DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

মাদক ব্যবসায়ীদের ক্রসফায়ার আরও আগে শুরু হওয়া উচিত ছিল: এমপি বদি

দৈনিক প্রথম বাংলাদেশ প্রতিবেদনঃ  মাদক ব্যবসায়ীদের ক্রসফায়ারে দেওয়ার পক্ষে বলে নিজের মত জানালেন মাদক ব্যবসা নিয়ে আলোচিত-সমালোচিত (কক্সবাজার-৪ আসন)আওয়ামী সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি। তিনি বলেন, ‘ক্রসফায়ার আরও আগে শুরু হওয়া উচিত ছিল। মাদকের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর চ্যালেঞ্জ বাস্তবায়নে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এ অভিযান অব্যাহত রাখতে হবে। এ জন্য আমাদের সবারই সহযোগিতা করা প্রয়োজন। যুব সমাজকে বাঁচাতে এটা অপরিহার্য।’ মাদকের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চলমান অভিযান নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে দৈনিক প্রম বাংলাদেশকে তিনি এসব কথা বলেন। মোবাইল ফোনে নেওয়া তার সাক্ষাৎকারটি এখানে তুলে ধরা হলো।

 

দৈনিক প্রথম বাংলাদেশঃ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাদকবিরোধী চলমান অভিযান সম্পর্কে আপনার অভিমত কী?
আবদুর রহমান বদি: মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে এমন অভিযান ও ক্রসফায়ার আরও অনেক আগে শুরু করা দরকার ছিল। যখন মাদক নিয়ে কথাবার্তা হচ্ছিল, তখনই এই অভিযান দরকার ছিল। এখন যে অভিযান হচ্ছে, তাও খুব ভালো। কারণ, এটা না করলে সমাজ তো ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে যুবসমাজ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।

দৈনিক প্রথম বাংলাদেশঃ মাদকের ব্যবসা কারা করছে?
আবদুর রহমান বদি: বিএনপি-জামায়াতের লোকেরা মাদক ব্যবসা করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়ে গেছে। এছাড়া এখন যারা মাদকের ব্যবসা করে, তারা সবাই টিনএজার। ১৭-১৮ বছর থেকে শুরু করে ২৫-৩০ বছরের ছেলেগুলো মাদক ব্যবসায়ী হয়ে গেছে।

দৈনিক প্রথম বাংলাদেশঃ সরকারদলীয় সংসদ সদস্য হিসেবে আপনার পক্ষ থেকে মাদকের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ আছে কিনা?
আবদুর রহমান বদি: সরকারের পদক্ষেপ আমার পদক্ষেপ। আর আমার পক্ষ থেকে যা আছে, তা হচ্ছে আমি ‘ক্রসফায়ার’ দেওয়ার পক্ষে।

দৈনিক প্রথম বাংলাদেশঃ  আপনি বা আপনার ভাইদের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসার অভিযোগ সম্পর্কে কী বলবেন?
আবদুর রহমান বদি: আমার সম্পর্কে আমি বিস্তারিত সংসদে বলেছি, চ্যালেঞ্জ করেছি। আমি বলেছি, এখন তথ্য-প্রযুক্তির যুগ। কারও কাছে যদি কোনও তথ্য থাকে, প্রশাসনের কারও কাছে যদি কোনও তথ্য থাকে, ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া, সাংবাদিক, প্লাস বাংলাদেশের প্রশাসনের যত গোপন সংস্থা আছে, কারও সঙ্গে ইয়াবা সংক্রান্তে কথা বলেছি, সে রকম কোনও তথ্য থাকলে প্রমাণ করুন। বিএনপি-জামায়াতের যে লোকগুলো ইয়াবা ব্যবসা করে কোটি কোটি টাকা আয় করছে, সেখানে তাদের কোনও নাম নেই। আমি তাদের বিরুদ্ধে কথা বলার কারণেই আজ আমার এই অবস্থা। আমার ভাইদের বিরুদ্ধেও কোনও অভিযোগ নেই। ইয়াবা ব্যবসা করে ধরা পড়ে শামসুন্নাহার জ্যোতি। নাম হয় আমার বোন শামসুন্নাহারের। আমার বোন তো একজন ওসির ওয়াইফ। শামসুন্নাহার জ্যোতি নামের একটি মেয়ে ইয়াবা ব্যবসা করে ধরা খেয়ে কারাগারে গেছে। কারাগার থেকে বের হয়েছে। আবার ব্যবসা করছে। সেখানে বলা হচ্ছে আমার বোন শামসুন্নাহারের কথা। এখন কী বলবেন? এই একটি ঘটনা তদন্ত করলেই সব পরিষ্কার হয়ে যাবে। আমার ভাইদেরও কোনও নাম নেই। অথচ আমার ভাইদের নামগুলো বলা হয়। যারা প্রকৃত ইয়াবা ব্যবসায়ী, তারা তো কোটি কোটি টাকার মালিক। তারা টাকা-পয়সা খরচ করে সব ম্যানেজ করে ফেলে। সমস্যা হচ্ছে এখানে। যেমন, একজন করিম ইয়াবা ব্যবসা করে, কিন্তু টাকা দিয়ে আরেক করিমকে ঢুকিয়ে দিচ্ছে। এগুলো আয়নার মতো পরিষ্কার। যারা ইয়াবা ব্যবসায়ী, তাদের ঘর-বাড়ি দেখলেই বোঝা যায়। যারা রিকশা চালাতো, পানের দোকানে চাকরি করতো, তারা এখন কোটি কোটি টাকার মালিক। পাজেরো গাড়ি চালাচ্ছে।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!