DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

তারেক ও সাদীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহী মামলার শুনানী অনুষ্ঠিতঃ সত্বর চার্জশীট প্রস্তুতের জন্য পুলিশের প্রতি আদেশ

saddi9ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমান ও বিএনপি চেয়ারপারসনের  বৈদেশিক উপদেষ্টা এবং বিশেষ দূত জাহিদ এফ সরদার সাদীর বিরুদ্ধে দায়ের করা  রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার শুনানী হয়েছে আজ সোমবার ,২৭শে এপ্রিল,২০১৫।

 

আজ সকাল ১১.৩০ ঘটিকায়  সিএমএম  আদালতের ২৭নং কোর্টে বিচারক মোহাম্মদ ইউনূস খান এর এজলাসে এই মামলাটির  শুনানী অনুষ্ঠিত হয়।

saddi18জাতীয়তাবাদী আইজীবি ফোরামের নেতা এ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়ার নেতৃত্ব বিপুল সংখ্যক বিএনপি পন্ন্থী আইনজীবি এ শুনানীতে অংশ নেন।শুনানীতে তার সাথে আরও অংশ নেন,এ্যাডভোকেট শাহজাদী কোহিনূর পাপড়ী,এ্যডভোকেট আবদুল খালেক,এ্যাডভোকেট রাহাত,এ্যাডভোকেট আমির হোসেন,এ্যাডভোকেট মিনা বেগম,এ্যাডভোকেট জেসমিন বিপুল সংখ্যক জাতীয়দাবাদী আইনজীবিগন।

 

 

saddi19আসামীপক্ষের আইনজীবিগন এই মামলাটি ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্যপ্রনোদিত হওয়ায় তা বাতিল করে দেয়ার আবেদন করলে, তা নাকচ করে দেন আদালত।পরে আদালত পুলিশ কে মামলা তদন্ত অতিসত্বর সমাপ্ত করে চার্জ শিট দাখিল করার জন্য আদেশ প্রদান করেন।আগামী ২৭শে জুলাই,২০১৫ তারিখে মামলার পরবর্তি শুনানীর তারিখ নির্ধারন করে আদালত।শুনানী চলাকালে দুই পক্ষের আইনজীবিদের মধ্য উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় শুরু হলে তুমুল হট্টগোল দেখা হয়।এ সময় এ্যডভোকে সানাউল্লাহ মিয়াকে বলেন, এ সরকারই শেষ সরকার নয় ,এর পরও আরও সরকার আসবে।এভাবে ভিত্তিহীন আর বানোয়াট মামলা দিয়ে দেশনায়ক তারেক রহমান ,উপদেষ্টা সাদী সহ বিএনপির নেতাদের বিরুদ্ধে অসংখ্য মামলা দেয়া হয়েছে,যার উপযুক্ত জবাব জনগন একদিন দেবেই।

 

জানা যায় আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্মের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি  ফজলুল করিম আরিফ পাটোয়ারী  বাদী হয়ে ঢাকা সিএমএম আদালতে এই মামলাটি দায়ের করেছিলেন।।বাদী পক্ষের আইনজীবি এপিপি এ্যাডভোকেট আলাউদ্দিন এই শুনানীতে উপস্থিত ছিলেন।

 

উল্লেখ্য ‘জনাব তারেক রহমান ও জাহিদ এফ সরদার সাদীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ এনে  পেনাল কোডের ১২৪(এ) /৪৯৯/৫০০ ধারায় মামলাটি করা হয়েছে।মামলার অভিযুক্তরা হলেন (১) বিএপির সিনিয়র ভাইন-চেয়ারম্যান তারেক রহমান,(২)বিএনপি চেয়ারপারসনের বৈদেশিক উপদেষ্টা ও বিশেষ দূত জনাব জাহিদ এফ সরদার সাদী।এর আগে  ৫ জানুয়ারি'১৫ এ  লন্ডন থেকে তারেক রহমানের দেয়া কিছু বক্তব্যে শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘রাজাকার’ বলে আখ্যা দেন এবং তা  ইটিভিতে সরাসরি প্রচারিত হয়।

এরপর ৬ জানুয়ারি'১৫ তারিখে তেজগাঁও থানার পুলিশ তারেক রহমানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অনুমতি দিলে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করে সরকার ,শেখ মুজিবর রহমানকে রাজাকার বলা সহ রাষ্ট্রের বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যদের উসকানির অভিযোগ আনা হয়েছে। একই সাথে জানুয়ারী ৩, ২০১৫ সাবেক রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের মরণোত্তর বিচার, শাস্তি ও ফাঁসির দাবি জানিয়ে ছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম বহুল আলোচিত বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ডের শিকার মরহুম সিরাজ সিকদারের নিকটতম আত্মীয় , বিএনপি চেয়ারপারসনের  বিশেষ উপদেষ্টা এবং দলটির বৈদেশিক দূত জাহিদ এফ সরদার সাদী। ২ জানুয়ারি ১৯৭৫ সালে বন্দী অবস্থায় সিরাজ সিকদারকে হত্যার দায়ে তিনি এ দাবি জানিয়ে ছিলেন ।

 

আরও উল্লেখ্য, গত ৫ জানুয়ারি'১৫ এ  শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘রাজাকার’ বলে আখ্যা দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান  এবং ৪ঠা ফেব্রুয়ারী'২০১৪ জনাব জাহিদ এফ সরদার সাদী, শেখ মুজিবুর রহমানের মরণোত্তর বিচার, শাস্তি ও ফাঁসির দাবি এ নিয়ে দেশে-বিদেশে শুরু হয় তুমুল আলোচনা-সমালোচনা।তারই ফলশ্রতিতে এই দুজনের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহ মামলা টি দায়ের করা হয়।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!