DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

করোনা সংকটে ঘরে বসে থাকায় বেঁচে যাচ্ছেন বিএনপি নেতারা: হাছান মাহমুদ


ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ  করোনাভাইরাস সংকটে অসহায় মানুষের পাশে না দাড়িয়ে ঘরে বসে ‘প্রেস ব্রিফিংয়ে কর্মকাণ্ড’ সীমিত রাখায় বিএনপি নেতাদের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কম দেখছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও অবৈধ হাসিনা সরকারের তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

শুক্রবার বিকেলে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে করোনাভাইরাসে দলের সদ্যপ্রয়াত নেতৃবৃন্দের আত্মার শান্তি কামনা এবং অসুস্থ নেতাকর্মীদের আরোগ্য প্রার্থনা ও দোয়া মাহ‌ফিল শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, “করোনা প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ার শুরু থেকেই আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে  আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, মন্ত্রিপরিষদ ও সংসদ সদস্যবৃন্দ এবং বিভিন্ন পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিরা জনগণকে সুরক্ষা দেওয়া ও সহায়তা করার জন্য ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন।

“যে কারণে আমরা দেখতে পারছি, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ বহু নেতাকর্মী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। বিশেষ করে বরেণ্য নেতা মোহাম্মদ নাসিম, সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ আবদুল্লাহ, সিলেটের সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরান মৃত্যুবরণ করেছেন। এর মূল কারণ হচ্ছে, তারা জনগণের পাশে থেকে কাজ করছিলেন এবং তা করতে গিয়েই করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।”

আওয়ামী লীগের তুলনায় বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতাদের করোনাভাইরাস আক্রান্তের খবর তেমন না থাকার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “কেউ আক্রান্ত হোক সেটি আমরা কখনও কামনা করি না। বিএনপি নেতারা সবাই সুস্থ থাকুন, আমরা এবং সব মানুষ যেন সুস্থ থাকে সেটিই আমরা কামনা করি।

“সেই সাথে এটিও সত্য যে, যারাই জনগণের পাশে থেকে কাজ করছেন তারাই আক্রান্ত হচ্ছেন এবং তাদেরই আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। অপরদিকে বিএনপি নেতারা যারা হাতগুটিয়ে বসে আছেন, ঘরের মধ্যে থেকে প্রেস ব্রিফিং আর কিছু ফটোসেশনের মধ্যে কাজকর্ম সীমাবদ্ধ রেখেছেন, জনগণের পাশে দাঁড়াননি তাদের আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা কম। তবে আমি সব সময় প্রার্থনা করি বিএনপি নেতৃবৃন্দ সবাই সুস্থ থাকুন।”

দেশের স্বাস্থ্যসেবা ‘ভেঙে পড়েছে’ বলে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় হাছান মাহমুদ বলেন, “দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা যতটুকু আছে সেই সামর্থ্যকে কাজে লাগিয়ে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী ও প্রশাসনের প্রাণান্তকর চেষ্টায় এখনও বাংলাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে কম মৃত্যুহারের দেশগুলোর একটি। সেই সাথে স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নের সকল উদ্যোগ হাতে নেওয়া হয়েছে। সুতরাং অর্বাচীনের মতো কথা না বলে তাদের জনগণের পাশে দাঁড়াতে অনুরোধ জানাই।”

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!