DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

ডাঃ জাফরুল্লাহর বিরুদ্ধে মামলা করবে সরকার সমর্থিত ৩টি নার্স সংগঠন।

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বেসরকারি এক টেলিভিশনে টকশোতে নার্সদের নিয়ে কটূক্তিমূলক মন্তব্য করেছেন – এমন অভিযোগ তুলেছে আওয়ামী লীগ সমর্থিত নার্সদের তিনটি সংগঠন।

তবে এবিষয়ে সংশ্লিষ্টগন বলছেন গনস্বাস্থ্য উদ্ভাবিত করোনা সনাক্তকরন কিট অনুমোদন নিয়ে হাসিনা সরকারের টালবাহানা নিয়ে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে ডা. জাফরুল্লাহকে বেকায়দায় ফেলতেই এই মামলার কথা বলছে সরকারী দল সমর্থিত নার্স সংগঠনগুলো।

উক্ত সংগঠনগুলো হলো স্বাধীনতা নার্সেস পরিষদ, সোসাইটি অব নার্সেস সেফটি অ্যান্ড রাইটস ও বাংলাদেশ বেসিক গ্রাজুয়েট নার্সেস সোসাইটি।

গত শনিবার(২৫ এপ্রিল) রাতে স্বাধীনতা নার্সেস পরিষদ, সোসাইটি অব নার্সেস সেফটি অ্যান্ড রাইটস ও বাংলাদেশ বেসিক গ্রাজুয়েট নার্সেস সোসাইটির পক্ষ থেকে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই দাবি জানানো হয়।

এতে উল্লেখ হয়, ২৫ এপ্রিল রাতে একটি টক-শোতে তিনি বলেছেন, ‘নার্সদের দ্বিতীয় শ্রেণির অফিসার পদমর্যাদা দেওয়া ঠিক হয়নি। নার্সরা ঠিকমতো কাজ করে না। এজন্যই নার্সরা করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে না।

এদিকে সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে বিবৃতিতে বলেছেন, নার্সরা দ্বিতীয় শ্রেণির গেজেটেড অফিসার এবং তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন করে বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি)। ২০১১ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নার্সদের কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ দ্বিতীয় শ্রেণির পদমর্যাদা দেন। কিন্তু ডা. জাফরুল্লাহ দীর্ঘদিন ধরেই বার-বার নার্সদের নিয়ে নানা কটূক্তি করে আসছেন। যা নার্সদের জন্য চরম মানহানিকর।

স্বাধীনতা নার্সেস পরিষদের মহাসচিব ইকবাল হোসেন সবুজ জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নার্সদের দ্বিতীয় শ্রেণির পদমর্যাদা দিয়েছেন। নার্সদের নিয়ে কটূক্তি করার অধিকার তার নেই। করোনার এই সময় এমন বক্তব্য এদেশের নার্সদের সেবা কাজে নিরুৎসাহিত করবে। অবিলম্বে ডা. জাফরুল্লাহকে নার্স সমাজসহ গোটা জাতির কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে। নইলে বাংলাদেশের নার্সরা তাকে কঠোরভাবে দমন করতে বাধ্য হবে।

বাংলাদেশ বেসিক গ্রাজুয়েট নার্সেস সোসাইটির মহাসচিব আনোয়ার হোসেন বাবু জানান, ডা. জাফরুল্লাহ বার বার নার্সদের নিয়ে উস্কানিমূলক কথা ও কটূক্তি করে আসছেন। আমরা তার বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানাই।

সোসাইটি অব নার্সেস সেফটি অ্যান্ড রাইটস সংগঠনের মহাসচিব সাব্বির মাহমুদ তিহান জানিয়েছেন, ডা. জাফরুল্লাহ বলেছেন নার্সরা কাজ করে না বলে করোনায় আক্রান্ত হয় না। কিন্তু বর্তমানে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সেবা দিতে গিয়ে দেশে প্রায় ২২০ জন নার্সও আক্রান্ত হয়েছে। ৩০০ জন নার্স কোয়ারেন্টিনে আছেন। নার্সদের নিয়ে কটূক্তি করায় ডা. জাফরুল্লাহ শুধু নার্সদেরই অসম্মান করেনি; মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকেও অসম্মান করেছেন।

এই মুহূর্তে তার বক্তব্য প্রত্যাহার না করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ারও হুঁশিয়ারি দেয় নার্সদের এই তিন সংগঠনের নেতারা।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!