DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত হতাহতের হিসাব নিয়ে মন্তব্য করায় আদালত অবমাননার দায়ে দণ্ডিত সাংবাদিক বার্গম্যান

bergmanআদালত অবমাননার দায়ে আজ মঙ্গলবার এজলাশের কার্যক্রম চলা পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থাকার দণ্ডের পাশাপাশি পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ৭ দিনের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন ‘নিউ এইজ’ সাংবাদিক ডেভিড বার্গম্যান।

 

মঙ্গলবার চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-২ মঙ্গলবার এই রায় ঘোষণা করে। ট্রাইব্যুনালে নিষ্পত্তি হওয়া মামলার বিষয়ে ব্যক্তিগত ব্লগে আপত্তিকর মন্তব্য করায় এ সাজা ভোগ করতে হবে বার্গম্যানকে।

 

আদেশে ট্রাইব্যুনাল ঐতিহাসিক মীমাংসিত কোনো বিষয় নিয়ে সমালোচনা না করতে বার্গম্যানকে সর্বোচ্চ সতর্ক করে দেন। ব্লগে লেখার মাধ্যমে তিনি ট্রাইব্যুনালের কর্তৃত্বকে চ্যালেঞ্জ, বিচারাধীন বিষয় নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো এবং ট্রাইব্যুনালকেই প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন বলেও পর্যবেক্ষণে উল্লেখ করেন ট্রাইব্যুনাল।

 

রায়ের সময় ডেভিড বার্গম্যান এবং তার স্ত্রী সংবিধান প্রণেতা ড. কামাল হোসেনের মেয়ে ড. কামালের মেয়ে সারা হোসেন ট্রাইব্যুনালে হাজির ছিলেন।

 

প্রসঙ্গত, ডেভিড বার্গম্যান ট্রাইব্যুনালে নিষ্পত্তি হওয়া মামলার বিষয়ে ২০১১ সালের ১১ নভেম্বর ও ২০১৩ সালের ২৮ জানুয়ারি তার নিজস্ব ওয়েবসাইটে (bangladeshwarcrimes.blogspot.com) আজাদ জাজমেন্ট অ্যানালাইসিস-১; ইন অ্যাবসেন্সিয়া ট্রায়াল অ্যান্ড ডিফেন্স ইনডিকোয়েন্সি এবং আজাদ জাজমেন্ট অ্যানালাইসিস-২; ট্রাইব্যুনাল অ্যাজাম্পশন শীর্ষক বিতর্কিত লেখা প্রকাশ করেন। এসব লেখায় ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আবুল কালাম আজাদ ওরফে বাচ্চু রাজাকারের রায় নিয়ে করা মন্তব্যে ট্রাইব্যুনালের মর্যাদাহানি হয়েছে বলে অভিযোগ এনে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ট্রাইব্যুনালে শাস্তির আবেদন জানান হাইকোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ।

তিনি তার আবেদনে ডেভিড বার্গম্যানের ব্লগে অপর ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর রায় নিয়ে করা মন্তব্যেও আদালত অবমাননা হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন। এ আইনজীবী ট্রাইব্যুনালের বিচার প্রক্রিয়া এবং রায় সম্পর্কে ব্লগে মন্তব্য করায় কেন বার্গম্যানের বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর (শো’কজ) নোটিশ জারি করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারিরও আবেদন করেন।

 

এ অভিযোগের শুনানি শেষে গত ২০ ফেব্রুয়ারি তার মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে বার্গম্যানকে তলব করা হয় ট্রাইব্যুনালে। গত ৬ মার্চ তাকে সশরীরে হাজির হয়ে অথবা আইনজীবীর মাধ্যমে এ ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়। ওই দিন বার্গম্যানের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান খান দুই সপ্তাহের সময়ের আবেদন জানালে ১৮ মার্চ দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল। গত ১৮ মার্চ ডেভিড বার্গম্যান ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে শো’কজ নোটিশের জবাব দেন।

 

তার পক্ষে তার আইনজীবী ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান ট্রাইব্যুনালে নোটিশের লিখিত জবাব দেন। এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হয় গত ৩১ মার্চ। গত ১৭ এপ্রিলের আদেশে বার্গম্যানের জবাবে সন্তুষ্ট না হওয়ায় কেন তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না- জানতে চেয়ে রুল জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। পরে এ রুলের জবাব দেন বার্গম্যান। গত ৩ ও ৪ সেপ্টেম্বর বার্গম্যানের বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না- সে বিষয়ে রুলের শুনানি শেষ হয়।

 

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!