DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

বুড়িগঙ্গায় ২লঞ্চের সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ৩০জনের মৃতদেহ উদ্ধার।

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ  বুড়িগঙ্গা নদীর কেরানীগঞ্জের ফরাশগঞ্জ ঘাটে ২টি লঞ্চের সংঘর্ষে যাত্রীবাহী লঞ্চ মরনিং বার্ড ডুবে এখন পর্যন্ত মৃত্যু বেড়ে ৩০ জনে দাঁড়িয়েছে। এরমধ্যে আটজন নারী, তিনজন শিশু এবং ১৯ জন পুরুষ রয়েছেন। এখনো আরও অনেকে নিখোঁজ রয়েছেন।  উদ্ধার কাজ অব্যাহত।

নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বাকিদের উদ্ধারে তৎপরতা চালাচ্ছেন নৌবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। এছাড়া ঘটনাস্থলে রয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাজ্জাদ হোসাইন।

সোমবার (২৯ জুন) দুপুর দেড়টার দিকে তিনি  বলেন, এ পর্যন্ত ৩০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজদের উদ্ধারে তৎপরতা চালানো হচ্ছে। এছাড়া অভিযুক্ত লঞ্চটিকে আটক করা হয়েছে।

তিনি বলেন, নিহতদের মধ্যে ১৯ জন পুরুষ। আটজন নারী। এবং তিনটি শিশু রয়েছে। এছাড়া উদ্ধার অভিযান চলছে। মৃত সংখ্যা আরও বাড়তে পারে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে উদ্ধার কাজ ব্যাহত হচ্ছে উৎসুক জনতার ভিড়ে।

ডিজি বলেন, অনেক দুর্ঘটনায়ই উৎসুক জনতার ভিড় হয়ে যায়। এখানেও খুব ভিড়। আমি বোট নিয়ে ঘটনাস্থলে যাচ্ছিলাম। তখন আমার বোটেও মানুষজন উঠে গিয়েছিলেন যাওয়ার জন্য। বোটটি প্রায় ডুবে যাচ্ছিল তখন। আমি অনুরোধ করব, এই মর্মান্তিক ঘটনা নিয়ে ভিড় না করতে।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ জামান বাংলানিউজকে বলেন, ধারণা করা হচ্ছে প্রায় ১০০ জন যাত্রী ছিলেন ওই লঞ্চে। এরমধ্যে নিখোঁজ হয়ে যান প্রায় ৭০ জন। তা থেকে এ পর্যন্ত ৩০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

জানা যায় মুন্সিগঞ্জ কাঠপট্টি থেকে প্রায় ১০০ জন যাত্রী নিয়ে মর্নিং বার্ড নামক লঞ্চটি ঢাকায় আসছিল। সকাল সাড়ে নয়টার দিকে ফরাশগঞ্জ ঘাট সংলগ্ন কুমিল্লা ডক এরিয়ায় ময়ূরী-২ লঞ্চ পেছনের দিকে ধাক্কা দিলে মর্নিং বার্ড লঞ্চটি ডুবে যায়।

ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক হাফিজুর রহমান বলেন, বুড়িগঙ্গা নদীর কেরানীগঞ্জের ফরাশগঞ্জ ঘাটে প্রায় ১০০ জন যাত্রী নিয়ে ডুবে যাওয়া লঞ্চটি ঢাকাগামী ‘মর্নিং বার্ড’। ‘ময়ূরী’নামে আরেক লঞ্চের ধাক্কায় যানটি ডুবে যায় মুহূর্তেই।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!