DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

জয়পুরহাটে মিথ্যা ধর্ষন মামলা করায় মহিলার ৫ বছরের কারাদন্ড।

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ জয়পুরহাটে মিথ্যা ধর্ষণ মামলা করার দায়ে মামলার বাদীকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার বিকেলে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা জজ রুস্তম আলী এ রায় দেন। জয়পুরহাট আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল বিষয়টি  নিশ্চিত করেছেন।

ওই মিথ্যা মামলার বাদী ও দণ্ডপ্রাপ্ত নারী হলেন মোছা. লিলিফা বানু (৩৫)। তিনি জয়পুরহাট সদর উপজেলার সুন্দুরপুর গ্রামের শাহজাহান আলীর স্ত্রী। গত বছরের ২৭ জুন একই গ্রামের বাসিন্দা রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে আদালতে ওই মিথ্যা ধর্ষণ মামলাটি করেছিলেন লিলিফা বানু।

মিথ্যা মামলার অভিযোগে বলা হয়েছিল, গত বছরের ২২ জুন লিলিফা বানুর স্বামী ধামইরহাট উপজেলার বাসুদেবপুর গ্রামে তাঁর খালার বাড়িতে যান। সেদিন রাতে খাওয়া শেষে লিলিফা বানু তাঁর পুত্রসন্তানকে নিয়ে নিজ ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত ১২টার দিকে একই গ্রামের রুহুল আমিন প্রাচীর টপকে লিলিফা বানুর ঘরে ঢুকে তাঁকে ঘুমন্ত অবস্থায় ধর্ষণ করেন। লিলিফার চিৎকারে পাশের ঘরে থাকা বোন ও বোনজামাই ছুটে এসে রুহুল আমিনকে ধরে ফেলেন।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিশেষ কৌঁসুলি (পিপি) ফিরোজা চৌধুরী  বলেন, তদন্তে মামলাটির সত্যতা মেলেনি। বাদী গোপনে মামলাটি আপস করেছিলেন। আদালত এই ঘটনা জানার পর মামলার বাদীকে জেলা কারাগারে পাঠিয়েছিলেন। সোমবার আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে বাদী জামিন আবেদন করেন। মিথ্যা মামলা করায় আদালতের বিচারক নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১৭ ধারায় মামলার বাদীকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন। আর ওই মিথ্যা ধর্ষণ মামলার আসামিকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।

জয়পুরহাট আদালতের সরকারি কৌঁসুলি নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল বলেন, গত মাসে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে পরপর দুটি মিথ্যা ধর্ষণ মামলার বাদীকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আজকেও একই ধরনের ঘটনায় আবারও মামলার বাদীকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এটি একটি যুগান্তকারী রায়। এ রায়ের ফলে মিথ্যা মামলার প্রবণতা কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!