DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

খালেদা জিয়ার গাড়ী বহরে হামলাঃ জড়িত ৫০ আওয়ামী লীগ কর্মী চিন্হিত

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ  মিয়ানমারের সরকারী বাহিনীর নির্মম নির্যাতনে প্রান বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা অসহায় রোহিঙ্গাদের দেখতে শনিবার ঢাকা থেকে কক্সবাজার যাওয়ার সময় ফেনীতে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে ব্যাপক হামলা হয়। এই হামলায় গাড়ী বহরের বেশ কয়েকটি গাড়ী ভাংচুর করা হয় এবং কয়েকজন সাংবাদিক ও বিএনপির কর্মীগন আহত হন।

 এ হামলার ঘটনায় সারা দেশে তোলপাড় শুরু হয়। এ নিয়ে আওয়ামী লীগ-বিএনপির মধ্যে চলছে কথার লড়াই। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের হামলার সঙ্গে উল্টো বিএনপিকেই দোষারোপ করেছেন। আর বিএনপি মহাসচিবসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয়রা নেতারা বলছেন আওয়ামী লীগের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ নির্দেশে এ হামলা হয়েছে।

ফেনী পৌর বিএনপির সভাপতি আলাল হোসেনের দাবি, বিএনপি চেয়ারপারসনের গাড়িবহরে হামলার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলেন ক্ষমতাসীন দলের দেড় শতাধিক নেতাকর্মী।

তিনা বলেন, হামলাকারীদের একশজনের মতো ছিল ফেনীর মোহাম্মদ আলী এলাকার এবং বাকি ৫০ জন লালপুর এলাকার। তাদের মধ্যে ভিডিও ক্লিপ দেখে আমরা ৫০ জনকে শনাক্ত করতে পেরেছি।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শনিবারের ওই হামলায় নেতৃত্বে দেয়া ব্যক্তিদের বিস্তারিত পরিচয়। ওসমান গনী রিয়েল ছাত্রলীগের রাজনীতিতে ব্যাপক সক্রিয়। রিয়েল ফেনীর শর্শদী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও শর্শদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জানে আলম ভূঞার গানম্যান যুবলীগ কর্মী সুমন সক্রিয়ভাবে এ হামলার নেতৃত্ব দেন।

আহত সাংবাদিকরাও ছবি দেখে হামলাকারী হিসেবে রিয়েল ও সুমনকে চিহ্নিত করেছেন।এছাড়া সোনাগাজী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবদুল মোতালেব রবিন, ফেনী কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সদস্য সবুজ, শর্শদী মিললিয়া মাদ্রাসা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ, ধর্মপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও যুবলীগ নেতা বেলাল ও ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য মানিক।অনুসন্ধানে জানা গেছে, হামলার নেপথ্যে মূল দায়িত্বে ছিলেন শর্শদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জানে আলম ভূঞা, ধর্মপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাদত হোসেন সাকা।

ফেনীর জেলা প্রশাসক মনোজ কুমার রায় সাংবাদিক বহরে হামলায় জড়িতদের শনাক্ত করতে শর্শদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জানে আলম ভূঞাকে রোববার সকালে ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন,ঐদিন সকাল থেকেই সরকার দলীয় ক্যাডাররা ফেনী শহরের বিভিন্ন স্থানে বিশেষ করে হাইওয়ের আশে পাশে অবস্থান নেয়। দুপুরের খাবারের পর এদের মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে হামলার দায়িত্ব দেয়া হয়। হামলায় একাত্তর টিভি, বৈশাখী টিভি, চ্যানেল আই ও ডিবিসি টিভির গাড়িসহ সাংবাদিক ও বিএনপি নেতাদের বহনকারী অর্ধশত গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সন্ত্রাসীরা এ সময় সাংবাদিকদের মারধরও করে। 

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!