DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

এবার জাতীয় পার্টির সকল কার্যক্রম স্থগিত করতে মামলা!

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের বিরুদ্ধে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই এবার জাতীয় পার্টির (জাপা) সব কার্যক্রমের ওপর বাধ্যতামূলক নিষেধাজ্ঞা চেয়ে মামলা হয়েছে। মামলায় দলের এক কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন, জি এম কাদেরের স্ত্রী শেরীফা কাদেরসহ ১০০ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে সহস্রাধিক ব্যক্তিকে বিবাদী করা হয়।

ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা আদালতে গত বুধবার জাপার বহিষ্কৃত নেতা জিয়াউল হক নতুন করে এ মামলা করেন। এর আগে তারই করা এক মামলায় গত ৩০ অক্টোবর একই আদালত জাপার চেয়ারম্যান ও সংসদে বিরোধী দলের উপনেতা জি এম কাদেরের ওপর দলের সিদ্ধান্ত গ্রহণে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সেই থেকে জি এম কাদের রাজনৈতিক কার্যক্রম থেকে বিরত রয়েছেন। এ মামলায় ৩০ নভেম্বর ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা আদালতে পরবর্তী তারিখ ধার্য আছে।

আদালতের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার কারণে জি এম কাদের চুপচাপ থাকলেও দলের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক’ মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে ২২ নভেম্বর রাজধানীতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করে জাপা। এর বিরুদ্ধে আবার মামলা করেন জিয়াউল হক। তিনি তার আগের মামলাটি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জাতীয় পার্টির সব কার্যক্রম বাধ্যতামূলকভাবে স্থগিত রাখতে আদালতে আবেদন করেন। এতে বিবাদীদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে শাস্তি চেয়েছেন।

মামলায় সহস্রাধিক নেতাকর্মীকে বিবাদী করা হয়। এর মধ্যে জাপার কো-চেয়ারম্যান ও সংসদ সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন, সভাপতিম-লীর সদস্য সাহিদুর রহমান, এস এম আবদুল মান্নান, মীর আবদুস সবুর, শফিকুল ইসলাম, এ টি ইউ তাজ রহমান, হাজি সাইফুদ্দিন আহমেদ, রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, এমরান হোসেন মিয়া, আলমগীর সিকদার, লিয়াকত হোসেন, জহিরুল ইসলাম, জহিরুল আলম; চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ও সংসদ সদস্য শেরীফা কাদের, নাজনীন সুলতানা; ভাইস চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান, এইচ এম শাহরিয়ার আসিফসহ ১০০ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়।

এ বিষয়ে জাপার মহাসচিব মো. মুজিবুল হক বলেন, নেতাকর্মীরা ‘মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক’ মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন। রাজনৈতিক মামলায় এ ধরনের প্রতিবাদ আজীবন চলে আসছে। এখানে আদালত অবমাননার কিছু হয়নি। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী চেয়ারম্যান দলীয় কার্যক্রম থেকে বিরত আছেন।

দলীয় সূত্র জানায়, নেতাকর্মীদের মধ্যে আলোচনা আছে যে জাপাকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষ কোনো মহল থেকে এ ধরনের মামলা করতে উৎসাহ দেয়া হচ্ছে।

এদিকে জি এম কাদেরকে সংসদে বিরোধী দলের নেতা করার প্রস্তাবটি প্রায় তিন মাস ধরে ঝুলে রয়েছে। এর সঙ্গে একের পর এক মামলার যোগসূত্র আছে বলে জাপার নেতাকর্মীদের অনেকে মনে করেন। গত ১ সেপ্টেম্বর জাপার সংসদীয় দল স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর দফতরে প্রস্তাবটি জমা দেয়। এখন পর্যন্ত স্পিকার কোনো সিদ্ধান্ত দেননি।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!