DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

দেশের মানুষ কষ্টে নেই,দিনে তিনবার লিপস্টিক, চারবার স্যান্ডেল বদলাচ্ছে নারীরাঃটিপু মুন্শি

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ  দেশে  দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির মধ্যেও মোটেও কষ্টে নেই মিডনাইট হাসিনা সরকারের বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির নির্বাচনী এলাকার মানুষ। এমনকি এলাকায় হাজার হাজার মোটরসাইকেল, নারীরা দিনে তিনবার লিপস্টিক লাগাচ্ছে আর চারবার স্যান্ডেল বদলাচ্ছে!

বুধবার (৮ নভেম্বর) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সভাকক্ষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সী এসব কথা বলেন। এদিন ন্যাশনাল ট্যারিফ পলিসি মনিটরিং ও রিভিউ কমিটির সভা ছিল সচিবালয়ে।

মন্ত্রী এ কথাও বলেন যে, সারা দেশের অবস্থাটা ভিন্ন। শহরের যারা দিনমজুর, নিম্নশ্রেণির মানুষ তাদের খুব কষ্ট হচ্ছে। 

নিজের নির্বাচনী এলাকার কথায় মন্ত্রী বলেন, আজ থেকে ২০ বছর আগে আমার এলাকায় ১০টা মোটরসাইকেল ছিল। তখন আমি প্রথম নির্বাচন করি। আজ সেখানে হাজার হাজার মোটরসাইকেল। আমার এলাকা আলুভিত্তিক, কৃষিভিত্তিক। তাদের কোনো কষ্ট নেই। সেখানকার নারীরা দিনে তিনবার করে লিপস্টিক লাগাচ্ছে। চারবার করে স্যান্ডেল বদলাচ্ছে। আমি খুব ভালো জানি, আমার কোনো সমস্যা নেই।  

বৈশ্বিক পরিস্থিতিসহ সার্বিক কারণে বিভিন্ন পণ্যের দাম বেড়েছে বলেও মন্তব্য করেন মন্ত্রী। 

একজন সাংবাদিক মন্ত্রীকে প্রশ্ন করেন, সবকিছুর দাম বেড়ে গেছে। এই প্রভাব কাটানো কি সম্ভব হবে? এ প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, প্রভাব কাটানো সম্ভব হবে, যদি আপনারা ইতিবাচক হন। বৈশ্বিক পরিস্থিতিসহ সার্বিক কারণে এটা (দাম বেড়েছে) হয়েছে। কাজেই এটিকে বিবেচনায় নিয়ে নির্বাচনে প্রভাব ফেলা ঠিক হবে না। এটা নির্ভর করে আপনারা কতটুকু ইতিবাচক হবেন তার ওপর।

আপনাদের তো এলাকায় গিয়ে ভোট চাইতে হবে, ভোটাররা যদি দ্রব্যমূল্য নিয়ে আপনাকে প্রশ্ন করে কী বলবেন— এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ধরেন, আমার এলাকা, আমার এলাকার মানুষের কোনো কষ্ট নেই। কারণ তারা আলুর দাম পাচ্ছে। আমাদের তো কৃষিভিত্তিক এলাকা। একেকটা এলাকা একেকরকম। ঢাকা শহরে যে নির্বাচন করবে, তার অনেক সমস্যা।  

গতকাল গার্মেন্টস শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা করা হয়েছে। এরপর তাদের কয়েকটি সংগঠনের নেতারা অসন্তোষ প্রকাশ করে শুক্রবার নতুন করে সমাবেশের ডাক দিয়েছে। এ নিয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, একশ ভাগ শান্তি ঠিক করা যায় না। কেউ খুশি হবেন, কেউ অখুশি হবেন। যারা খুশি না, তারা যদি ২০ হাজার টাকা বেতন পেতেন, তাহলে তারা খুশি হতেন। আমাদের একটি জায়গায় আসতে হবে, যেখানে দুপক্ষই রক্ষা হয়। সেখানে ১০০ ভাগ সন্তুষ্ট করা যায় না।

গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতনই কেবল বাড়ানো হয়নি, তাদের বেসিকের অ্যামাউন্টও বাড়ানো হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আপনারা জানেন, সাড়ে ১২ হাজার টাকা বেতনের সঙ্গে দিনে যদি দুই ঘণ্টা ওভার টাইম করে, একটা হাজিরা বোনাস পায়, তাহলে যার বেতন সাড়ে ১২ হাজার টাকা, সে  কিন্তু ষোলো থেকে সতেরো হাজার টাকা তুলবে। এই কথাটা সাধারণভাবে জানা যায় না। 

এরপর প্রত্যেককে ফ্যামিলি কার্ড দেওয়া হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, তাতে মাসে অন্তত ৫০০ টাকা সাশ্রয় হবে।

বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে যেটা দেওয়া হয়েছে, সেটা ভালো দাবি করে বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, তারপরও কিছু বাদ থেকে যায়। আমার মনে হয়, অধিকাংশ মানুষই সেটা মেনে নেবেন।

 

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!