DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

বিবিসি বাংলার সাক্ষাতকারে অসত্য তথ্য দিয়েছেন শেখ হাসিনাঃ মির্জা ফখরুল।

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ  বিরোধী মত, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, পুলিশের হেফাজতে ‍নির্যাতন-মৃত্যু নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে বক্তব্য দিয়েছেন তা সঠিক নয় তো বটেই, এটা সত্যের অপলাপ ছাড়া আর কিছুই না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্যার।

বিবিসি বাংলাকে দেয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকার নিয়ে অতি সম্প্রতি নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নিজের চেম্বারে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন বিএনপি মহাসচিব।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এটা তো আমার কাছে পরিস্কার যে, এখানে প্রধানমন্ত্রী সত্য কথা বলেননি। আমাদের পত্র-পত্রিকাগুলোতে মানবাধিকারের যে গ্রুপগুলো রয়েছে তাদের যে রিপোর্ট আমরা পেয়েছি। এমনকি অ্যামিনেস্টি ইন্টান্যাশনাল, হিউম্যান রাইট ওয়াচ’র রিপোর্টে আমরা দেখেছি- প্রতিবছরে এখানে জুডিশিয়াল কাস্টিডিওতে মৃত্যু হয়েছে ৪শ’ থেকে ৭শ’। গতবছর বিশেষ করে ৪শ’ উপরে তথাকথিত বন্দুকযুদ্ধের নামে জডিশিয়াল কাস্টিডিও হত্যা হয়েছে।’

‘আর পুলিশ হেফাজতে যে টর্চার-এটা তো কমন ব্যাপার। পত্র-পত্রিকায় ছবিতে এসেছে- ফ্যান সিলিংয়ের সাথে ঝু্লিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমাদের অনেক নেত-কর্মী আছেন যাদের পায়ে বন্দুক ঠেকিয়ে গুলি করা হয়েছে। এটা ছবিতে চলে এসেছে। এগুলোতে আপনারা সবাই জানেন, পত্র-পত্রিকায় এসেছে। সুতরাং উনি (প্রধানমন্ত্রী) অবলীলায় অস্বীকার করলেন- এটা( হেফাজতে মৃত্যু) হয় না। আমরা মনে হয় এটা সঠিক নয় তো বটেই, এটা সত্যের অপলাপ ছাড়া আর কিছুই না।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রকৃত যে চিত্র নির্যাতন বাংলাদেশে নির্যাতন সরকারিভাবেই চলছে এবং সরকার বিরোধী মত ও যারা ভিন্নমত পোষন করে তাদের উপরে অত্যাচার-নির্যাতন আরও বেশি করে চালাচ্ছে। আপনারা দেখেছেন যে, আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন আলোকচিত্রী শিল্পী শহিদুল আলমকে গ্রেফতার করে অত্যাচার করা হয়েছে এবং কাস্টিডিওতে নেয়ার পরে অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনকভাবে তার সাথে নির্মম আচরণ করা হয়েছে।’

সরকার পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে যে, খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়ার মতো বিএনপি চাপ সৃষ্টি করতে পারছে না- এরকম প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সরকার যখন মনে করে চাপ সৃষ্টি করা ছাড়া তারা কোনো ন্যায়ের কাজ করবে না। তখন তো ওইটা ডিফিকাল্ট হয়ে যায়। ইট ইজ এ রেসপনসিবিলিটিজ দ্যা গর্ভমেন্ট, তাকে ডেঙ্গুর কাজ করতে হবে, বন্যা পরবর্তী কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে, কৃষি পুনর্বাসন কর্মসূচি করতে হবে। আইনের শাসনকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।’

সর্বক্ষেত্রে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে হবে, তাহলে আপনার সরকারই উস্কানি দিচ্ছে ভিন্নপথে যাওয়ার। যেটা আমরা মনে করি একটা গণতান্ত্রিক পরিবেশের জন্য কখনোই ভালো নয় বলেও মন্তব্য করেন ফখরুল।

সরকারি দল বলছে, খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার মতো আন্দোলন বিএনপি পারছে না- এরকম প্রশ্নের মহাসচিব বলেন, ‘বিষয়গুলো আপেক্ষিক না। ফ্যাসিস্ট সরকার যখন থাকে তখন সেই মুক্ত হওয়ার জন্য আন্দোলন কী জ্বালাও-পোঁড়াও করে সব পুঁড়িয়ে দিতে হবে নাকি? এই ধরনের চিন্তা-ভাবনা আওয়ামী লীগের মধ্যে আছে যা এটা তারা চাচ্ছে।’

আমরা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নিয়মের মধ্য দিয়ে চেষ্টা করছি। জনগণ যদি মনে করে যে, তারা অন্যভাবে দেখবেন- সেটা জনগণের ব্যাপার বলেও জানান বিএনপি মহাসচিব।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!