DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

রাখাইনে সেনাবাহিনীর সাথে আরাকান আর্মির তুমুল সংঘর্ষ

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনীর সাথে সশস্ত্র বৌদ্ধ বিদ্রোহীদের সংগঠন আরাকান আর্মির তুমুল সংঘর্ষ অব্যাহত আছে। গত শনিবার রাচিডং জেলার রেঙগুনদাইং পার্বত্য এলাকায় গেরিলা হামলা চালিয়েছে আরাকান আর্মির বিদ্রোহী গোষ্ঠী। এ সময় ব্যাপক গোলাগুলির শব্দে আতঙ্কিত হয়ে রোহিঙ্গা পল্লীর বাসিন্দারা গ্রামের বাইরে চলে যায়। গেল সপ্তাহে শান স্টেটের পাল্লোয়া এলাকায় মিয়ানমারের বাহিনী হেলিকপ্টার হামলা চালায়। এতে বেসামরিক লোকজন হতাহত হন। 

গত ৪ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া সংঘর্ষে উভয়গ্রুপের অন্তত ৪৫ জন নিহত হয়েছে। সংঘর্ষে নিরীহ রোহিঙ্গা মুসলিমসহ বেসামরিক লোকজনও নিহত হয়েছে।
রোহিঙ্গাদের সূত্র জানিয়েছে, রাখাইনের মংডু, বুচিডং এবং রাচিডং এলাকায় আরাকান আর্মি সক্রিয় রয়েছে। এলাকাগুলোতে অবস্থা বুঝে মিয়ানমারের বাহিনীর ওপর হামলা চালাচ্ছে আরাকান আর্মি।

 

এর আগে বুচিডংয়ে আরাকান আর্মির একটি অস্থায়ী ঘাঁটি দখলে নেয় মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। এ সময় পাঁচজন আরাকান আর্মি সদস্য নিহত হন এবং ঘাঁটি থেকে ব্যাপক গোলাবারুদ উদ্ধার করে সেনাবাহিনী। এতে রাজ্যজুড়ে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ঘরবাড়ি ফেলে পালিয়ে গেছে বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ।
স্থানীয়রা জানান, এসব এলাকায় প্রায় ৮ হাজার রোহিঙ্গা ও কয়েক ডজন রাখাইন জনগোষ্ঠীর বাড়িঘর রয়েছে। 
২০১৭ সালের আগস্টে রাজ্যে সেনাবাহিনী যে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল, সে সময় এ গ্রামটি রক্ষা পেয়েছিল। 

প্রসঙ্গত, গত ৪ জানুয়ারি মিয়ানমারের স্বাধীনতা দিবসে আরাকান আর্মি বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে বর্ডার গার্ড পুলিশের চারটি পোস্টে একযোগে হামলা চালিয়ে ১৩ জনকে হত্যা করে। ওই ঘটনার পর থেকে রাখাইনে আরাকান আর্মির সাথে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সংঘর্ষ চলছে। বিদ্রোহীদের দমন করতে রাষ্ট্রীয় ঘোষণা দিয়ে যুদ্ধে নামে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী।

 

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!