DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে বোমা হামলাঃ প্রবাসী বিএনপি নেতৃবৃন্দের তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ

দৈনিক প্রথম বাংলাদেশ প্রতিবেদনঃ বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া বাস্তুহারা রোহিঙ্গাদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ শেষে ঢাকায় ফেরার পথে ফেনীতে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে পেট্রোলবোমা হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপির আন্তর্জাতিক শাখার নেতৃবৃন্দ।

 

এক বিবৃতিতে তারা বলেন, "অসহায় রোহিঙ্গাদের মাঝে ত্রাণ বিতরণের কাজ ছিল একটি মানবিক কর্মসূচি। বেগম খালেদা জিয়ার এ কার্যক্রম দেশেবিদেশে ভূয়সী প্রশংসা কুড়িয়েছে। কিন্তু অবৈধ সরকারের প্রধান শেখ হাসিনা ও তার উগ্রবাদী সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তা সহ্য হয়নি। তাদের লেলিয়ে দেওয়া গুণ্ডাবাহিনী প্রথমে বেগম খালেদা জিয়ার কক্সবাজারগামী গাড়িবহরে অতর্কিত হামলা চালায়। এবার ফেরার পথেও তারা ফেরীর মহীপালে পুর্বপরিকল্পিত  বোমা হামলা করেছে। এটা মানবিকতা এবং মানবতার ওপর নির্লজ্জ আক্রমণ। এই বর্বরোচিত হামলার ঘটনায় আমরা তীব্র ধিক্কার ও নিন্দা জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে প্রকৃত দোষীদের শাস্তি দাবি করছি।"

 

নেতৃবৃন্দ তাদের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, "আমরা মনে করি আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশেই এই বোমা হামলা চালানো হয়েছে। বেগম জিয়ার জনপ্রিয়তা ও তার প্রতি মানুষের ভালোবাসা দেখে আওয়ামী লীগ ঈর্ষান্বিত ও শংকিত হয়ে পড়েছে। দিশেহারা হয়েই তারা এ হামলা চালিয়েছে।"

 

চেয়ারপার্সনের বক্তব্যকে সমর্থন করে প্রবাসী নেতারা বলেন, "আওয়ামী লীগ কোনো আধুনিক রাজনৈতিক দল নয়, এটি সন্ত্রাসীদের আখড়া। এরা সবসময় রক্ততৃষ্ণায় কাতর থাকে। এই দলটি দেশকে হত্যা, দখল, হাঙ্গামা, রক্তারক্তি ও খুনোখুনিতে ভরিয়ে দিতে চাচ্ছে। এই দলটির পরতে পরতে জড়িয়ে আছে মানবাত্মার অবমাননার বিভিন্ন দিক। জনগণের হাড়গোড় চিবিয়ে এরা ভয়ঙ্কর নরপিশাচে পরিণত হয়েছে। শুধু অসংখ্য গাড়ি কিংবা দলের নেতাকর্মীদের আঘাত করা নয়, তারা দায়িত্বরত গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের ওপরও নৃশংস আঘাত করেছে এবং তাদের যানবাহন ভাঙচুর করেছে।" নেতৃবৃন্দ ফেনীর কুখ্যাত আওয়ামী সন্ত্রাসী  নিজাম হাজারীকে সন্ত্রাসের গডফাদার হিসেবে অভিহিত করে দ্রুত তাকে গ্রেফতারের দাবী জানান। 

 

এদিকে বিএনপি সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার আবু সায়েম এ ঘটনাকে অনভিপ্রেত, অগ্রহণযোগ্য ও ধৃষ্টতামূলক বলে মন্তব্য করেছেন। এ প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে তিনি ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, “আওয়ামী লীগ বরাবরই সন্ত্রাসনির্ভর একটি দল। এ দলের ইতিহাস হচ্ছে উগ্রতা ও জঙ্গিবাদের সমার্থক। আওয়ামী লীগ মানবিকতায় বিশ্বাস করে না, তাদের নীতি হচ্ছে হানাহানি, খুনাখুনির মাধ্যমে ক্ষমতায় টিকে থাকা। কিন্তু তারা জানে না, জনগণ তাদেরকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। বাংলাদেশের মানুষ এ অপশাসনের শেষ দেখতে চায়।” ব্যারিস্টার সায়েম সরকারকে চরিত্র পরিবর্তনের পরামর্শ দিয়ে বলেন, "অন্যথায় এর পরিণতি হবে খুব করুণ।"

 

বিবৃতিদাতারা হলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সনের সাবেক উপদেষ্টা ও বিএনপির বৈদেশিক দূত জাহিদ এফ সরদার সাদী, সৌদী আরব বিএনপির সভাপতি আহেমদ মুকিব, সৌদী আরব পশ্চিমাঞ্চল বিএনপির প্রধান উপদেষ্টা আব্দুর রহমান, সহ-সভাপতি সিআইপি কেফায়েত উল্লাহ চৌধুরী, যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক, সাধারণ সম্পাদক কয়সর এম আহমেদ, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান জিল্লু, সিনিয়র সহ-সভাপতি প্রফেসর দেলোয়ার হোসেন, সাবেক সহ-সভাপতি গিয়াস আহমেদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল পাশা বাবুল, বিএনপি নেতা মোহাম্মদ বশির, কানাডা বিএনপি নেতা ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজু, সুইডেন বিএনপির প্রধান উপদেষ্টা মহিউদ্দিন আহমেদ ঝিন্টু, সভাপতি এমদাদ হোসেন কচি, সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আবেদীন মোহন, ডেনমার্ক বিএনপির সভাপতি গাজী মনির আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মো. ওমর ফারুক, ফিনল্যান্ড বিএনপির সভাপতি কামরুল হাসান জনি, সাধারণ সম্পাদক জুলফিকার মো. আশরাফ, গ্রীস বিএনপির সভাপতি জিএম মুখলেসুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আশরাফ উদ্দিন ঠাকুর, নেদারল্যান্ডস বিএনপির সভাপতি শরিফ উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, ইতালী বিএনপির সভাপতি মো. আব্দুর রাজ্জাক, সাধারণ সম্পাদক ঢালী নাসির উদ্দিন, জার্মানী বিএনপির সভাপতি আকুল মিয়া, সাধারণ সম্পাদক গণি সরকার, বেলজিয়াম বিএনপির সভাপতি আহমেদ সাজা, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন বাবু, নিউজিল্যান্ড বিএনপি নেতা মেহেদী হাসান খান চৌধুরী, সংযুক্ত আরব আমীরাত বিএনপির সভাপতি জাকির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আব্দু সালাম তালুকদার, ওমান বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক ওসমান গণি, মালয়েশিয়া বিএনপির সভাপতি ইন্জিনিয়ার বাদলুর রহমান খান, সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন, ফ্রান্স বিএনপির সাবেক সভাপতি সৈয়দ সাইফুর রহমান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম এ তাহের, স্পেন বিএনপির সাবেক সভাপতি খোরশেদ আলম মজুমদার, অস্ট্রিয়া বিএনপির সাবেক সভাপতি ফজলুর রহমান বকুল, সুইজারল্যান্ড বিএনপি নেতা শামীম বিশ্বাস, মইনুল হক খান অপু, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি নেতা হাবিবুর রহমান সেলিম রেজা, কাজী আজম, গোলাম মারুফ শাহীন, পারভেজ সাজ্জাদ, জসিম উদ্দিন ভুঁইয়া, আবু সাঈদ আহমদ, মতিউর রহমান (লিটু), এবাদ চৌধুরী, এম এ বাতিন, আয়ারল্যান্ড বিএনপি নেতা মোশারফ হোসেন, কবির আহমেদ, হামিদুল নাসির, জাপান বিএনপি নেতা শিকদার সাগর এবং অস্ট্রেলিয়া বিএনপি নেতা দেলোয়ার হোসেন।

 

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!