DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

বেগম খালেদা জিয়ার রায় গভীর ভাবে পর্যবেক্ষন করছে জাতিসংঘ।

দৈনিক প্রথম বাংলাদেশ প্রতিবেদনঃবাংলাদেশের ৩ বারের প্রধানমন্ত্রী এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রায় এবং রায়-পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহ গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে জাতিসঙ্ঘ । গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতিসঙ্ঘ সদর দফতরে দেয়া নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা জানান জাতিসংঘ মহাসচিবের ডেপুটি মুখপাত্র ফারহান হক। 

নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ের শুরুতেই প্রশ্নোত্তর পর্বে বাংলাদেশের সর্বশেষ পরিস্থিতি তুলে ধরেন জাতিসংঘ সংবাদদাতা ইমরান আনসারী। এসময় তিনি বলেন, আপনি নিশ্চয়ই জানেন যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী দলের প্রধান নেতা বেগম খালেদা জিয়াকে দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এ রায়ের প্রতিবাদ জানাতে লাখো লাখো মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছে । প্রতিবাদ বিক্ষোভ বন্ধে সরকার ১৪৪ ধারা জারি করেছে। তাজা গুলি বর্ষণ করা হচ্ছে। গণমাধ্যমের রিপোর্ট অনুসারে হাজারো নেতা কর্মীদের আটক করা হয়েছে। আপনি আরো জেনে থাকবেন যে আগামী ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবার কথা রয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন বেগম খালেদা জিয়া ও তার পুত্র তারেক নির্বাচন থেকে বিচ্ছিন্ন করতেই এ রায় দেয়া হয়েছে। এমনি বাস্তবতায় জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব এবিষয়ে কোনো উদ্যোগ নিয়েছেন কিনা? এছাড়া রাজনৈতিক এ সংকট নিরসনে তিনি কোনো বিশেষ দূত বাংলাদেশে পাঠাবেন কিনা?

 

জবাবে ফারহান হক বলেন, বিষয়টি বিষয়টি মাত্রই আমাদের দৃষ্টি গোচর হয়েছে। খালেদা জিয়ার আটকের বিষয়টি উদ্বেগজনক। বিষয়টির পেছনে কী আছে তা আমরা পর্যবেক্ষণ করে দেখছি। এবিষয়ে জাতিসঙ্ঘ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবে। তিনি আরো বলেন, আমরা সহিংসতার জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করছি। উভয়পক্ষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।

ঐ সময় সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারী জানতে চান, বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে এ রায়ের পর আর কি কোনো আশা আছে বাংলাদেশে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন হবার? জবাবে ফরহান হক বলেন, এ রায়ের প্রভাব কী হবে তা আমরা বিচার বিশ্লেষণ করে দেখছি। তবে বাংলাদেশে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পক্ষে জাতিসংঘের অবস্থান। 
সাংবাদিক মাথিউ জানতে চান , বাংলাদেশে আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে প্রায়ই অভিযোগ শোনা যায় বিক্ষোভ দমাতে তারা তাজা বুলেট ব্যবহার করে। আবার এসব সদস্যদের শান্তিরক্ষী মিশনে মোতায়েন করা হয়। জবাবে ফরহান বলেন, শান্তিরক্ষী মিশনে মোতায়েনের ক্ষেত্রে জাতিসঙ্ঘ তার মানদণ্ড বজায় রেখে চলে।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!