DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

নোয়াখালীতে অস্ত্রের মুখে গৃহবধু ধর্ষনের পর ভিডিও নেটে দিলো যুব লীগ নেতা দেলোয়ার।

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ  নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে স্বানীয় যুব লীগের নেতা-কর্মীদের দ্বারা স্বামীকে বেঁধে রেখে গৃহবধূকে নিজ ঘরে বিবস্ত্র করে চরম নির্যাতনের ঘটনায় সারাদেশে তোলপাড় চলছে।  রোববার সকাল থেকে ঘটনাটি ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত রহিম নামের এক যুবককে গ্রেফতার করতে বাধ্য হয়। এই লোমহর্ষক ঘটনার সাথে জড়িত দেলোয়ার,রহিম,বাদল ও কালাম সকলেই যুব লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। জানা যায়,এই  কুখ্যাত দেলোয়ারের নেতৃত্বে গঠিত দেলোয়ার বাহিনী ঐএলাকায় এহেন কুকর্ম নেই যা করেনি।  দেলোয়ার বাহিনী নোয়াখালী-৩ আসনের মিডনাইট এমপি মামুনুর রশীদ কিরনের নিজস্ব বাহিনী হিসাবে পরিচিত। ভাইরাল হওয়া ঐ ঘটনার ভিডিওটিতে আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসী দেলোয়ারকে পিস্তল হাতে ঐ গৃহবধুকে সম্পূর্ন বিবস্ত্র করতে দেখা যায়। এই সময় ঐ অসহায় মহিলার শত অনুনয় বিনয়েও তাদের মন গলেনি।

জানা যায়, উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের খালপাড় এলাকার নূর ইসলাম মিয়ার মেয়ের সাথে স্বামীর মনমালিন্য ছিলো দীর্ঘদিন।  এই সুযোগে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা দেলোয়ারের নেতৃত্বে এলাকার, রহিম, বাদল, কালাম ও তাদের সহযোগীরা ওই মহিলাকে কু প্রস্তাব দিয়ে আসছিল।

গত ২ সেপ্টেম্বর রাতে ওই গৃহবধুর স্বামী শশুর বাড়িতে আসে। তারা ঘরে অবস্থান করা কালে স্বামীসহ গৃহবধুকে আটক করে অভিযুক্তরা ব্যাপক নির্যাতন চালায়। তারা স্বামীকে বেঁধে রেখে অবৈধ সম্পর্কের কথা বলে বিবস্ত্র করে নির্যাতন করে। এ সময় তার অপত্তিকর ভিডিও করে রাখে নির্যাতনকারীরা।

ঘটনার ৩২ দিন পর ৪ অক্টোবর রোববার সকাল থেকে ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে সর্বত্র তোলপাড় সৃষ্টি হয়। টনক নড়ে স্থানীয় প্রশাসনের। দিনভর পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে পূর্ব একলাশপুর গ্রামের বাড়িধন বাড়ির আবদুর রহিমকে আটক করে।

নির্যাতনকারীরা সরকার দলীয় প্রভাবশালী হওয়ায় ভয়ে কেউ কথা বলতে রাজি হচ্ছেনা।  নাম প্রকাশে অনিশ্চুক স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা অভিযোগ করেছেন, ওই গৃহবধূকে গণধর্ষণ করা হয়েছে।  ভয়ে গণধর্ষিতার পরিবার এ নিয়ে কথা বলতে অনীহা প্রকাশ করে। তাই ঘটনার ৩২ দিন অতিবাহিত হলেও ভুক্তভোগি পরিবার এ ঘটনায় থানায় কোন অভিযোগ দায়ের করতে পারেনি।

দেলোয়ার গং ঘটনার দীর্ঘ ১মাস পর এই ভয়াবহ নির্যাতনের ভিডিওটি নেটে ছেড়ে দিলে সারাদেশের মানুষের মাঝে ব্যপক আলোড়ন সৃষ্টি করে।লজ্জায় ঘৃনায় মানুষ হতবাক হয়ে যায়।

আজ রোববার সন্ধায় নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন জানান, গৃহবধুকে নির্যাতন এবং ভিডিও প্রচারের ঘটনায় জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবেনা। ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারে এবং নির্যাতিতা পরিবারকে আইনি সহযোগীতা দিতে জেলা পুলিশের ৫টি ইউনিট মাঠে কাজ করছে বলেও তিনি জানান।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!