DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

এবার সরকারে আসার পর আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা আরো বেড়েছেঃ শেখ হাসিনা।

 

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ  আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তৃণমূল পর্যায় থেকে দলকে ঢেলে সাজানোর দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করে বলেছেন, আওয়ামী লীগকে একেবারে তৃণমূল থেকে ঢেলে সাজানো হবে। এ জন্য আমরা আট বিভাগের জন্য আটটি কমিটি করেছি। এই কমিটিগুলোর দায়িত্ব থাকবে কোথায় সংগঠনের কমিটি আছে না আছে সেগুলো দেখা; সাংগঠনিকভাবে আওয়ামী লীগকে আরো মজবুত করে গড়ে তোলা। সেটাই আমাদের লক্ষ্য।

 

গতকাল শুক্রবার বিকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ ও উপদেষ্টা পরিষদের যৌথ সভায় সূচনা বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। আওয়ামী লীগকে সাংগঠনিকভাবে আরো শক্তিশালী করতে নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, আজকে উপদেষ্টা পরিষদ এবং কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ একসঙ্গে বসেছি। সেই সঙ্গে আমরা আর একটি কাজ করতে চাই, ইতোমধ্যে আমাদের প্রেসিডিয়াম মিটিং করেছি, ওয়ার্কিং কমিটির মিটিং করেছি। আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, প্রেসিডিয়াম কার্যকরী সদস্যদের নিয়ে আটটি বিভাগে কমিটি গঠন করেছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাধারণত রাষ্ট্র পরিচালনা করতে গেলে অনেক সময় সরকার ধীরে ধীরে মানুষের কাছ থেকে হারিয়ে যায় বা তাদের জনপ্রিয়তা হ্রাস পায়। কিন্তু আল্লাহর রহমতে আমরা আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর থেকে জনগণের আস্থা বিশ্বাস অর্জন করেছি, জনপ্রিয়তা আরো বৃদ্ধি পেয়েছে।

বিএনপি-জামায়াত নেতৃত্বাধীন জোটের ভরাডুবির কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, যেহেতু মিলিটারি ডিকটেটর ক্ষমতা দখল করে ক্ষমতায় গিয়ে এসব দল গঠন করেছে, খুব স্বাভাবিকভাবে এরা হচ্ছে পরজীবীর মতো। নির্বাচনকে তারা মনে করেছে ব্যবসা। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যাই হোক দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ এগুলোই ছিল তাদের কাজ। এখন দেশের মানুষ অন্তত শান্তিতে আছে।

বৈঠক প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, আমরা জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করব। এই উদযাপনের লক্ষ্য নিয়েই আমরা বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছি। আমরা সরকারিভাবেও কমিটি করেছি, ব্যবস্থা নিয়েছি। পার্টির পক্ষেও আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি এবং আমরা একটা কমিটিও করেছি।

প্রধানমন্ত্রীর সূচনা বক্তব্যের পর তার সভাপতিত্বে নেতৃবৃন্দের রুদ্ধদ্বার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সূত্র জানায়, বৈঠকে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ২৪ এপ্রিল শুরু হতে যাওয়া জাতীয় সংসদ অধিবেশন শেষ হলেই কেন্দ্রীয় ৮টি টিম তৃণমূল সফরে যাবে। বৈঠকে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ এমপি বলেন, দেশে-বিদেশে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে প্রচারণা বাড়াতে হবে। আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য, কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র ও খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ নাসিম এমপি বলেন, তৃণমূলে সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠন করে সংগঠনকে সুসংগঠিত করতে হবে। এছাড়া আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু, ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন, অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, মুকুল বোস প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফের সঞ্চালনায় সভায় আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদ ও উপদেষ্টা পরিষদের প্রায় সকল সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আসার পথে রাস্তার দুপাশে দাঁড়িয়ে ব্যাপক শোডাউন করেছে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী। মহানগর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের হাজার হাজার নেতাকর্মী মত্স্য ভবন থেকে শুরু করে গুলিস্তানের নূর হোসেন চত্বর পর্যন্ত রাস্তার দুপাশে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীকে অভিবাদন জানান। এরমধ্যে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের শোডাউন ছিল চোখে পড়ার মতো।

রোহিঙ্গাদের অবশ্যই ফিরে যেতে হবে

বাসস জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সম্পর্কে তার দৃঢ় অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে বলেছেন, জোরপূর্বক স্থানচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের অবশ্যই তাদের নিজ বাসভূমিতে ফিরে যেতে হবে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী রিম ইব্রাহিম আল হাশিমী গতকাল সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে তার সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাত্ করতে এলে তিনি বলেন, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা নাগরিকদের অবশ্যই মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে তাদের নিজ বাসভূমিতে ফিরে যেতে হবে। সাক্ষাত্ শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

ইহসানুল করিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী আরব আমিরাতের মন্ত্রীকে রোহিঙ্গা সংকটের বর্তমান পরিস্থিতি সংক্ষেপে অবহিত করে বলেন, বাংলাদেশ সরকার অনেক আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে রোহিঙ্গাদের সহায়তা করছে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও মিয়ানমার এ ইস্যুতে আলোচনা করেছে এবং তাদের প্রত্যাবাসনে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!