DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

যুদ্ধ বন্ধে তুরস্কের মধ্যস্থতায় ইউক্রেন-রাশিয়া বৈঠক আজ

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ রাশিয়ার সঙ্গে শান্তি আলোচনার জন্য তুরস্কে পৌঁছেছেন ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা। তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলুর আমন্ত্রণে আজ ১০ মার্চ (বৃহস্পতিবার) আন্তালিয়া শহরে এ আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। খবর বিবিসির। এর আগে গতকাল বুধবার রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেরগেই ল্যাভরভও তুরস্কে পৌঁছান।

দুই সপ্তাহ আগে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পরে দুই দেশের শীর্ষ কূটনীতিকদের মধ্যে প্রথম বারের মতো ত্রিমুখী আলোচনা হতে যাচ্ছে।

রাশিয়া ও ইউক্রেন উভয়ের সঙ্গে তুরস্কের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকায়, রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করার পর থেকেই দুই দেশের মধ্যে মধ্যস্থতা করতে চাইছিল তুরস্ক।

রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করার পর এই প্রথম বৈঠকে বসছেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেরগেই ল্যাভরভ এবং ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা। তুরস্কের রিসোর্ট শহর আন্তালিয়ায় এ সম্মেলনের আয়োজন করেছেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু।

তুর্কি প্রেসিডেন্টের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা ইলনুর সেভিক বলেছেন, বৈঠকটি যে হচ্ছে সেটিই বৈঠকটির সাফল্য। তিনি বলেন, ‘রাশিয়া ও ইউক্রেনের নেতারা আন্তালিয়ায় আসতে যে সম্মত হয়েছেন, তা নিঃসন্দেহে তুরস্কের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এক অর্জন। উভয় দেশ তুরস্ককে সৎ মধ্যস্থতাকারী হিসেবে চিনতে পেরেছে বলে আমরা মনে করি। তাই, আমরা বৈঠকটি সম্পর্কে খুব খুশি। আমরা জানি না, শেষ পর্যন্ত এটি আমাদের কোথায় নিয়ে যাবে, তবে এটা যে হতে যাচ্ছে, সেটাই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’

রাশিয়া ও ইউক্রেন এর আগেও আলোচনায় বসেছে, কিন্তু আন্তালিয়ার বৈঠকটি হবে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে সর্বোচ্চ পর্যায়ের কোনো রুশ-ইউক্রেনীয় নেতার বৈঠক।

যদিও আঙ্কারা ইউক্রেনে তুরস্কের তৈরি ড্রোনসহ অন্যান্য সামরিক সরঞ্জামাদি সরবরাহ করেছে, পাশাপাশি রাশিয়ার ওপর আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞারও বিরোধিতা করেছে দেশটি।

ইস্তাম্বুলের কাদির হাস ইউনিভার্সিটির আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অধ্যাপক মুস্তাফা আয়দিন বলেন, ‘আসলে মধ্যস্থতা করার জন্য তুরস্ক ভালো একটি জায়গা। তুরস্ক তার বিভিন্ন এলাকা এবং প্রতিবেশী অঞ্চলে রাশিয়ার সঙ্গে বেশ ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলেছে। অপরদিকে, ইউক্রেন তার স্বাধীনতার পর থেকেই তুরস্কের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও মিত্রদের একটি।’

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের ইউক্রেনীয় ও রুশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সুসম্পর্ক রয়েছে। তিনি রুশ-ইউক্রেন বিরোধে মধ্যস্থতা করার চেষ্টা করছেন।

ইউক্রেন এ ধরনের প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানালেও, রাশিয়া প্রথমে এ ধরনের পদক্ষেপ প্রত্যাখ্যান করেছিল।

সূত্র : ভয়েস অব আমেরিকা।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!