DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

আনসারকে পুলিশের ক্ষমতা দানঃতবে কি পুলিশের উপর আস্থা রাখতে পারছে না হাসিনা সরকার?

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ  প্রস্তাবিত আনসার বিলকে চরম অসংগতি হিসেবে আখ্যায়িত করে মিডনাইট হাসিনা সরকারের এই শেষ সময়ে কেন  তা সংসদে উত্থাপন করা হলো তা নিয়ে রাজনৈতিকসহ নানা মহলে প্রশ্ন উঠেছে। 

রাজনীতিবিদরা বলছেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে আনসার ব্যাটালিয়ন বাহিনীকে পুলিশের ক্ষমতা দেওয়া দুরভিসন্ধিমূলক। পুলিশ বাহিনীতেও এই নিয়ে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে। 

আনসার বাহিনীর পক্ষ থেকে একাধিক কর্মকর্তা বলেছেন, আমরা প্রায়ই আনসার বাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বলে আসছি। এজন্য সম্প্রতি একটি প্রস্তাবও দিয়েছি। কিন্তু এর মানে এই নয় যে, সংবিধান ও ফৌজদারি কার্যবিধির সঙ্গে সাংঘর্ষিক কিছু আমরা চাই না। 

অপরদিকে পুলিশের পক্ষ থেকে দুটি অ্যাসোসিয়েশনসহ একাধিক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেছেন, আনসারদের সক্ষমতা ও সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হোক—এটা আমরাও চাই। এই বিষয়টি নিয়ে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার তদন্তে বেরিয়ে এসেছে যে, আনসার ও পুলিশ বাহিনীর মধ্যে বিরোধ সৃষ্টির ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই অসঙ্গতিপূর্ণ আনসার বিল সংসদে উত্থাপন করা হয়েছে। নেপথ্যে একাধিক আমলা এর সঙ্গে জড়িত। যারা সরকারের লেবাস পরে ঘাপটি মেরে সুযোগ-সুবিধা নিচ্ছেন। তারা আসলে সরকারের ভেতরে থেকেই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে একটি গোয়েন্দা প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে। 

২০১৭ সালে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর (ভিডিপি) সদর দপ্তর থেকে একটি প্রস্তাব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দেওয়া হয়। প্রস্তাবে আইন সংশোধন করে আনসার বাহিনীকে ফৌজদারি অপরাধ তদন্তের ক্ষমতা এবং পুলিশের মতো গ্রেফতারের ক্ষমতা দেওয়ার কথা বলা হয়। তবে পুলিশ বাহিনীর আপত্তির কারণে প্রস্তাবটি এত দিন আটকে ছিল। অসংগতিগুলো নিরসন না করে মঙ্গলবার তা সংসদে উত্থাপন করা হয়। 

সংশ্লিষ্টরা বলেন, পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে সাংঘর্ষিক এই বিল সরকারের শেষ সময়ে কী উদ্দেশ্যে তোলা হলো? সরকার সমর্থকের লেবাস পড়ে সুযোগ-সুবিধা গ্রহণকারীরা সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য যে সূক্ষ্ম ষড়যন্ত্রে লিপ্ত তারই উদাহরণ হলো এটি। পুলিশ বাহিনী ও আনসার বাহিনী কেউই সাংঘর্ষিক কোনো বিষয় চায় না। তাহলে সমস্যাটা কোথায়?

নিরাপত্তা বিশ্লেষকগন বলছেন,  যে কোনো আইন প্রয়োজনে সংশোধন করা যায়। তবে আইন প্রণয়নের সময় সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে আলোচনা করতে হয়। সংবিধান ও ফৌজদারী কার্যবিধির সঙ্গে সাংঘর্ষিক কোনো কিছু হলে সেগুলো সমাধান করতে হবে। প্রয়োজনে ডিবেট করা যেতে পারে। অর্থাৎ আলোচনা ও পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ করেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা প্রয়োজন। কিন্তু এগুলো ব্যতীত কোনো একটি আইন প্রণয়ন করলে তা বুমেরাং হবে।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!