DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

গরু চোরাচালানের কারণে সীমান্তে ৯৫ ভাগ হত্যাকাণ্ড:বিজিবি প্রধান আজিজ আহমেদ

bgb-nashirul-0141-copy

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ  গরু চোরাচালানের কারণেই সীমান্তে ৯৫ ভাগ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। তাই গরু চোরাচালান রোধ করা না গেলে সীমান্ত হত্যাসহ অন্যান্য সমস্যা রোধ করাও সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছেন বিজিবি মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ।

শুক্রবার বিজিবি ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী- বিএসএফের মধ্যকার অনুষ্ঠিত ৪৩তম সীমান্ত সম্মেলন বিষয়ে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি। রাজধানীর পিলখানায় বিজিবি সদর দপ্তরে এ প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত ভারতের দিল্লিতে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

ব্রিফিংয়ে বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, গরু চোরাচালান শুধু একটি সমস্যা নয়, এর সঙ্গে স্বর্ণ, মাদক ও অস্ত্র চোরাচালানের বিষয়টিও জড়িত। তাই গরু চোরাচালান রোধ করা না গেলে সীমান্ত হত্যাসহ অন্যান্য সমস্যা রোধ করা সম্ভব হবে না। আর চোরাচালান যেহেতু ভারত থেকে হয়, সেক্ষেত্রে তা বন্ধে বিএসএফকেই কার্যকরি পদক্ষেপ নিতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

আজিজ আহমেদ এ সময় সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তর থেকে কারা এই চোরাচালান সিন্ডিকেট চালাচ্ছে, তা সবাই জানে। আমরা তো কেবল গ্রেফতারের ক্ষমতা রাখি। তবে প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় চোরাচালান বন্ধ হচ্ছে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এ দুষ্কৃতীদের মুখোশ উন্মোচনে বিজিবি ডিজি সাংবাদিকদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

তিনি জানান, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী ২৬ জন সীমান্তে হত্যার শিকার হয়েছেন। সম্মেলনে এই পরিসংখ্যান তুলে ধরে বিএসএফকে সীমান্ত হত্যা বন্ধে জোর দাবি জানান বিজিবি মহাপরিচালক। সম্মেলনে অস্ত্র, গোলাবারুদ ও বিস্ফোরক দ্রব্যের চোরাচালান বৃদ্ধি পাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।

ভারতে ইয়াবা তৈরি ও মিয়ানমার থেকে ভারতীয় ভূখণ্ড ব্যবহার করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ইয়াবা চোরাচালানের বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য বিএসএফ মহাপরিচালকের প্রতি আহবান জানান বিজিবি মহাপরিচালক। সম্মেলনে বিজিবি মহাপরিচালকের নেতৃত্বে ২২ সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নেয়। অন্যদিকে বিএসএফ মহাপরিচালক একে শর্মার নেতৃত্বে ২৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল সম্মেলনে অংশ নেয়।

সম্মেলনে বিএসএফ মহাপরিচালক ভারতীয় জাল মুদ্রা, ফেনসিডিল চোরাচালান, বন্দি হস্তান্তর, ভারতীয় বিচ্ছিন্নতবাদীদের তৎপরতা বন্ধ, অবৈধ সীমান্ত অতিক্রম, নারী ও শিশু পাচার প্রতিরোধ, কাঁটা তারের বাধা পেরিয়ে শূন্যরেখা অতিক্রম না করা, ভারতীয় কারাগারে সাজার মেয়াদোত্তীর্ণ বাংলাদেশীদের দেশে ফিরিয়ে আনা, পারস্পরিক আস্থা বৃদ্ধি ও বিজিবি সদস্যদের সন্তানদের বৃত্তি প্রদানের বিষয়ে বিজিবি মহাপরিচালককে অবহিত করেন।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!