DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

সাড়ে তিন মাস পর কারামুক্ত ফখরুল ও খসরু

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে সংঘর্ষের মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে সাড়ে তিন মাস কারাগারে কাটানোর পর জামিনে মুক্তি পেলেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

বৃহস্পতিবার বিকাল পৌনে ৪টার দিকে ঢাকার কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তাদের মুক্তি দেওয়া হলে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ফুল ছিটিয়ে তাদের বরণ করে নেন।

এ সময় পুরো এলাকা স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে। ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ভাইয়ের ভয় নাই, আমরা আছি তোমার সাথে’, ‘আমীর খসরু ভাই এগিয়ে চলো আমরা আছি তোমার সাথে’, ‘মহাসচিবের মুক্তি আন্দোলনের শক্তি’, ‘খসরু ভাইয়ের মুক্তি আন্দোলনের শক্তি’, ইত্যাদি স্লোগানের পাশাপাশি খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নাম ধরেও স্লোগান দেন নেতাকর্মীরা।

ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে সংঘর্ষের মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে সাড়ে তিন মাস কারাগারে কাটানোর পর বৃহস্পতিবার বিকালে ঢাকার কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

ফখরুল ও খসরু যখন গ্রেপ্তার হয়েছিলেন, তখন তাদের দল দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়ে আন্দোলনে ছিল। আর তারা যখন মুক্তি পেলেন, ততদিনে নির্বাচন হয়ে গেছে, আওয়ামী লীগ টানা চতুর্থবারের মত ক্ষমতায় এসেছে।

হুড খোলা গাড়িতে দাঁড়িয়ে হাত তুলে নেতা-কর্মীদের অভিবাদন জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “বাংলাদেশের জনগণ সব সময় গণতন্ত্রের জন্য, ভোটের অধিকারের জন্য, ভাতের অধিকারের জন্য সংগ্রাম করেছে, লড়াই করেছে। ইনশাল্লাহ এই সংগ্রামে তারা জয়ী হবে।”

বিজয় না হওয়া পর্যন্ত ‘গণতন্ত্র ফেরানোর আন্দোলন’ অব্যাহত রাখার দৃঢ় প্রত্যয় জানান মির্জা ফখরুল।

পরে আমীর খসরু বলেন, “ওরা রাষ্ট্র শক্তিকে কবজা করে ক্ষমতা দখল করেছে, বাংলাদেশের মানুষ তাদেরকে প্রত্যাখান করেছে। তারা নির্বাচনে নৈতিকভাবে জনগণের কাছে পরাজিত হয়েছে।

“আমরা বলতে চাই, গণতন্ত্রের আন্দোলন অটুট থাকবে। যতদিন দেশে গণতন্ত্র ফেরত না আসবে, জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার না আসবে, ততদিন এই সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে।”

ফখরুলকে বাড়ি নিয়ে যেতে কারাগারের ফটকে উপস্থিত হয়েছিলেন তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগম ও একান্ত সহকারী ইউনুস আলী। আর খসরুকে নিতে এসেছিলেন তার ছেলে ইস্রাফিল খসরু।

বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে কামরুজ্জামান রতন, তাইফুল ইসলাম টিপু, শামীমুর রহমান শামীম, নিপুণ রায় চৌধুরী, ফরহাদ হোসেন আজাদ, সাবেক এমপি আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম, শায়রুল কবির খানসহ অঙ্গসংগঠনের কয়েকশ নেতা-কর্মী ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রধান ফটকে উপস্থিত ছিলেন।

ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা মোটরসাইকেল নিয়ে দুই নেতার গাড়ি ঘিরে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!