DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

চট্টগ্রামে নিখোঁজের ৬৯ ঘণ্টা পর বিএনপিকর্মী জামশেদের বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার।

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ  চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএনপির কর্মী জামশেদ উদ্দীনের বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিখোঁজের ৬৯ ঘণ্টা পর পুলিশ উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নের বশরতনগর সাগর উপকূল থেকে গত শনিবার বেলা তিনটার দিকে লাশটি উদ্ধার করে। জামশেদের ছোট ভাই মো. নাছির উদ্দিন লাশটি তাঁর ভাইয়ের বলে শনাক্ত করেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে পুলিশ। পুলিশ লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেছে।

পুলিশ ও পরিবারের ধারণা, জামশেদকে অপহরণের পর হত্যা করে বস্তাবন্দী লাশ উপজেলার মুরাদপুর ইউনিয়নের দেলীপাড়া এলাকায় সাগরে ভাসিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। ৬৯ ঘণ্টা সাগরের পানিতে ভেসে পরে জামশেদের বাড়ি থেকে চার কিলোমিটার দূরের সাগর উপকূল থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। এ সময় লাশটি থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছিল।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার জামশেদকে অপহরণের অভিযোগে সীতাকুণ্ড থানায় মামলা করেন তাঁর স্ত্রী রুবি আক্তার। আজ দুপুরে সীতাকুণ্ড প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে জীবিত বা মৃত জামশেদকে পাওয়ার আকুতি জানান তাঁর বড় ভাই জয়নাল আবেদীনসহ পরিবারের সদস্যরা। এ সময় তাঁদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি রাশেদুন নবী চৌধুরীসহ অনেকে।

দুপুরে বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধারের খবরে ঘটনাস্থলে ছুটে যান জামশেদ অপহরণ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সীতাকুণ্ড থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হারুন অর রশীদ।  তিনি বলেন, জামশেদের লাশ বস্তাবন্দী অবস্থায় সাগর উপকূলে পড়ে ছিল। তাঁর ধারণা, লাশটি ভেসে এসেছে। উৎকট গন্ধে লাশের কাছে যাওয়া যাচ্ছে না। তাঁর ছোট ভাই নাছির উদ্দিন লাশটি জামশেদের বলে শনাক্ত করেছেন। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

লাশ শনাক্তকারী নাছির উদ্দিন বলেন, যারা তাঁর ভাইকে হত্যা করে চার ছেলেমেয়েকে এতিম করেছে, তাদের ফাঁসি চান তিনি। তাদের গ্রেপ্তার করে শাস্তি যেন দ্রুত হয়, এ দাবি তাঁর।  জামশেদের ভাই জয়নাল আবেদীন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, তাঁর ভাইকে রাজনৈতিক কারণে আওয়ামী লীগের লোকজন অপহরণ কিংবা হত্যা করেছে। তাঁরা ১৮ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন।

নিহত জামশেদের বাড়ি উপজেলার মুরাদপুর ইউনিয়নের পশ্চিম মুরাদপুর হাসনাবাদ গ্রামে। তাঁকে অপহরণের মামলায় গত শুক্রবার রাতে মো. জুয়েল (২৫) ও মো. সাইফুল্লাহ (২৭) নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁদের বাড়িও মুরাদপুর ইউনিয়নে।

গত বুধবার রাতে জামশেদ হাসনাবাদ গ্রাম থেকে শ্বশুরবাড়ি কুমিরা ইউনিয়নের মগপকুর এলাকায় যাওয়ার কথা ছিল। সন্ধ্যার পর থেকে তাঁর মুঠোফোন বন্ধ পান পরিবারের সদস্যরা।

সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন বণিক  বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার দুজন জানিয়েছেন, জামশেদ তাঁদের সঙ্গে ছিলেন। কিন্তু এর বেশি কিছু তাঁরা বলেননি। আজ শনিবার তাঁদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!