DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

বিএনপি নিষিদ্ধ এবং জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার চাইঃ যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ পরশ

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ  বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেছেন, আমরা বাংলাদেশের যুবসমাজের পক্ষ থেকে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল মানুষের পক্ষ থেকে জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার চাই।

বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী যুবলীগের সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

 শেখ পরশ বলেছেন, যারা বাংলাদেশে অসাম্প্রদায়িক, প্রগতিশীল, একটি উন্নত-মর্যাদাশীল সমাজ ব্যবস্থা নির্মাণের লক্ষ্যে সংগ্রাম করে যাচ্ছেন সেই সব মানুষের প্রত্যাশা জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার না হলে বাংলাদেশ প্রকৃতপক্ষে কলঙ্কমুক্ত হবে না। আজকে জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার সময়ের দাবি, ন্যায্য দাবি।

১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড, মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী, খুনি জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার, ’৭৫-এর পলাতক খুনিদের দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের রায় কার্যকর, ২১ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড পলাতক আসামি তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের রায় কার্যকর এবং কানাডার ফেডারেল কোর্ট কর্তৃক সন্ত্রাসী সংগঠনের আখ্যা পাওয়া বিএনপির রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে পরশ আরও বলেন, ১৫ আগস্ট ছিল মূলত একাত্তরের পরাজিত শক্তি ও তাদের আন্তর্জাতিক দোসরদের সুগভীর চক্রান্তে সুপরিকল্পিত গণহত্যাকাণ্ড। যার আলটিমেট টার্গেট ছিল এই দেশ থেকে চিরতরে বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, মহান মুক্তিযুদ্ধের গৌরবময় ইতিহাস-সর্বস্ব মুছে দেশকে পাকিস্তানি ভাবধারায় পরিচালিত করা। বঙ্গবন্ধুকে যারা হত্যা করেছিল, তারা মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকেই হত্যা করতে চেয়েছিল। হত্যা করতে চেয়েছিল এ দেশের গণতন্ত্রের আকাঙ্ক্ষা।

যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলের সঞ্চালনায় সমাবেশে উপস্থিত ছিলন- প্রেসিডিয়াম সদস্য রফিকুল ইসলাম, নবী নেওয়াজ, মোয়াজ্জেম হোসেন, তাজউদ্দিন আহমেদ, জসিম মাতুব্বর, আনোয়ার হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিশ্বাস মুতিউর রহমান বাদশা, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মাজহারুল ইসলাম, ডা. হেলাল উদ্দিন, সাইফুর রহমান সোহাগ, জহির উদ্দিন খসরু, সোহেল পারভেজ, মশিউর রহমান চপল, অ্যাড. ড. শামীম আল সাইফুল সোহাগ, ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল, দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানা, উত্তরের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এএইচএম রেজাউল করিম।

সমাবেশ শেষে শেখ ফজলে শামস পরশ ও মাইনুল হোসেন খান নিখিলের নেতৃত্বে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও নির্বাচন কমিশন বরাবর স্মারকলিপি পেশ করে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ। 

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রটিনিধি টিমে ছিলেন- শেখ ফজলে শামস পরশ, মাইনুল হোসেন খান নিখিল, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দপ্তর সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, উপ-দপ্তর সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা। 

আইন মন্ত্রণালয়ে প্রতিনিধি টিমে ছিলেন- জয়দেব নন্দী, মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, শামছুল আলম অনিক, দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রতিনিধি টিমে ছিলেন- প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট মামুনুর রশীদ, মঞ্জুর আলম শাহীন, হাবিবুর রহমান পবন, ইঞ্জিনিয়ার মৃণাল কান্তি জোদ্দার। 

নির্বাচন কমিশনে প্রতিনিধি টিমে ছিলেন- মাইনুল হোসেন খান নিখিল, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু মুনির মো. শহিদুল হক চৌধুরী রাসেল, জয়দেব নন্দী, মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, শামছুল আলম অনিক।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!