DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

গৌতম আদানীর বাংলাদেশ প্রজেক্ট নিয়ে কংগ্রেসের ব্যাপক প্রশ্নের মুখে নরেন্দ্র মোদী

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ  ভারতীয়  শিল্পপতি গৌতম আদানির ব্যবসায়িক স্বার্থে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পররাষ্ট্রনীতির অপব্যবহার করে বাংলাদেশকে ব্যবহার করেছেন কিনা- ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে এমন প্রশ্ন করেছে কংগ্রেস।

আদানি গোষ্ঠীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদির সখ্য এবং ওই প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়িক লাভের জন্য সরকারি নীতির ‘অপব্যবহার’ নিয়ে কংগ্রেস প্রশ্ন করে যাচ্ছে। 

মঙ্গলবার নবম দিনে কংগ্রেস মুখপাত্র জয়রাম রমেশের করা তিনটি প্রশ্নজুড়ে ছিল বাংলাদেশে আদানির বিদ্যুৎ রপ্তানির চুক্তি এবং যেখান থেকে তা সরবরাহ হবে সেই গোড্ডা প্রকল্প।

প্রথম প্রশ্নে কংগ্রেস বলে, ইউপিএ আমলে ২০১০ সালে বাংলাদেশের বাগেরহাটে এনটিপিসিকে দিয়ে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের একটি তাপবিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপনে অনুচুক্তি সই হয়েছিল। ক্ষমতায় এসে আপনি দুই ‘এ’ (আদানি–আম্বানি) বন্ধুর সাহায্যে ওঠেপড়ে নামেন। ২০১৫ সালের জুন মাসে বাংলাদেশ সফরে সেই ঘোষণাও হয়। বলা হয়, আদানি পাওয়ার ও রিলায়েন্স পাওয়ার বাংলাদেশকে বিদ্যুৎ দিতে দুটি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থান করবে। 

কংগ্রেস জানতে চায়, ‘এটি কি সত্য যে আপনি শেখ হাসিনাকে জোর করেছিলেন সে জন্য? এমন চুক্তি মানতে জোর খাটিয়েছিলেন, যা বাংলাদেশের পক্ষে ক্ষতিকর এবং আদানি পাওয়ারের কাছে অতিশয় লাভজনক হয়? এটাও কি সত্য যে বাংলাদেশ তার নিজস্ব প্রকল্প থেকে যে দামে বিদ্যুৎ কেনে, গোড্ডা প্রকল্প থেকে কেনা বিদ্যুতের দাম তার চেয়ে অনেক বেশি? প্রতিবেশী রাষ্ট্রের স্বার্থহানি করে বন্ধুর বাণিজ্যিক লাভ করানোই কি ভারতের পররাষ্ট্রনীতি?’

বাংলাদেশ সংক্রান্ত প্রশ্ন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী পার্লামেন্টেই সরাসরি তুলেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী মোদি অথবা সরকারের পক্ষে কেউ কোনো উত্তর দেননি। আট দিন ধরে কংগ্রেসের করা ২৪টি প্রশ্নের একটিরও জবাব বিজেপির কেউ এখনো দেননি

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!