DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

পীরগঞ্জে হিন্দুদের উপর সহিংসতার হোতা সৈকতকে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার!

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ রংপুরের পীরগঞ্জের মাঝিপাড়ায় হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর বর্বর সহিংসতার ঘটনায় র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া মো. সৈকত মণ্ডল ছাত্রলীগ করতেন বলে জানা গেছে।

তবে গ্রেপ্তার হওয়ার আগেই তাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে দাবি করেছে রংপুর মহানগর ছাত্রলীগ।

সৈকত মণ্ডল কারমাইকেল কলেজ ছাত্রলীগের দর্শন বিভাগের সহসভাপতি ছিলেন। শুক্রবার সৈকত ও রবিউলকে রংপুর থেকে আটক করে র‌্যাব। এর আগেও বিভিন্ন সময় সাম্প্রদায়িক উসকানিমূলক পোস্ট দেওয়ায় নাকি তার ওপর ক্ষুব্ধ ছিল ছাত্রলীগের সাধারণ নেতা-কর্মীরা।

গ্রেপ্তারের পর শনিবার র‌্যাব সদর দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সৈকত মণ্ডল পীরগঞ্জের মাঝিপাড়ার হিন্দু পল্লিতে সহিংসতার ঘটনায় অন্যতম হোতা।

রংপুর মহানগর ছাত্রলীগ শাখার সাধারণ সম্পাদক শেখ আসিফ হোসেন জানান, গত ১৮ অক্টোবর মাঝিপাড়ায় ঘটনায় সরাসরি অংশ নেওয়ার প্রমাণ পাওয়ায় কারমাইকেল কলেজের দর্শন বিভাগ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে সৈকত মণ্ডলকে বহিষ্কার করা হয়েছে। একই ঘটনায় কারমাইকেল শাখা ছাত্র লীগের সহসভাপতি তানজিরুল ইসলামকেও বহিষ্কার করে ছাত্রলীগ।

কারমাইকেল কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থী ও সংগঠনের সাধারণ নেতাকর্মীর জানান, দর্শন বিভাগের চূড়ান্ত বর্ষের ছাত্র সৈকত মণ্ডল আগে থেকেই সাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন। আগেও তার ফেসবুক থেকে ধর্মীয় উসকানিমূলক পোস্ট দেওয়ায় সহপাঠীরা ক্ষুব্ধ ছিল।

র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার প্রধান কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, এই ‘সৈকত মণ্ডলই এ ঘটনার হোতা। শুক্রবার রাতে টঙ্গী থেকে সৈকত ও তার সহযোগী রবিউল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।’

খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘গ্রেপ্তারকৃতরা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অরাজকতা তৈরি এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের লক্ষ্যে হামলা-অগ্নিসংযোগ ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচার এবং মাইকিং করে হামলাকারীদের জড়ো করেন বলে জানিয়েছেন। গ্রেপ্তার সৈকত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উসকানিমূলক, বিভ্রান্তিকর ও মিথ্যাচারের মাধ্যমে স্থানীয় জনসাধারণকে উত্তেজিত করে তোলেন। এ ছাড়া তিনি ওই হামলা ও অগ্নিসংযোগে অংশগ্রহণে জনসাধারণকে উদ্বুদ্ধ করেন।’

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!