DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

মিতু হত্যায় এসপি বাবুলের সোর্স আনোয়ার ও ওয়াসিম জড়িতঃসিএমপি কমিশনার ইকবাল বাহার

bahar copy

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ চট্টগ্রামে এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যার সঙ্গে বাবলের সোর্স  আনোয়ার ও ওয়াসিম জড়িত বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ কমিশনার ইকবাল বাহার।

বহুল আলোচিত পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যাকাণ্ড নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে সিএমপি কমিশনার এ তথ্য জানান।

রোববার দুপুরে সিএমপি কার্যালয়ে তিনি সংবাদ সম্মেলন করেন। তিনি বলেন, ‘মিতু হত্যায় প্রত্যক্ষভাবে অংশ নেয়া দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরা হলেন ওয়াসিম ও আনোয়ার। দুজনই চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার বাসিন্দা। এরমধ্যে ওয়াসিম নিজে মিতুকে গুলি করেন। আর আনোয়ার ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন ব্যাকআপের জন্য।’ আদালতে দুজনই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।

এ দুজন এসপি বাবুল আক্তারের সোর্স হিসেবে কাজ করতো।

CREATOR: gd-jpeg v1.0 (using IJG JPEG v62), quality = 75ইকবাল বাহার জানান, ‘ঘটনার মোটিভ (উদ্দেশ্য) এখনও উদ্ধার করা যায়নি। তবে আটকরা একটি সংঘবদ্ধ চক্র। এরা ভাড়াটে খুনি।

’ বাবুল আক্তারকে গতকাল শনিবার ঢাকায় জিজ্ঞাসাবাদের ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘বাবুল আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদই করা হয়নি। তদন্তের স্বার্থে তার সঙ্গে মামলা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’

বাবুল আক্তারকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে কি না জানতে চাইলে সিএমপি কমিশনার বলেন, ‘বাবুল আক্তার জড়িত এমন সন্দেহ হলেতো তাকে আটকই করা হতো। নজরদারি কেন?’ তার নিরাপত্তার জন্য সঙ্গে পুলিশ দেয়া হয়েছে বলেও যোগ করেন ইকবাল বাহার।

প্রসঙ্গত, গত ৫ জুন নগরীর জিইসি মোড় এলাকায় ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাত ও গুলিতে নিহত হন পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু।

পরদিন পাঁচলাইশ থানায় বাবুল আক্তার বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার রহস্য উদঘাটনে কাজ করছে গোয়েন্দা পুলিশ, র‌্যাব, সিআইডি, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ও কাউন্টার টেররিজম ইউনিট (সিটিআই)।

তবে মামলার মূল তদন্তে আছে চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। যদিও সবগুলো সংস্থা মিলে এখন পর্যন্ত এ ঘটনার তেমন কোনো ক্লু খুঁজে বের করতে পারেনি। 

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!