DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

সিলেট সদর উপজেলাঃ জামায়াতের ভোটে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর জয়!

image_82983_0সদর উপজেলা জামায়াতের ভোটে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আশফাক আহমদ জয়ী হয়েছেন বলে গুঞ্জন উঠেছে। খোদ আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাকর্মীরা ধারণা করছে জামায়াত তাদের প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন।

একটি সূত্র দৈনিক প্রথম বাংলাদেশকে  জানিয়েছে, গত ১৫ মার্চ তৃতীয় দফা উপজেলা নির্বাচনে সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলায় ১৯ দলীয় জোটের প্রার্থী জামায়াত নেতা মাওলানা লোকমান  আহমদের পরাজয়ের পেছনে বড় ধরনের ভূমিকা রাখে বিএনপি। তাই সিলেট সদর উপজেলায় বিএনপির প্রার্থীকে ভোট না দিয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থীকেই ভোট দিয়েছেন তারা।

এছাড়াও সদর উপজেলা বিএনপির প্রার্থীদের বহিষ্কার ও আবিষ্কার নাটকেও বিব্রত অবস্থায় পড়ে জামায়াত। এমনকি বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আবুল কাহের চৌধুরী শামীমকে ভোট দিলে ইলিয়াস বলয় জামায়াতের প্রতি নারাজ। অপরদিকে বিএনপির অপর প্রার্থী শাহ জামাল নুরুল হুদাকে ভোট দিলে সাইফুর রহমান বলয় নারাজ হবে।

এমতাবস্থায় জামায়াত বিএনপিকে ভোট না দিয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আশফাককে ভোট দিয়েছে বলে ধারণা করছেন অনেকেই। তাই আওয়ামী লীগ প্রার্থী বিশাল ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন। আশফাক কাপ পিরিচ প্রতীক নিয়ে ৪৪ হাজার ৩৪১ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির খালেদা জিয়া সমর্থিত প্রার্থী শামীম আনারস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩০হাজার ২৪৮ ভোট। এবং তারেক রহমান সমর্থিত প্রার্থী সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি শাহজামাল নূরুল হুদা ১৮ হাজার ৫৩৯ ভোট পেয়েছেন।  

জানা যায়, সিলেট সদর উপজেলা নির্বাচনে বিএনপির একক প্রার্থী দেয়া নিয়ে অনেক নাটকীয়তা হয়। পরে খালেদার নির্দেশে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আবুল কাহের শামীমকে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা করা হলেও পরবর্তীতে তারেক রহমানের নির্দেশে শাহ জামাল নুরুল হুদাকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এমতাবস্থায় শেষ পর্যন্ত এ উপজেলায় বিএনপি একক প্রার্থী দিতে ব্যর্থ হয়। এমনকি প্রথমে হুদাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হলে পরবর্তীতে শামীমকে বহিষ্কার করা হয়।   

তাই অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে সিলেট সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিএনপির পরাজয়ের আশঙ্কা করেছিলো তৃণমূল নেতাকর্মীরা। শেষ পর্যন্ত তাদের আশঙ্কাই সত্যি হলো।


উল্লেখ্য, বিএনপির পক্ষ থেকে প্রথমে আবুল কাহেরকে সমর্থন দেয়া হয় এবং নূরুল হুদা বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় তাকে বহিষ্কার করা হয়। কিন্তু পরে তারেক রহমানের নির্দেশে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে হুদাকেই দলীয় সমর্থন দেয়া হয়। জানা জায় জনাব হুদার লন্ডন প্রবাসকালীন বিভিন্ন বিতর্কিত কর্মকান্ড এবং তার বিরুদ্ধে দূর্নিতীর গুরুতর অভিযোগ সত্বেও তাকে প্রার্থী মনোনয়ন দেয়ায় এলাকার সাধারন ভোটারগন বিষ্ময় প্রকাশ করেছিলেন।এমতাবস্থায় জনাব  আবুল কাহের শামীন তার প্রার্থিতা প্রত্যাহারে অস্বীকৃতি জানালে তাকেও বহিষ্কার করে বিএনপি। হুদার পক্ষে প্রচারণা চালান বিএনপির নিখোঁজ নেতা ইলিয়াস আলীর স্ত্রী।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!