দৈনিক প্রথম বাংলাদেশ প্রতিবেদনঃ শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে বিদ্যুৎ করিডোর পাচ্ছে ভারত। এর আওতায় দেশটির এক রাজ্য থেকে আরেক রাজ্যে ৬ হাজার মেগাওয়াট বিদুৎ সঞ্চালনের সুবিধা পাবে। এ বিষয়ে দুই দেশের নীতি নির্ধারকদের মধ্যে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে।
আগামী ৬ মাসের মধ্যে প্রাকসমীক্ষা যাচাই শেষে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। প্রাথমিকভাবে ৩ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সঞ্চালিত হবে। তবে করিডোরে বাংলাদেশের প্রাপ্য সুবিধা সম্পর্কে এখনও কোনো পরিষ্কার ধারণা পাওয়া যায়নি।
বৃহস্পতিবার রূপসী বাংলা হোটেলে অনুষ্ঠিত ভারত-বাংলাদেশ যৌথ স্টিয়ারিং কমিটির সপ্তম বৈঠক শেষে বাংলাদেশের বিদ্যুৎসচিব মনোয়ার ইসলাম সাংবাদিকদের এ কথা জানান। বিদ্যুৎ করিডোর, ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানিসহ নানা বিষয়ে অবহিত করেন সচিব। এসময় ভারতের বিদ্যুৎসচিব পিকে সিনহা উপস্থিত ছিলেন।
বিদ্যুতের করিডোর দিয়ে বাংলাদেশের কী লাভ হবে এমন প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ সচিব বলেন, ‘বিষয়টিতে এখনই লাভ-লোকসান কষা হয়নি।’ আর ভারতের বিদ্যুৎসচিব বলেন, ‘বাংলাদেশের বিদ্যুৎ পাওয়ার একটা সম্ভাবনা রয়েছে, তবে বিষয়টি নির্ভর করছে বিদ্যুৎ সঞ্চালনের পরিমাণের ওপর।’
রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রসঙ্গে পিকে সিনহা বলেন, ‘প্রকল্পটিতে বাংলাদেশ এবং ভারতের ১৫ শতাংশ করে মোট ৩০ শতাংশ অর্থায়ন থাকছে। বাকি ৭০ শতাংশ অর্থ আসবে ঋণের মাধ্যমে। তবে, ভারত ১৫ শতাংশ বিনিয়োগ করলেও এখান থেকে কোনো বিদ্যুৎ নেবে না।’
বৈঠকে বাংলাদেশি প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন- প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক নিলুফার আহমেদ, বিদ্যুৎ বিভাগের যুগ্ম সচিব আনোয়ার হোসেন, পিডিবি’র বোর্ড সদস্য তমাল চক্রবর্তী, পিজিসিবি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুম আল বেরুনী।
অপরপক্ষে ভারতের প্রতিনিধি দলে ছিলেন- বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার পঙ্কজ শরণ, ভারতের বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব যুথি আরোরা, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় ডেপুটি হাইকমিশনার সন্দীপ চক্রবর্তী, ন্যাশনাল থার্মাল পাওয়ার কোম্পানির (এনটিপিসি) চেয়ারম্যান অরূপ রায় চৌধুরী প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ভারতের বিদ্যুৎ সচিবের নেতৃত্বে ১২ সদস্যের ভারতীয় প্রতিনিধি দল গত ১ এপ্রিল সকালে ঢাকায় আসে। প্রতিনিধিদলটি বাগেরহাটে সুন্দরবনের কাছে রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প এলাকাও পরিদর্শন করে।