DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

আমাদের সময়.কম এ প্রকাশিত ,’খোকাকে বিশেষ দ্বায়িত্ব দিলেন তারেক’,শির্ষক অসত্য ও ভিত্তিহীন খবর প্রসঙ্গে

khokaক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ  সম্প্রতি নাইমূল ইসলাম খান সম্পাদিত আমাদের সময়.কম পত্রিকায়  'খোকাকে বিশেষ  দ্বায়িত্ব দিলেন তারেক' শিরোনামে প্রকাশিত খবরটি ভিত্তিহীন,কল্পনা প্রসুত এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রনোদিত বলে আমরা মনে করি।বিএনপির চলমান আন্দোলন বিশেষ করে ঢাকা মহানগরীতে আন্দোলনরত অকুতভয় বিএনপি,যুবদল ও ছাত্রদল নেতা -কর্মী  দের বিভ্রান্ত করার জন্যই এধরনের কল্পনাপ্রসূত খবর প্রচার করা হয়েছে বলে আমি মনে করি।

ঢাকার সাবেক মেয়র এবং বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকার গত ২০১৩ এর শেষভাগের আন্দোলনের বিভিন্ন পর্যায়ে রহস্যজনক ভাবে নিস্ক্রিয়তা এবং সরকারের সাথে গোপন আতাতের অভিযোগ বেশ জোরেশোরেই ঐ সময়শোনা যাচ্ছিল।ঐসময়ের ৫ই জানুয়ারী ২০১৪ এর দলীয় সরকারের অধীনের ঘোষিত নির্বাচন প্রতিহত সকল প্রচেষ্টা সারা বাংলাদেশে সফল হলেও শুধু মাত্র জনাব খোকার কারনে ২৯ ডিসেম্বর ২০১৩ এর  দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আহুত  'মার্চ ফর ডেমোক্রেসী' মাঠে মারা যায়। সরকারের চরম বাধার মুখেও হাজার হাজার বিএনপি নেতা কর্মী  ঢাকায় এসে পৌছালেও সমন্বয়হীনতা  আর  জনাব খোকা সহ  ঢাকা মহানগরীর নেতাদের নিশ্ক্রিয়তায় এই আন্দোলন তুঙ্গে গিয়েও সফল হতে পারেনি। ইতিপূর্বে ২০১৩ সালের প্রথমার্ধেও আওয়ামী সরকার সমর্থিত শাহবাগের গনজাগরন মঞ্চে গিয়ে তিনি সংহতি প্রকাশ করেন ,বিএনপির দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে।কার্যত তার কারনেই একদার ঢাকা মহানগরীতে বিএনপির বিপুল জনপ্রিয়তা এবং শক্ত সাংগঠনিক অবস্থান ধীরে ধীরে লোপ পেতে থাকে।

এমতাবস্থায় ২০১৪ সালের সম্ভবত মে মাসে তিনি যুক্তরাষ্ট্র গমন করেন এবং এর পর থেকে  সেখানেই অবস্থান করছেন ।তার পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ,যুক্তরাষ্ট্রে এই মরনব্যাধীর চিকিৎসা করাচ্ছেন।এই চিকিৎসার ধারাবাহিকতায় তিনি কেমোথেরাপী নিচ্ছেন বলেও জানান। তবে নিউইয়র্ক প্রবাসী বাংলাদেশীদের মতে তাকে মোটেও অসুস্থ মনে হয় না এবং তিনি ফোবানা সম্বেলন সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নিয়মিত অংশ নিচ্ছেন যা কিনা ক্যান্সারাক্রান্ত একজন গুরুতর অসুস্থ রোগীর পক্ষে প্রায় অসম্ভব ।

ইতিমধ্যে তার অবর্তমানে ২০১৪ এর শেষভাগে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দলের স্বার্থে তাকে বাদ দিয়ে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য জনাব মির্জা আব্বাস কে ঢাকা মহানগরী বিএনপির আহবায়ক করেন এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি জনাব হাবিবুন নবী সোহেল হন সদস্য সচীব।এই নতুন কমিটি অত্যন্ত সফলতার সাথে ঢাকা মহানগরী বিএনপির নেতা কর্মীদের উদ্ভুদ্ধ করে তোলেন এবং শত প্রতিকূলতার মধ্যেও আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।

পক্ষান্তরে জনাব খোকা গত প্রায় ৯ মাসের প্রবাসে অবস্থান কালে  অন্ততঃ দু দুবার লন্ডনে অবস্থান রত দেশনায়ক তারেক রহমানের সাথে দেখা করার চেষ্টা করেও সফল হননি।এব্যাপারে এই প্রতিবেদক শতভাগ নিশ্চিত ।কি কারনে জনাব খোকা দেশ ফিরে না গিয়ে নিউইয়র্ক লন্ডন ছোটাছুটি করছেন তা আমাদের বোধগম্য নয়।বিশেষ করে তার কিছু কার্যকলাপ দলের স্বার্থ রক্ষা না করে,বরং আওয়ামী সরকারের স্বার্থ রক্ষা করেছে বলে মনে হয়।সম্প্রতি ৬ কংগ্রেসম্যানের বিবৃতি  নিয়ে সৃষ্ট     বিতর্কিত  ঘটনার অভিযোগে ,অভিযুক্ত দুই করিৎকর্মা এবং নিবেদীত প্রান, বিএনপি চেয়ারপারসনের  বৈদেশিক উপদেষ্টা  ও বিশেষ দূত ড.মুজিবুর রহমান মজুমদার এবং জনাব জাহিদ এফ সর্দার সাদীকে আত্মপক্ষ সমর্থনে র কোনো সুযোগ না দিয়ে তড়িধড়ি করে  তিনি অব্যহতির ব্যবস্থা করান।দলের চরম ক্রান্তি লগ্নে তার এধরনের আচরন আওয়ামী সরকারকে আনন্দিত  করেছে নিশ্চিত।পদ-পদবী না থাকার পরও এদুজন  এখনও উপদেষ্টা অক্লান্ত ভাবে কাজ করে চলেছেন মার্কিন সরকারী মহলে,জাতিসংঘ সদর দফতরে এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা সমূহের সাথে ।এ ব্যাপারে গত ৯ মাস জনাব সাদেক হোসেন খোকা দলের জন্য কি কি করেছেন তা বিএনপির সর্বস্তরের নেতা- কর্মীরা জানতে চান।

মাত্র কয়েকদিন আগে জনাব খোকা নিউইয়র্কের এক সভায় বলেন,'মাত্র আধ ঘন্টার মধ্যে তিনি ঢাকা অচল করে দিতে পারেন"।এধরনের বালখিল্য হুমকি ধমকি দেয়ে তিনি কার স্বার্থ রক্ষা করছেন আমরা জানিনা।নিজের হারানো অবস্থান ফিরে পেতে মরিয়া জনাব খোকা এবার ফরমায়েসি প্রতিবেদনটি প্রকাশ করালেন।এ প্রতিবেদনে বর্নিত ড.কামাল হোসেনের সাথে বিএনপির যোগাযোগ করিয়ে দেবার দাবীটিও হাস্যকর এবং বিশ্বাস যোগ্য নয় কারন এই লিয়াজো প্রক্রিয়ায় বিএনপির কোন কোন নেতা জড়িত তা এই প্রতিবেদক সম্যক ভাবে জ্ঞাত আছেন।

বিশ্বস্ত সূত্র জানা গেছে জনাব খোকার  ইশারায় তার মালিকানাধীন গনমাধ্যম বাংলাভিশন এর জনপ্রিয় টকশো 'ফ্রন্ট লাইন' গতকাল থেকে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।বিশিষ্ট সাংবাদিক ও দৈনিক মানবজমীন সম্পাদক জনাব মতিউর রহমানের উপস্থাপনার  এই অনুষ্ঠানটি চলমান রাজনৈতিক অচলাবস্থার প্রকৃত চিত্র তুলে ধরতো যা এই সরকারের কাছে ছিলো অত্যন্ত অস্বস্তিকর।আরও জানা গেছে এই চ্যানেলের মেগা টকশো 'গনতন্ত্র এখন' অনুষ্ঠান টিও জনাব খোকা যে কোন সময় বন্ধ করে দিতে পারেন,যা হবে সরকারেরই স্বার্থ রক্ষা।

নীচে পাঠকদের অবগতির জন্য আমাদের সময়.কম এ প্রকাশিত প্রতিবেদন টি দেয়া হলোঃ

 

খোকাকে ‘বিশেষ দায়িত্ব’ দিলেন তারেক!
আমাদের সময়.কম : ০৭/০২/২০১৫

tooএম.উমর ফারুক : সরকারবিরোধী আন্দোলনের তীব্রতা বাড়াতে ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকাকে ‘বিশেষ দায়িত্ব’ দিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান। রাজধানী ঢাকার সামর্থব্যান নেতাকর্মীরা যেনও রাজপথে নেমে প্রকাশ্য আন্দোলন শুরু করে, সে ব্যাপারে খোকাকে সর্বাত্মক চেষ্টা চালাতে বলেছেন তিনি। প্রায় সাড়ে ৮ মাস ধরে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানকারী খোকাও এ ব্যাপারে বিএনপির দ্বিতীয় প্রধান নেতাকে আশ্বস্ত করেছেন। শুধু আশ্বাস নয়, আগামী দু-চারদিনের মধ্যেই ঢাকার রাজপথে প্রকাশ্যে উত্তাপ ছড়াতে একান্ত অনুসারী প্রভাবশালী নেতাদের সঙ্গে ইতোমধ্যে যোগাযোগও শুরু করেছেন ঢাকার সাবেক মেয়র। তারেক রহমানের নির্দেশনা অনুযায়ী ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মির্জা আব্বাসসহ মহানগরের অন্য নেতাদের সঙ্গে সমন্বয় করেই অনুসারীদের রাজপথে নামতে বলেছেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত খোকার ঘনিষ্ট একাধিক সূত্রে মিলেছে এ তথ্য।

সূত্রমতে, চিকিৎসার প্রয়োজনে গত বছরের ২৬ মে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার পর সাদেক হোসেন খোকার সঙ্গে কয়েক দফা কথা বলেছেন তারেক রহমান। তাদের মধ্যে সর্বশেষ কথা হয়েছে গত ১ ফেব্রুয়ারি। তারেক রহমানের সঙ্গে কথা বলার পরদিন  ২ ফেব্রুয়ারি নিউইয়র্কে জাসাসের এক সমাবেশে ‘৩০ মিনিটের মধ্যে ঢাকাকে আওয়ামী লীগ মুক্ত করা সম্ভব’ বলে বক্তব্য দেন খোকা। এর আগে গত বছরের ২২ নভেম্বর লন্ডন গিয়ে তারেক রহমানের সঙ্গে দু-দফা বৈঠক করেন তিনি। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তায় খোকা যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যান।

সূত্রগুলো দাবি করেছে, গত ৬ জানুয়ারি থেকে বিরতিহীন অবরোধ কর্মসূচির মাধ্যমে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোটের সরকারবিরোধী নতুন পর্বের আন্দোলনে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের ভূমিকায় সন্তুষ্ট হলেও ঢাকার রাজপথে আন্দোলন জমে না উঠায় মহানগরের নেতাদের প্রতি অসন্তুষ্ট তারেক রহমান। বিশেষ করে মির্জা আব্বাসের নেতৃত্বাধীন মহানগর কমিটির নেতাদের প্রতি বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যানের প্রত্যাশা বেশি থাকলেও তারা এক্ষেত্রে হতাশ করেছেন তাকে। বিভিন্ন মাধ্যমে ঢাকা মহানগর নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার পর ঢাকার আন্দোলন জমে না উঠার নেপথ্যে সাদেক হোসেন খোকার অনুসারীদের নিষ্ক্রিয়তাকে দায়ী করেছেন মহানগর নেতারা। খোকার অনুসারীরা সক্রিয় হয়ে নতুন কমিটির নেতাদের সঙ্গে সমন্বয় করলেই ঢাকার রাজপথে প্রকাশ্য সরকারবিরোধী আন্দোলন চাঙা করা সম্ভব বলেও জানানো হয় তারেক রহমানকে। সবকিছু জানার পরই খোকাকে ঢাকায় আন্দোলন জমানোর জন্য ‘বিশেষ দায়িত্ব’ দেন তারেক রহমান।

খোকার ঘনিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, তারেক রহমানের নির্দেশনা পাওয়ার পর থেকে খোকা তার অনুসারী নেতাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ শুরু করেছেন। অনুসারী ছাড়াও দল ও জোটের একাধিক জ্যেষ্ঠ নেতার সঙ্গেও আন্দোলন বিষয়ে কথা বলেছেন তিনি। সূত্রগুলো জানায়, গত এক সপ্তায় খোকা আন্দোলন বিষয়ে একাধিকবার কথা বলেছেন ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মির্জা আব্বাস, মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব হাবিব-উন নবী খান সোহেল, ঢাকা মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-আহাবায়ক আব্দুল আউয়াল মিন্টু ও মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ কাইয়ুমের সঙ্গে। ভাইভারের মাধ্যমে এসব নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন খোকা। আলাপকালে ঢাকার আন্দোলন তীব্র করার বিষয়ে খোকা নিজের পরামর্শ দেন। এছাড়াও খোকা কথা বলেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজউদ্দিন আহমেদের সঙ্গেও। সূত্রমতে, খোকার পরামর্শেই ব্রিফিংসহ সরকারবিরোধী রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছেন হাফিজ।

বিএনপির একাধিক সূত্রে জানা গেছে, শুধু ঢাকার রাজপথে আন্দোলন তীব্র করার ক্ষেত্রেই নয়, তারেক রহমানের পরামর্শে সাদেক হোসেন খোকা ২০-দলীয় জোটের বাইরে থাকা একাধিক দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছেন। বিকল্পধারা সভাপতি অধ্যাপক একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনসহ আরও একাধিক নেতার সঙ্গেও যুক্তরাষ্ট্র থেকে কথা বলেছেন তিনি। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গত ৩ জানুয়ারি গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অবরুদ্ধ হওয়ার পর প্রতিবাদ জানাতে এসব নেতাকে অনুরোধ করেন খোকা।

সূত্র আরও জানায়, বিএনপির আন্দোলনের দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করতে খোকার পরামর্শে গত ৪ জানুয়ারি রাতে গণফোরাম সভাপতি ড. কামালের সঙ্গে তার বেইলি রোডের বাসায় বৈঠক করেন ঢাকা মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল আউয়াল মিন্টু। ওই বৈঠকের পর থেকেই ড. কামাল হোসেনসহ তার ঘনিষ্টরা কৌশলে বিএনপির আন্দোলনের দাবির সঙ্গে সহমত পোষণ করে মাঝেমধ্যে বক্তব্য দিয়ে আসছেন। সূত্র: নিউজপয়েন্ট

 

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!