DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের অবৈধ অনুপ্রবেশ বন্ধে বিজিপি(মায়ানমার)-বিজিবি একমত

bgbbgp-copy

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ  বাংলাদেশ  সীমান্তে রোহিঙ্গাদের অবৈধ অনুপ্রবেশ বন্ধে মিয়ানমারের বিজিপি ও বাংলাদেশের বিজিবি একসঙ্গে কাজ করার পক্ষে মত দিয়েছেন।

বুধবার কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত বিজিবি ও বিজিপির মধ্যে সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে এ সিদ্ধান্ত হয়। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের লাবনী পয়েন্ট সংলগ্ন বিজিবির রেস্ট হাউজে এ বৈঠকটি শুরু হয় বেলা ১২ টায়।

বৈঠক শেষে বিকেলে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বিজিবির রিজিওনাল কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খন্দকার  ফরিদ হাসান একথা জানান।

 মিয়ানমারের ১৩ সদস্যের প্রতিনিধির নেতৃত্ব দেন বিজিপির মহাপরিচালক থোরা সেন লিও।

তিনি জানান, সাক্ষাৎকালে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ এর পক্ষ থেকে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে ইয়াবা ও মাদকদ্রব্য চোরাচালান, তথ্য আদান-প্রদান, নিয়মিত সীমান্তে অধিনায়ক পর্যায়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ, যৌথ টহল, বর্ডার লিয়াজোঁ অফিস, বন্ধুত্বমূলক খেলাধূলার আয়োজন করা এবং অন্যান্য দ্বিপাক্ষিক বিষয়ে আলোচনা করা হয়।

অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে এ সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয় এবং উভয়পক্ষ পরস্পরকে সীমান্ত সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার ব্যাপারে সম্মত হন। মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকায় যেকোনো সমস্যা সমাধানে উভয় কমান্ডার বন্ধুত্বপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানে পদক্ষেপ গ্রহণে একমত হন।

বিজিবির এ কর্মকর্তা জানান, বৈঠকে মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের কথাটি জানানো হয়। এ সময় বিজিপির পক্ষে স্বীকার করে যে ওখানে বর্ডার পুলিশের ক্যাম্পে হামলা হয়েছে। এ প্রেক্ষিতে ওখানে অভিযান চলছে। এর ভয়ে অনেকেই পালিয়ে আসছে বলে তারাও অবহিত হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে উভয়পক্ষ সীমান্তের অনুপ্রবেশ রোধে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পক্ষে মত দেন।

সাংবাদিকদের এ প্রশ্নে জবাবে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফরিদ হাসান জানান, সম্প্রতি নাফ নদী ও বঙ্গোপসাগর থেকে ১২ জেলেকে মিয়ানমার ধরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি জানানো হলে বিজিপির পক্ষে জানানো হয় জলসীমা অতিক্রম করে মিয়ানমারে অনুপ্রবেশ করায় ৩ দফায় এ ১২ জেলে ধরা হয়। এদের তালিকা বিজিবির পক্ষে বিজিপিকে দেওয়া হয়েছে।

এদের ফেরত পাঠানোর জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ করে জানাবেন বলে আশ্বাস দেওয়া হয়। তিনি জানান, রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ক্ষেত্রে একটি দালাল চক্র রয়েছে। মিয়ানমার ও বাংলাদেশে অবস্থান করা এসব দালালরা রোহিঙ্গাদের টাকার বিনিময় অনুপ্রবেশে সহায়তা করছে। এসব দালালদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!