DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

দেশে ফিরেই জনসম্মখে সাকিব আল হাসানঃ১৫ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেনটিন কোথায়???

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ  বৃহষ্পতিবার ৫ই নভেম্বর  মধ্যরাতের পর (২টা) ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে এসে পৌঁছান সাকিব আল হাসান। জুয়াড়ির প্রস্তাব গোপন করায় প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট থেকে এক বছরের নিষেধাজ্ঞা পাওয়া সাকিব নিষেধাজ্ঞা পিরিয়ড পার করে ফেলছেন স্বস্তির নিঃশ্বাস। দেশে ফিরেও শুনিয়েছেন, গত এক বছরে অন্যান্য বারের থেকে এবারের ফেরাটা স্বস্তির।

অবশ্যই, এবার যখন দেশে এসেছি, একটা স্বস্তি নিয়ে এসেছি। এর আগে যখন এসেছি, তখন ওরকম স্বস্তিতে ছিলাম না, কিন্তু এখন সে জায়গা থেকে অনেক স্বস্তিতে আছি। চেষ্টা থাকবে, প্রতিদিন যেন আরও বেশি উন্নতি করতে পারি। নিজের জায়গা থেকে এবং নিজের সেরা পারফরম্যান্সটাকে যেন আরও ছাড়িয়ে যেতে পারি।’

সরকারের করোনা বিধিনিষেধ মেনে গত রাতে বিমান বন্দরে সাকিব মাস্ক, ফেইস শিল্ড লাগিয়ে আসেন সামনে। গণমাধ্যম কর্মীদের থেকেও ছিলেন অনেকখানি দূরত্বে। কিছুটা সময় কথা বলে ফিরে যান নিজ গন্তব্যে।

মধ্য রাতে সাকিব দেশে ফিরেছেন ঠিকই তবে সকাল না হতেই চলে যান গুলশানে একটি সুপার শপের উদ্বোধন করতে। জয়’ নামের ওই সুপার শপের ফিতা কাটতে সাকিব পৌঁছান সকাল ১১টার দিকে।

ফিতা কেটে উদ্বোধন শেষে ফটো সেশনে অংশ নেন সুপার শপের মালিক পক্ষের সঙ্গেও। সেখানে সাকিবকে দেখা যায় মাস্ক খুলে ছবি তুলতে। অথচ সাকিব আল হাসানের থাকার কথা ছিল স্বেচ্ছায় আইসোলেশনে।

গত বুধবার কোভিড-১৯ সংক্রমণের সম্ভাব্য দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর, সংস্থা, প্রতিষ্ঠান এবং মাঠ পর্যায়ে সবার মাস্ক পরিধানসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে যে নির্দেশনা প্রদান করা হয় সেখানে মাস্ক বাধ্যতামূলক করার কথা বলা হয়। তথ্য বিবরণীতে বলা হয়, আসন্ন শীত মৌসুমে দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে সকল মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর, সংস্থা, প্রতিষ্ঠান এবং মাঠ পর্যায়ে সকল দপ্তরে মাস্ক ব্যবহার ব্যতীত প্রবেশ নিষেধ’ মাস্ক পরিধান করুন, সেবা নিন’ ইত্যাদি বার্তা ব্যাপকভাবে প্রচারের জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।’

সাকিবের মাস্ক না পরা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও বেশকিছু মন্তব্য এসেছে।

রাকিবুল হাসান নামে একজন লিখেছেন, বিদেশ থেকে কোভিড নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিয়ে এলে কোয়ারেন্টিন বাধ্যতামূলক না। এটাই আমাদের রাষ্ট্রীয় নীতিমালা। সেই বিবেচনায় সমস্যা নেই। কিন্তু অনুষ্ঠানের গিজগিজ করা মানুষের যা অবস্থা শুনলাম, তাকে সাকিবের উপস্থিতি কতটা ঠিক সে প্রশ্ন ওঠে।’

একুশ তফাদার নামে একজন লিখেছেন, এসব স্বাস্থ্যবিধি সবার জন্য না। এই দেশে কোনো নিয়ম নীতিই সবার জন্য না।’

বেসরকারি টিভি চ্যানেল এনটিভির ক্রীড়া সাংবাদিক সুব্রত দেব লিখেছেন, সাকিব একটা সুপার শপ উদ্বোধন করতে গেলেন গুলশানে। এর থেকে এলাকার মুদি দোকানের উদ্বোধন আরো গোছালো হয়। মাথায় ঢুকছে না দেশে এসেই কেন সাকিব এই ধরণের ঝুঁকিপূর্ণ একটা অনুষ্ঠানে গেলেন।

এমন অনেক মন্তব্য এসেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। সরকারের দেয়া স্বাস্থ্যবিধির বিষয়টি সাকিবেরও নিশ্চয় অজানা নয়। অনুষ্ঠানস্থল দ্রুত ত্যাগ করলেও কথা উঠেছে, বিদেশ ফেরত জাতীয় দলের কোচিং স্টাফদের সবাইকে রাখা হয়েছিল কোয়ারেন্টিনে। বেশ কয়েকবার করোনা পরীক্ষাও করানো হয়েছে। তাহলে সাকিব কেন না?

 

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!