DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

অবশেষে হাসিনা সরকারের যোগসাজসে হেফাজতের নির্বাচিত কমিটি বিলুপ্ত ঘোষনা।

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ  অবশেষে অবৈধ হাসিনা সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী হেফাজতে ইসলামী বাংলাদেশের নির্বাচিত জাতীয় কমিটি বিলুপ্ত করা হলো। এই কমিটির অধিকাংশ নেতা সরকার বিরোধী হওয়ায় এদের নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন ছিলো সরকারের দ্বায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গ।

তাই হাসিনা সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এখন থেকে হেফাজতে ইসলাম থেকে রাজনৈতিক পরিচয় পরিচয়ধারী নেতাদের বাদ দিয়ে নতুন কমিটি করা হবে।  ইতিমধ্যে আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী ও নুরুল ইসলাম জিহাদীর নেতৃত্বাধীন হেফাজতে ইসলামের বর্তমান কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। 

সদ্য বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা নাসির উদ্দিন মুনির  বলেন,সরকারের পরামর্শ অনুযায়ী সংগঠনটি থেকে বিতর্কিত নেতাদের বাদ দিয়ে নতুন কমিটি করা হবে। একটি আহ্বায়ক কমিটির মাধ্যমে অরাজনৈতিক আলেমদেরকে নিয়ে নতুন করে হেফাজতকে ঢেলে সাজানো হবে। 

আজ রোববার রাত ১১টার একটি ভিডিও বার্তার মাধ্যমে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন হেফাজত আমির আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী। 

ভিডিও বার্তায় আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন- প্রিয় দেশবাসী, দেশের বর্তমান সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বৃহত্তম অরাজনৈতিক দ্বীনি সংগঠন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কমিটির গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের পরামর্শক্রমে বর্তমান কেন্দ্রীয় কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হল। 

ভিডিওবার্তায় তিনি আরো বলেন, ইনশাআল্লাহ- একটি আহবায়ক কমিটির মাধ্যমে হেফাজতে ইসলামের সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালিত হবে। 

প্রসঙ্গত, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ আগমনকে কেন্দ্র করে গত মার্চের ২৫, ২৬ ও ২৭ তারিখ দেশজুড়ে যে সহিংস ঘটনা ঘটেছে, অন্তত ২১ জন মানুষের প্রাণহানি হয়। এসব নাশকতার পেছনে জড়িত থাকার অভিযোগে অন্তত  ২ ডজন হেফাজত নেতা গ্রেফতার রয়েছেন।

এর মধ্যে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে রয়্যাল রিসোর্টে স্ত্রী সহ বেড়াতে গেলে ছাত্রলীগ যুবলীগের কর্মীগন তাকে অপমান করে। এতে নতুন করে বিতর্কের মুখে পড়ে হেফাজত। 

সরকারের কঠোর অবস্থানের কারণে কোণঠাসা হেফাজতে ইসলামের শীর্ষ নেতারা শুরু থেকেই সমঝোতার চেষ্টা করছেন। এরই ধারাবাহিকতায় তারা গোয়েন্দা সংস্থা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। 

গত সপ্তাহে হেফাজত ইসলামের মহাসচিব মাওলানা নুরুল ইসলাম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে মন্ত্রীর বাসায় দেখা করে দলের নেতাকর্মীদের গণগ্রেফতার না করার অনুরোধ জানিয়েছিলেন। কিন্তু সরকারের কঠোর অবস্থানের কারণে শেষ পর্যন্ত বর্তমান কমিটি ভেঙে দিলেন হেফাজত নেতারা।  

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!