার জেল থেকে বেরিয়ে আসার কথা। যে মামলায় তিনি জেল খাটছেন সেই মামলাতেই তিনি যদি জামিন পেয়ে যান তাহলে আর খুচরা মামলাগুলোতে তাকে জেল খানায় আটকে রাখা যে নেহাৎই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সেটা বোঝার জন্য বেশি বিদ্যা বুদ্ধির দরকার হয় না। তার বিরুদ্ধে রজুকৃত ৩৬টি মামলার মধ্যে জিয়া অর্ফানেজ ট্রাস্ট সহ ৩৪টি মামলায় তিনি জামিন পেয়েছেন। জাঁদরেল আইনজীবীদের মতে, অবশিষ্ট দুইটি মামলা কোনো মামলাই নয়। এই দুটিতেও এমাসের মধ্যেই জামিন হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু হাসিনা সরকার তো চাচ্ছে তাকে কারাগারের ঐ লোহার শিকের অন্তরালে বন্দি রাখতে।


সে জন্যই তো এই অবৈধ সরকার চায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলাটি যত দ্রুত সম্ভব শেষ করতে এবং অর্ফানেজ ট্রাস্ট মামলার মতো আর একটি রায় আদায় করতে, যাতে বেগম জিয়াকে আরো ৫ বছর জেলখানায় আটকে রাখা যায়। অর্ফানেজ ট্রাস্ট মামলা বাংলাদেশের আর ১০টা নিম্ন আদালতের মতোই বিচার হওয়ার কথা। কিন্তু সেটি না করে আলিয়া মাদ্রাসায় নিয়ে আসা হয় সেই আদালত। সেই আদালত থেকে ৫ বছরের জেল দেওয়া হয়।
এখন তারা আলিয়া মাদ্রাসাতেও ভরসা পাচ্ছে না। তাই জিয়া চ্যারিট্যাবল ট্রাস্ট মামলার বিচারের জন্য আদালতকে এবার নাজিমুদ্দিন রোডের কারাগারের ভেতরে নিয়ে আসা হয়েছে। এইখানে লোকচক্ষুর অন্তরালে ক্যামেরা ট্রায়াল করে তাকে কমপক্ষে আরো ৫ বছরের শাস্তি দিতে চায় তারা। অবশিষ্ট দুইটি মামলায় জামিন হলে হোক। চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় তো তাকে ৫ বছরের জন্য আটকে রাখা যাবে। আর সে মামলায়ও যদি বেইল হয় তা হলে সেটাও হবে ইলেকশনের পরে। এই ফাঁকে আওয়ামী লীগের কেল্লা ফতে।

দুই.আরও একটি কথা মনে রাখা দরকার। বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে যে ৩৬টি মামলা রয়েছে তার মধ্যে ৩২টি মামলাই দিয়েছে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার। সুতরাং সরকারের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য অত্যন্ত পরিষ্কার। বেগম জিয়াকে নিয়ে সরকার আসলে কী করতে চায়? এ ব্যাপারে বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল, রুহুল কবির রিজভী প্রমুখ নেতা সরকারের আসল উদ্দেশ্য ব্যক্ত করেছেন। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গত শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে সরকারের বিরুদ্ধে এই মর্মে মারাত্মক অভিযোগ এনেছেন যে, বেগম জিয়াকে একটি মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে এখন চিকিৎসাবঞ্চিত করে সরকার তাকে হত্যা করার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, গত বৃহস্পতিবার বেগম জিয়ার আত্মীয়স্বজনরা তার সাথে দেখা করেছেন এবং বিএনপি নেতাদেরকে জানিয়েছেন যে, বেগম জিয়া মারাত্মক রকম অসুস্থ। অথচ সরকার তার চিকিৎসার ব্যাপারে সম্পূর্ণ উদাসীন। এর উদ্দেশ্য হলো জেলখানায় তাকে মেরে ফেলে দেওয়া।


 ভাবুন তো আজ যদি আওয়ামী লীগ বিরোধী দলে থাকতো, বিএনপি সরকারে থাকতো এবং শেখ হাসিনা কারাগার থেকে বলতেন, আমাকে বাঁচান, তাহলে কী ঘটতো? তাহলে আজ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা কি সারা ঢাকা মহানগরীতে দক্ষ যজ্ঞ কান্ড বাঁধাতেন না? রাজপথকে উত্তাল করতেন না? বিএনপি নেতাকর্মীরা সেটা কেন পারেন না? তাদের মিটিং ডাকলেই তো লক্ষ লোকের সমাবেশ হয়। তারা কি পারেন না সত্যাগ্রহ করতে? পারেন না লক্ষ লোক স্বতঃস্ফূর্তভাবে কারা বরণ করতে? তারা কি পারেন না আরো কঠোর কিছু করতে?
 হরতাল তো অসাংবিধানিক নয়। ঘেরাও সহিংস নয়। এই সব কিছুই সাংবিধানিক এবং অহিংস। কতদিন চলবে এই মানববন্ধন, গোল টেবিল বৈঠক আর সেমিনারের মতো অকার্যকর কর্মসূচি?

বি চৌধুরী এবং কামাল হোসেন তো বলেই দিয়েছেন যে, বেগম জিয়ার মুক্তির প্রশ্নে তারা কোনো আন্দোলনও করবেন না। এখনো তারা সেই অবস্থানেই আছেন। বেগম জিয়ার গুরুতর স্বাস্থ্যহানি ঘটেছে। কিন্তু তার পরেও বি চৌধুরী এবং কামাল হোসেনরা নির্বিকার।অনেকে এদের দুজনের ভাষার সাথে হাসিনার ভাষার মিল খুজে পাচ্ছে।


এর মধ্যে এ মাসে একটি মারাত্মক ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে। এমাসে ২০০৪ সালের ২১ অগাস্টের গ্রেনেড হামলা মামলার রায় ঘোষিত হতে যাচ্ছে। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সেই রকম কথাই বলেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন যে, বেগম খালেদা জিয়া যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তখন তার নির্দেশে তার পুত্র তারেক রহমানের তত্ত্বাবধানে ঐ গ্রেনেড হামলা করা হয়। শেখ হাসিনা বলেছেন যে, এই হামলায় খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমান যে জড়িত, সে ব্যাপারে সন্দেহের কোনো অবকাশ নাই। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন যে, গ্রেনেড হামলা মামলার রায় হলে বিএনপি একটি বড় রকমের বিপর্যয়ে পড়তে পারে। প্রধানমন্ত্রী এবং সেতুমন্ত্রীর কথায় এটি মোটামুটি পরিষ্কার যে কী রকমের বিপর্যয় ঘটতে পারে। সে ব্যাপারে আমরা কোনো জল্পনা-কল্পনার মধ্যে নাই। তবে ভারতের এক সাবেক জাঁদরেল কুটনীতিক এবং থিংক ট্যাংক এ ব্যাপারে যা বলেছেন সেটি অত্যন্ত স্পষ্ট। এই জাঁদরেল সাবেক আমলা হলেন পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তী। তিনি বাংলাদেশে ভারতের হাই কমিশনার ছিলেন। এছাড়া তিনি ভারতের পররাষ্ট্র সচিবও ছিলেন।

গত ৫ অগাস্ট পিনাক রঞ্জন সাউথ এশিয়ান মনিটর নামক একটি পত্রিকায় বাংলাদেশের ওপর একটি সুদীর্ঘ কলাম লিখেছেন। কলামটির শিরোনাম হলো ‘Shadow of India, Hasina govt’s corruption, repression of BNP looms over Bangladesh polls.’ অর্থ, ‘ভারত, হাসিনা সরকারের দুর্নীতি এবং বিএনপির ওপর নির্যাতনের ছায়া বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচনে’। এই কলামের এক স্থানে মামলার সম্ভাব্য রায় সম্পর্কে তিনি লিখেছেন, In the coming days and weeks verdicts of courts in the 21 August grenade attack case is expected. Both Khaleda Zia and Tarique may be handed down death sentences.
If that happens Bangladesh will certainly be wrecked by widespread agitation. There is always the lurking danger of military intervention though Hasina has been very careful in nurturing the military and choosing its leadership with care.

বাংলা অনুবাদ, ‘আগামী দিনগুলিতে গ্রেনেড হামলা মামলার রায় হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। খালেদা জিয়া এবং তারেক উভয়কেই মৃত্যুদন্ড দেওয়া হতে পারে। যদি সেটিই ঘটে তাহলে বাংলাদেশ ব্যাপক বিক্ষোভে ফেটে পড়বে। এর ফলে সামরিক হস্তক্ষেপের একটি আশঙ্কা থেকে যাবে। তবে সামরিক বাহিনীর নেতৃত্ব নির্বাচনের বেলায় হাসিনা অত্যন্ত যত্মবান ছিলেন এবং সেই সামরিক বাহিনীকে অত্যন্ত যত্মের সাথে লালন করেছেন।’
 গ্রেনেড হামলা মামলার রায় নিয়ে আমরা কোনো জল্পনা-কল্পনা কোনো দিনই করি নাই। বরং সেই আশঙ্কাটি প্রকাশ করেছেন ভারতের সাবেক পররাষ্ট্র সচিব পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তী। তিনি এও আশঙ্কা করেছেন যে, তেমন একটি রায় হলে সারা বাংলাদেশ বিক্ষোভে ফেটে পড়বে।

পিনাক রঞ্জনের কথা অনুযায়ী তেমন একটি রায় যদি আসেও তাহলেও কি বিএনপি নির্বাচনে যাবে?

এমন অবস্থাতেও দেখা যাচ্ছে যে, এসব বিষয়ে মাঠে নামার জোর তৎপরতার পরিবর্তে তাদের ভাষায় ‘জাতীয় ঐক্যের’ জন্য বিএনপি বারবার বি চৌধুরী এবং কামাল হোসেনদের দরজায় ধরনা দিচ্ছে। বিএনপির এ কেমন রাজনীতি সেটি অভিজ্ঞ রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বুঝতে অক্ষম। বিএনপি কি আসলেই রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে গেছে?

নাকি এতই দুর্বল যে, আন্দোলন করার জন্য তাকে জনসমর্থনহীন, অশতিপর বৃদ্ধ বি চৌধুরী এবং কামাল হোসেনের ঘাড়ে ভর করতে হচ্ছে? অনেকেই বলছেন যে, বি চৌধুরী এবং কামাল হোসেন একদিকে মাঠের রাজনীতিতে সম্পূর্ণ অনভিজ্ঞ এবং অন্যদিকে কর্মীসংখ্যা ও সংগঠনের দিক দিয়ে হীনবল। তাদের এই বুড়ো কাঁধ কি খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলনের গুরুভার বহন করতে পারবে?


তিন. খালেদার আদালত এখন আবার আলিয়া মাদ্রাসা থেকে নাজিমুদ্দিন রোডের কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছে। গুরুতর অসুস্থ বেগম জিয়াকে হুইল চেয়ারে করে জোর করে আদালতে আনা হয়। বেগম জিয়া তখন কাঁপছিলেন। তিনি আদালতকে সাফ জানিয়ে দেন যে, তিনি অসুস্থ এবং এই শরীরে বারবার আদালতে আসতে পারবেন না। তিনি আরো বলেন যে, তিনি জানেন যে, এই আদালতে ন্যায় বিচার পাবেন না।

তাই তিনি আসবেন না। এজন্য আদালত তাকে যত ইচ্ছা শাস্তি দিক, যত বছর খুশি শাস্তি দিক। সেই দিন মামলা আর এগোয়নি। আদালত পরবর্তী শুনানীর জন্য ১২ সেপ্টেম্বর ধার্য করেছে।

এদিকে বিএনপি বেগম জিয়ার চিকিৎসার জন্য তাকে এ্যাপোলো হাসপাতাল বা ইউনাইটেড হাসপাতাল বা যে কোনো বিশেষায়িত প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা প্রদানের আবেদন জানিয়েছে। তাকে উপযুক্ত চিকিৎসা না দিলে তারা আদালতে যাবেন না বলেছেন। সম্ভবত কারাগারের অভ্যন্তরে আদালত বসানোকে চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে রিট করা হবে বলে বলা হয়েছে।


আজকে আমরা বি চৌধুরী ও কামাল হোসেনের সাথে জোট গঠনের আলোচনায় গেলাম না। কারণ ফখরুল সাহেব তাদেরকে যতই ছাড় দেওয়ার কথা বলুন না কেন, সেই ছাড় দেওয়ারও একটি সীমা আছে। ছাড় দিতে দিতে তারা কি সংসদীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতাও সারেন্ডার করবেন?

বেগম জিয়ার মুক্তির প্রশ্নেও কি বিএনপি ছাড় দেবেন?  বিএনপি কি অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দাবী অনুযায়ী  পরিক্ষিত বন্ধু জামায়াতকে পরিত্যাগ করে নামসর্বস্য নেতাদের সাথে জাতীয় ঐক্য করবে ? এসব সাবেক আওয়ামী লীগ নেতাদের নতুন জোটকে শেখ হাসিনা এবং তার দল স্বাগত জানানোকেও আমি সন্দেহের ছোখে দেখতে বাধ্য হচ্ছি। জামায়াতকে বাদ দিয়ে  এই তথাকথিত জাতীয় ঐক্য এককথায় হাসিনার হাতকেই শক্তিশালী করবে বলে আমার ধারনা। 

 তাদের সাথে মিশতে গিয়ে কি বিএনপি তার ভারত নীতিতে কম্প্রোমাইজ করবে?

আশা করছি এই গুরুত্বপুর্ন প্রশ্নগুলোর উত্তর আগামী দু মাসের মধ্যেই বেরিয়ে আসবে।

 

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!