DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

নারায়ণগঞ্জের সাত খুনে র‌্যাব জড়িত!

77720140505113859নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র ও কাউন্সিলর নজরুল ইসলামকে অপহরণ করে র‌্যাব হত্যা করেছে। র‌্যাব-১১-এর কয়েকজন কর্মকর্তা এই কাজটি করেছেন ছয় কোটি টাকার বিনিময়ে।

রোববার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের রাইফেল ক্লাবে উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে এ অভিযোগ করেন নজরুলের শ্বশুর শহীদুল ইসলাম ওরফে শহীদ চেয়ারম্যান। তবে এই টাকা কার কাছ থেকে কীভাবে র‌্যাবের কর্মকর্তারা নিয়েছেন, তার বিস্তারিত তিনি প্রকাশ করেননি। নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনের সাংসদ শামীম ওসমান অভিযোগ করার সময় তার সঙ্গে ছিলেন।

এ প্রসঙ্গে র‌্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) মোখলেছুর রহমান বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের বলেছেন, অভিযোগটি গুরুতর। এখনই এই নিয়ে কোনো মন্তব্য করা সম্ভব নয়। তদন্ত হলেই প্রকৃত সত্যটা বেরিয়ে আসবে। তিনি জানান, অভিযোগটি তদন্ত করা হবে। শহীদ চেয়ারম্যান অভিযোগ করে আরো বলেন, ‘গত ২৭ এপ্রিল দুপুরে যখন নজরুলসহ সাতজনকে দুটি গাড়িতে করে অপহরণ করা হয়, সেই ঘটনাটি প্রত্যক্ষ করেছিলেন কয়েকজন বালুশ্রমিক।

তারা আমাদের জানিয়েছেন যে গাড়িগুলোর একটিতে নজরুলকে যখন তোলা হয়, তারা দেখতে পান সেখানে একটি গাড়িতে র‌্যাব-১১ লেখা ছিল।’ তিনি আরো বলেন, ‘বিষয়টি জানতে পেরে আমি সঙ্গে সঙ্গে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি শামীম ওসমানকে জানাই। শামীম ওসমান আমাকে র‌্যাব-১১-এর অধিনায়কের (সিও) সঙ্গে দেখা করতে বলেন। আমি সেখানে গেলে সিও ছয় ঘণ্টা আটকে রেখে আমাকে নানা ধরনের প্রশ্ন করেন।

image_88910সেখানে আমি কোনো আশার আলো দেখতে পাইনি।’ শহীদ চেয়ারম্যান জোর দিয়ে বলেন, ‘র‌্যাবই আমার জামাতা নজরুলসহ সাতজনকে খুন করেছে। এটা বিশ্বাস করার অনেক কারণ আছে। আমাদের কাছে প্রমাণও আছে। সময় হলে আমরা তা প্রকাশ করব।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমি অপহরণের ঘটনার পরপরই র‌্যাব-১১-এর সিওসহ জড়িত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা করতে যাই থানাতে । কিন্তু পুলিশ সুপার ও ফতুল্লা থানার ওসি তাদের বিরুদ্ধে মামলা নেননি।

তারা আমাকে বলেন, সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা যায় না। এই ঘটনার পর থেকে নিজেই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’ তিনি বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত র‌্যাব সদস্যদের শনাক্ত করে তাদের গ্রেপ্তার করা হোক। তিনি তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। গত ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র ও কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজনকে অপহরণ করা হয়।

পরে তাদের গলিত লাশ শীতলক্ষ্যা নদীতে পাওয়া যায়। অপহরণের পর নারায়ণগঞ্জে নিয়োজিত র‌্যাব-১১-এর সিও লে. কর্নেল তারেক সাঈদ মাহমুদকে প্রত্যাহার করা হয়। নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার সৈয়দ নূরুল ইসলামকেও একই দিন প্রত্যাহার করা হয়।

 

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!