DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

পর্ণ ভিডিও নষ্ট করে দেয় বাস্তবের দাম্পত্য ও ভালোবাসা?

10365412_714094868651908_3574205413505598090_oবিবাহিত জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল প্রেমের খেলা। এই প্রেমটা যদি ধরে রাখা না যায় তাহলে ক্রমশ সম্পর্ক হয়ে ওঠে দায়ের মত। আর বলাই বাহুল্য যে বিবাহিত দম্পতির মধ্যে শারীরিক মিলন তাদের সম্পর্ককে আরও অনেক বেশি মজবুত তৈরি করে।

পরস্পরকে নিয়ে আসে মনের অনেক বেশি কাছাকাছি। বিজ্ঞানীরাই বলেন যে যৌন জীবন সুখের হলে দম্পতিদের মাঝে পরকীয়া, প্রতারণা ও বিবাহ বিচ্ছেদ আপনা হতেই কমে আসে। শুধু তাই নয়, যৌন জীবন সুখের হলে দম্পতিদের মাঝে ঝগড়াও দীর্ঘস্থায়ী হয় না কখনো। তবে আজকালকার এই আধুনিক পৃথিবীতে আছে নানান রকম "টুইস্ট"।

পর্ণ কী জিনিস সেটা সম্পর্কে কমবেশি ধারণা আছে সকলেরই। এককালে প্লে বয়ের মত পর্ণ ম্যাগাজিন ছিল সম্বল, তবে আজকাল ইন্টারনেট ঘাঁটলেই মেলে হাজারো লাখো পর্ণ ছবি ও ভিডিও। এবং অনেকে দম্পতিই প্রেমকে আরও গাঢ় করতে বিভিন্ন কামোত্তেজক ভিডিও দেখেন। বিশেষ করে পুরুষেরা। স্ত্রী না চাইলেও অনেক স্বামী বাধ্য করেন এসব দেখতে। কেননা তাদের ধারনা এই ধরনের ভিডিও তাদের রোমান্সকে করে তুলবে আরও বেশি আনন্দময়।

কিন্তু সত্যি কি তাই? সত্যি কি পর্ণ ছবি বা ভিডিও আপনার দাম্পত্য জীবনকে সুখের করে তোলে? উত্তরটা হলো- একেবারেই নয়! বরং এই পর্ণ ছবি বা ভিডিও দেখার অভ্যাস ও স্ত্রীকে দেখাবার অভ্যাসের কারণে একজন পুরুষের জীবনে নেমে আসতে পারে মারাত্মক কিছু দুর্ভোগ। এটা প্রমাণিত যে পর্ণ ভিডিও গুলির বিভিন্ন ধরনের সাইড এফেক্ট রয়েছে। এসবে উল্টো এমন অনেক তথ্য রয়েছে, যা প্রেমের ক্ষেত্রে ক্ষতিকারক প্রমাণিত হতে পারে। বাইরে থেকে দেখে এমন মনে হতে পারে যে পর্ন ভিডিও বিবাহিত জীবনকে আরও মধুময় করে তুলতে সাহায্য করে।

কিন্তু এই ধরনের ভিডিও দেখার নেশা বিবাহিত জীবনকে নষ্ট করে দিতে পারে। কীভাবে? আসুন, জানা যাক কারণগুলো। – প্রথমত যে দম্পতিরা পর্ন ভিডিও দেখেন তারা নিজেদের সঙ্গীর কাছ থেকে তেমনই হাবভাব প্রত্যাশা করেন। এবং তাঁরা আসলে জানেনই না প্রকৃত সত্য কী! মনে রাখবেন, পর্ণ ভিডিও গুলিতে ইচ্ছে করে পুরো ব্যাপারটা অতিরঞ্জিত করে দেখানো হয় যার সঙ্গে সত্যিকারের জীবনের কোন মিল থাকে না।

ভিডিও গুলিতে যেসব নারী পুরুষকে আপনারা দেখতে পান, তাঁরা বাস্তব জীবনে অভিনেতা। এবং পর্ণ ভিডিওর পুরো ব্যাপারটিই অভিনয়। এই অভিনয় দেখে একজন সাধারণ মানুষও নিজের বেডরুমে এমন দৃশ্য প্রত্যাশা করেন। আর পূরণ হয় না বিধায় দম্পতিরা একে অপরের প্রতি আকর্ষণ হারিয়ে ফেলেন, যা অবশ্যই বিবাহিত জীবনে চিড় ধরাতে পারে। -যারা পর্ন ভিডিও দেখার নেশায় আচ্ছন্ন তারা নিজেদের মতো করেই নিজের যৌন বাসনা তৃপ্ত করে নেন, ফলে সঙ্গী/সঙ্গীনীকে ভালোবাসার ইচ্ছেটাই তাদের মন থেকে চলে যায়। কেননা শারীরিক চাহিদা মেটাতে তখন আর ভালোবাসার প্রয়োজন থাকে না। এমনও অনেক সময় দেখা যায় যৌন সুখের চক্করে আসল ভালবাসাই হারিয়ে যায়। এতে অবশ্যই সম্পর্কে ভাঙন দেখা দিতে পারে। –

বার বার উত্তজনা তৈরির জন্য যারা পর্ন ভিডিওর আশ্রয় নিয়ে থাকেন, এক পর্যায়ে তাদের শরীরের প্রাকৃতিক ও স্বাভাবিক উত্তেজনা হারিয়ে যায়। বিষয়টা এমন হয়ে দাঁড়ায় যে পর্ণ ভিডিও ছাড়া উত্তেজনা জন্মাচ্ছেই না। জীবন সঙ্গী মানুষটির সাথে রোমান্স তখন আর আকর্ষণ করে না। বরং পর্ণ এর নোংরা জগতটাই বেশি টানে।

– লক্ষ্য করে দেখবেন, পর্ণ ভিডিওর অভিনেতা অভিনেত্রীরা ভীষণ আকর্ষণীয় শরীরের অধিকারী হয়ে থাকেন।বাস্তবে বেশিরভাগ মানুষই এমন আকর্ষণীয় শরীরের অধিকারী নন। আরও মনে রাখবেন, একটি সুন্দর নারী শরীর যেমন একজন পুরুষকে আকর্ষণ করে, একটি সুন্দর পুরুষ শরীরও একজন নারীকে আকর্ষণ করে। আপনি না হয় স্ত্রীকে নিয়ে পর্ণ দেখছেন, পর্ণের সুন্দর নারী দেখে উত্তেজিত হচ্ছেন।

একবারও ভেবে দেখেছেন কি যে ভিডিওর আকর্ষণীয় পুরুষটিকে দেখার পর স্ত্রীর চোখে আপনাকে আর আকর্ষণীয় লাগছে কিনা? স্ত্রী মনে মনে তেমন রূপবান একজন পুরুষ কামনা করছেন কিনা? এগুলি সবই চিকিৎসাবিজ্ঞানের কথা। এবার পর্ন ভিডিও দেখবেন কিনা সেটা ভাবতে হবে আপনাকেই।

তবে মনে রাখবেন, পর্ণ আগাগোড়া মিথ্যা ও কৃত্রিম। এবং এটা আসলে একটি ব্যবসা, যার ফাঁদে জড়িয়ে গেছেন আপনিও। নকল জিনিষকে পাথেয় করে না চলাই ভাল। তার চেয়ে সঙ্গী বা সঙ্গীনীকে মন খুলে ভালবাসুন, মনে ইচ্ছে পূর্ণ হবে নিজে থেকেই। ভালোবাসার কারণে যৌনতাও হয়ে উঠবে অপূর্ব আনন্দের। 

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!